বাংলারজমিন
পাকুন্দিয়ার রেজিয়ার আকুতি
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:২৩ পূর্বাহ্ন
বয়সে বৃদ্ধ। স্বামী মারা গেছেন বছর খানেক আগে। একমাত্র ছেলে ১০ বছর ধরে পাগল হয়ে ঘর ছাড়া। বেঁচে থাকার সম্বল বলতে একমাত্র নাতি আর মাটির একখানা বসত ঘর। প্রতিবেশীদের দেয়া দান-খয়রাতের টাকায় কোনোরকমে খেয়ে না খেয়ে দিনপার। হ্যাঁ, এমনই এক হতভাগা বয়োবৃদ্ধ বিধবা নারী রেজিয়া খাতুন। পাকুন্দিয়া উপজেলার বাহাদিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও মুসলেহ উদ্দিনের স্ত্রী। এত দুঃখকষ্টের মধ্যে নতুন করে যোগ হয়েছে ক্রয়কৃত জমির রেজিস্ট্রি না পেয়ে উল্টো ভিটে ছাড়ার হুমকি। জমির রেজিস্ট্রি পেতে ও শহীদ মিয়ার হামলা-নির্যাতন থেকে বাঁচতে প্রশাসনের প্রতি আকুতি জানিয়েছেন রেজিয়া।
জানা যায়, পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের বাহাদিয়া গ্রামের মুসলেহ উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী রেজিয়া খাতুন প্রায় ৪০ বছর পূর্বে মুসলেহ উদ্দিন সম্পর্কে ভাই একই গ্রামের ইমাম উদ্দিন ওরফে পচা মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। মুসলেহ উদ্দিন শারীরিক অসুস্থ থাকায় রেজিয়া খাতুন মাটি কাটার কাজ করে জীবিকা চালাতো। দীর্ঘদিন কাজ করে তখনকার সময়ে সঞ্চয় করা ৫০ হাজার টাকা দিয়ে থাকার জন্য জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেয় রেজিয়া। পরে আশ্রয়দাতা পচা মিয়া ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বাড়ি থেকে খানিক দূরে পরিত্যক্ত জঙ্গলে দুই কাঠা জায়গা মৌখিকভাবে রেজিয়া দম্পতিকে দিয়ে দেয়। বিষয়টি ওই সময়ের সবাই জানতো। ওই পরিত্যক্ত জমি পরিষ্কার করে তাতে মাটির ঘর করে বসবাস শুরু করে মুসলেহ উদ্দিন ও রেজিয়া খাতুন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও পচা মিয়া তাদেরকে জমির রেজিস্ট্রি দেয়নি। গত এক বছর আগে রেজিয়ার স্বামী মুসলেহ উদ্দিন মারা যায়। জমি দাতা পচা মিয়াও অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। এদিকে পচা মিয়ার ছোট মেয়ের জামাই পার্শ্ববর্তী গ্রামের শহীদ মিয়া প্রায়ই লোকজন নিয়া বয়োবৃদ্ধা বিধবা রেজিয়া খাতুন ও তার নাতীকে উচ্ছেদ করতে হুমকি-ধামকিসহ অত্যাচার নির্যাতন ও হামলা ভাঙচুর চালায়। এতে অনেকটাই নিরুপায় রেজিয়া। কখন যেন, শহীদ ও তার লোকজন তাদের মেরে ফেলে এ ভেবে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কে জীবনযাপন করতে হচ্ছে রেজিয়াকে।
ওই গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি ইন্নছ আলী, মোমতাজ উদ্দিন, ইমাম উদ্দিন, আবদুুল হেকিম, মুর্শিদ উদ্দিন, শাহাব উদ্দিন ও হুমায়ুন কবীরসহ কয়েকজন মুরব্বি জানান, দীর্ঘদিন ধরে রেজিয়া খাতুন বসতঘর নির্মাণ করে ওই জায়গা জমিতে থাকছেন। পচা মিয়া ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তাদেরকে থাকার জন্য এ জমিটুকু দিয়েছে তা সবাই অবগত। কিন্তু শহীদ মিয়া জমির লোভে পড়ে রেজিয়া খাতুনকে অত্যাচার নির্যাতন ও বাড়িঘরে হামলা চালানো খুবই দুঃখজনক। বিধবা রেজিয়া খাতুনের মানবিক দিক বিবেচনা করে জমির রেজিস্ট্রি ও শহীদ মিয়ার নির্যাতন থেকে রক্ষা পায় সেজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
জানা যায়, পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের বাহাদিয়া গ্রামের মুসলেহ উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী রেজিয়া খাতুন প্রায় ৪০ বছর পূর্বে মুসলেহ উদ্দিন সম্পর্কে ভাই একই গ্রামের ইমাম উদ্দিন ওরফে পচা মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। মুসলেহ উদ্দিন শারীরিক অসুস্থ থাকায় রেজিয়া খাতুন মাটি কাটার কাজ করে জীবিকা চালাতো। দীর্ঘদিন কাজ করে তখনকার সময়ে সঞ্চয় করা ৫০ হাজার টাকা দিয়ে থাকার জন্য জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেয় রেজিয়া। পরে আশ্রয়দাতা পচা মিয়া ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বাড়ি থেকে খানিক দূরে পরিত্যক্ত জঙ্গলে দুই কাঠা জায়গা মৌখিকভাবে রেজিয়া দম্পতিকে দিয়ে দেয়। বিষয়টি ওই সময়ের সবাই জানতো। ওই পরিত্যক্ত জমি পরিষ্কার করে তাতে মাটির ঘর করে বসবাস শুরু করে মুসলেহ উদ্দিন ও রেজিয়া খাতুন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও পচা মিয়া তাদেরকে জমির রেজিস্ট্রি দেয়নি। গত এক বছর আগে রেজিয়ার স্বামী মুসলেহ উদ্দিন মারা যায়। জমি দাতা পচা মিয়াও অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। এদিকে পচা মিয়ার ছোট মেয়ের জামাই পার্শ্ববর্তী গ্রামের শহীদ মিয়া প্রায়ই লোকজন নিয়া বয়োবৃদ্ধা বিধবা রেজিয়া খাতুন ও তার নাতীকে উচ্ছেদ করতে হুমকি-ধামকিসহ অত্যাচার নির্যাতন ও হামলা ভাঙচুর চালায়। এতে অনেকটাই নিরুপায় রেজিয়া। কখন যেন, শহীদ ও তার লোকজন তাদের মেরে ফেলে এ ভেবে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কে জীবনযাপন করতে হচ্ছে রেজিয়াকে।
ওই গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি ইন্নছ আলী, মোমতাজ উদ্দিন, ইমাম উদ্দিন, আবদুুল হেকিম, মুর্শিদ উদ্দিন, শাহাব উদ্দিন ও হুমায়ুন কবীরসহ কয়েকজন মুরব্বি জানান, দীর্ঘদিন ধরে রেজিয়া খাতুন বসতঘর নির্মাণ করে ওই জায়গা জমিতে থাকছেন। পচা মিয়া ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তাদেরকে থাকার জন্য এ জমিটুকু দিয়েছে তা সবাই অবগত। কিন্তু শহীদ মিয়া জমির লোভে পড়ে রেজিয়া খাতুনকে অত্যাচার নির্যাতন ও বাড়িঘরে হামলা চালানো খুবই দুঃখজনক। বিধবা রেজিয়া খাতুনের মানবিক দিক বিবেচনা করে জমির রেজিস্ট্রি ও শহীদ মিয়ার নির্যাতন থেকে রক্ষা পায় সেজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।