দেশ বিদেশ
অসাবধানতায় ‘আকাশবীণা’র র্যাফট খুলে গেছে
স্টাফ রিপোর্টার
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন
খুলে পড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার আকাশবীণার সামনের একটি ইমার্জেন্সি এক্সিট ডোরের র্যাফট। অসাবধানতার কারণে এমনটি হয়েছে বলে মনে করছেন বিমানের প্রকৌশল শাখার কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় বিমানের প্রকৌশল বিভাগের একজনকে সাময়িক বরখাস্ত করে শোকজ করা হয়েছে। তবে বিমানটির ফ্লাইট পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। বিমান সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় র্যাফট রিপ্লেস করার আগ পর্যন্ত আকাশবীণাকে ৫৫ জন যাত্রী কম পরিবহন করতে হবে। এর আগে গত মঙ্গলবার ভোর সোয়া চারটার দিকে মালয়েশিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফেরে ড্রিমলাইনার আকাশবীণা। যাত্রী নেমে যাওয়ার পর নিয়মিত গ্রাউন্ড চেকের অংশ হিসেবে বিমানের প্রকৌশল বিভাগের কাছে বিমানটি হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তী ফ্লাইটের প্রস্তুতির জন্য কেবিন ক্লিনিংসহ চেকআপ করা হয় বিমানটি। পরবর্তী ফ্লাইটের যাত্রীদের খাবার বিমানে ওঠানোর জন্য দরজা খোলার সময় ‘অসাবধানতাবশত’ র্যাফট খুলে যায়। পরবর্তীতে র্যাফটি বিমানের প্রকৌশল বিভাগে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরের বিজি-৮৪ ফ্লাইটটি ছাড়ার নির্ধারিত সময় ৮টা ২৫ মিনিট থাকলেও ফ্লাইটটি ঢাকা ছাড়ে ৯টার দিকে। র্যাফট ছাড়াই ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় বিমানের প্রকৌশল বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রকৌশল বিভাগে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার পরিচালনায় দক্ষ জনবল না থাকায় ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স থেকে পাঁচজন প্রকৌশলী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের তত্ত্বাবধানে ড্রিমলাইনারের জন্য বোয়িং থেকে প্রশিক্ষিত বিমান কর্মীদের কাজ করার নির্দেশনা রয়েছে। গত মঙ্গলবার সিঙ্গাপুর ফ্লাইটের আগে বিএফসিসি’র খাবারের গাড়ি এলে দরজা খোলার সময় বিমানের প্রকৌশল বিভাগের স্টাফ মোস্তাফিজুর রহমান র্যাফটি খুলে ফেলেন। এ প্রসঙ্গে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারো বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে জরুরি অবস্থায় যাত্রীদের বিমান থেকে বের হওয়ার জন্য দরজার সঙ্গে থাকে এই র্যাফট। এটার মাধ্যমে যাত্রীরা বিমান থেকে দ্রুত বের হয়ে যেতে পারেন। ড্রিমলাইনারে একটি দরজা দিয়ে ৫৫ জন যাত্রী বের হতে পারেন। চারটি ইমার্জেন্সি এক্সিট ডোরের একটি র্যাফট না থাকায় ৫৫ জন যাত্রী কম নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করতে হচ্ছে বিমানকে। এর আগে গত ৫ই সেপ্টেম্বর ড্রিমলাইনার আকাশবীণার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের সাত দিনের মাথায় এ ঘটনা ঘটলো। আকাশবীণা উড়োজাহাজটির আসন সংখ্যা ২৭১টি। এরমধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি, আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস।