দেশ বিদেশ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর তীক্ষ্ণ মনিটরিংয়ের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্টাফ রিপোর্টার
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৩২ পূর্বাহ্ন
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, অন্যবারের মতো এবারও এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা কঠোর ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হবে। চিকিৎসা শিক্ষার মান এগিয়ে নিতে কোনো আপস করা হবে না। প্রকৃত মেধাবীরাই মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ পাবে। এ লক্ষ্যে এখন থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সর্বোচ্চ কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। গতকাল সচিবালয়ে আসন্ন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে সভাপতিত্বকালে তিনি একথা বলেন। আগামী ৫ই অক্টোবর দেশের ১৯ কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ১লা সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সকল মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার বন্ধ হলেও পরীক্ষার দিন পর্যন্ত কোচিং সেন্টারগুলোর সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি বাড়াতে হবে যাতে সেগুলোকে কেন্দ্র করে কোনো অপতৎপরতার সুযোগ না থাকে। তিনি জানান, প্রশ্নপত্র তৈরি, ছাপানো, বিতরণসহ সকল পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ডিজিটাল ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে যেন কোনোভাবেই এই প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ না হয়। তাই গত কয়েক বছরের মতো এবারও প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো প্রশ্নই আসবে না। তার পরও পরীক্ষা কেন্দ্র করে ভুয়া প্রশ্নপত্র বাণিজ্য বা গুজব প্রতিরোধে সবাইকে তৎপর থাকতে হবে। বিশেষ করে ভুয়া অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর তীক্ষ্ণ মনিটরিং জোরদার করতে হবে। পরীক্ষার দিন সকাল সাড়ে ৯টার পর পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় অন্যান্যের মাঝে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, বিএমডিসি’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. সহিদুল্লা, ওভারসাইট কমিটির সদস্য কলামিস্ট সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম, গাজী মিডিয়ার চিফ এডিটর ইশতিয়াক রেজাসহ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।