বাংলারজমিন

বয়স নব্বই পার হলেও হালুয়াঘাটে ১২টি পরিবারের ভাগ্যে জোটেনি কার্ড

ওমর ফারুক সুমন, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) থেকে

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন

কারও বয়স একশ’ ছুঁই ছুঁই হলেও তাদের ভাগ্যে জুটেনি এখনো বয়স্কভাতার কার্ড! প্রতিবন্ধী হয়েও পাচ্ছে না ভাতা! ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।  ১. হাইসু সেক (৯৬), এই বয়সেও অভাবের তাড়নায় ঠেলাগাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ভাতার কার্ড হয়নি হাইছুর। ২. নূরজাহান বিবি (৯৬), দর্শারপাড় বাজারসংলগ্ন। কোনো সন্তান জীবিত নেই। দুই সন্তানই অসুখে মারা যায়। বয়স ৯৬ বছর হলেও পাননি বয়স্কভাতা। নুরজাহান মরার আগে একটি কার্ড দাবি করেন ৩. ময়মনা খাতুন (৭৬), রনুুঠরা গুচ্ছ গ্রামে খাস জমিতে বসবাস করেন। তার অভিযোগ, ভাতা চেয়েও পাননি। ৪. বাহিরশিমুল গ্রামের সাবজান বিবি (৯৬), এই বয়সেও ভিক্ষা করেন। একটি ভাতার কার্ড হলেও জীবন কাটে খুবই কষ্টের। ভিক্ষুক পুনর্বাসন চান তিনি। ছোটদাস পাড়া গ্রামের বাইট্টা জলিলের পরিবারের আট প্রতিবন্ধী, দুজন প্রতিবন্ধী ভাতা পায়, বাকীদের জীবন চলে কষ্টে। একটি সরকারী ঘরের দাবী জানান। ৬. আব্দুল মজিদ (৯২), ঠিকানা: রনকুঠরা গুচ্ছ গ্রামে, পেশায় ভিক্ষুক। একটি ভাতার কার্ড হয়নি তার। বয়স্কভাতার কার্ডের জন্যে আকুতি জানান। ৭. রনকুঠরা গুচ্ছ গ্রামের সূর্যবানু (৯৮), বয়স ৯৮ বছর হলেও সাহায্যে এগিয়ে আসেনি কেউ। হয়নি বয়স্কভাতার কার্ড। কোনো পুত্র সন্তান নেই সূর্যবানুর। কানে শুনতে পায়না। জীবন চলে অনেক কষ্টে ৮।রমিজা খাতুন (৭৫), ঠিকানা: মনিকুড়া, স্বামী মুক্তিযোদ্ধা থাকা সত্ত্বেও কপালে জুটেনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা! বোতল টুকিয়ে সংসার চালায় ৯. মনিকুড়া গ্রামের অন্ধ প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক তরিকুলের পরিবার। ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে ভিক্ষা করে জীবন চালাতে হয় তার। ভাতার কার্ড হলেও সহযোগিতা চান তিনি। ১০. মনিকুড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী তিন সন্তানসহ প্যারালাইসিস রোগী মুর্শিদ (৫৫), জায়গাজমি নেই। একজন ভাতাপ্রাপ্ত হলেও বাকি তিন প্রতিবন্ধী শিশুর ভাতা নেই। ১১. আবেদ আলী (৮২), রনকুঠরা গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়লেও ভাতা হচ্ছে না আবাদ আলীর। ভাতার দাবি করেন তিনি। ১২. বাহিরশিমুল গ্রামের মানসিক প্রতিবন্ধী রাশিদা আক্তার (১৬), তার পিতা মোতাহার দাবি করেন, ১২ বছর ধরে এই মেয়েকে নিয়ে কষ্ট করে চলছেন। প্রতিবন্ধী ভাতার জন্যে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কেউ ভাতার কার্ড করে দেয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status