বাংলারজমিন
দেউলিয়া হতে বসেছে মোবারকগঞ্জ চিনিকল
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন
কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জে অবস্থিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান মোবারকগঞ্জ চিনিকল (মোচিক) এখন দৈন্যদশা। ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বৃহদায়তন শিল্প প্রতিষ্ঠানটি চিনি উৎপাদন কারখানা, বাণিজ্যিক খামার, জৈব সারকারখানা এবং অফিস, বিদ্যালয়, অতিথি ভবন ও আবাসন ভবনের সমন্বয়ে গঠিত। ১৯৬৭-৬৮ সাল থেকে এটিতে চিনি উৎপাদন শুরু হয়। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার এই প্রতিষ্ঠানটিকে রাষ্ট্রয়াত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা দেয়। ৯১৭ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী-শ্রমিক নিয়ে বিশাল এই প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর লোকসান গুণতে গুণতে দেউলিয়া হতে বসেছে। শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা অব্যাহত বকেয়া থাকার পাশাপাশি এবার চিনিকল এলাকায় আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা চলতি মৌসুমে ১০৫০০ একর ধরা হলেও অর্ধেকে নেমে চাষ হয়েছে মাত্র ৫৩৭০ একর জমিতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে আখ চাষিরাও। মোবারকগঞ্জ চিনিকলের আওতায় আখচাষির সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৬ হাজার। চলতি মৌসুমে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০৫০০ একর জমিতে। কিন্তু এই চাষ নেমে এসেছে অর্ধেকে। আখ চাষ হয়েছে মাত্র ৫হাজার ৭৭২ একর জমিতে। আখের জমিতে ধান, কলা, সবজিসহ অন্যান্য ফসল চাষে ঝুঁকছে কৃষকেরা। আখ চাষি রিপন হোসেন বলেন, আখকে এক ফসলি আবাদ বলা হয়, রোপণের পর বছর শেষে এই ফসল ঘরে ওঠে কিন্তু উন্নত চাষ পদ্ধতি, প্রশিক্ষণ, সার-ঔষধের তেমন সহযোগিতা না পাওয়া আর চিনিকলে আখ দিয়ে সময়মতো টাকা-পয়সা না পাওয়ায় আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি।
চলতি মৌসুমে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭৫০০ টন কিন্তু উৎপাদন হয়েছে ৫৬০০ টন। মোবারকগঞ্জ চিনিকলে এ পর্যন্ত ৫১টি মাড়াই মৌসুম সম্পন্ন হয়েছে। মাত্র ১০টি মৌসুম বাদে বাকি সবকটি মৌসুমেই লোকসান গুনতে হয়েছে চিনিকলটিতে। ভারী এই শিল্প প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে হলে বছরে কমপক্ষে ২ লাখ টন আখ সরবারহ করতে হবে। অভিযোগে জানাগেছে, গত মাড়াই মৌসুমে এক মাসে চারবার ব্রেক ডাউনের ফলে মিলটির কোটি টাকার লোকসান হয়ে পড়ে। এ ছাড়া চিনি বিক্রয় না হওয়ার কারণে তিন মাসের বেতন-ভাতা বন্ধ শ্রমিক কর্মচারীদের। এ ব্যাপারে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ আলী শিকদার বলেন, আখ চাষ বৃদ্ধি করার জন্য চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ।
চলতি মৌসুমে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭৫০০ টন কিন্তু উৎপাদন হয়েছে ৫৬০০ টন। মোবারকগঞ্জ চিনিকলে এ পর্যন্ত ৫১টি মাড়াই মৌসুম সম্পন্ন হয়েছে। মাত্র ১০টি মৌসুম বাদে বাকি সবকটি মৌসুমেই লোকসান গুনতে হয়েছে চিনিকলটিতে। ভারী এই শিল্প প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে হলে বছরে কমপক্ষে ২ লাখ টন আখ সরবারহ করতে হবে। অভিযোগে জানাগেছে, গত মাড়াই মৌসুমে এক মাসে চারবার ব্রেক ডাউনের ফলে মিলটির কোটি টাকার লোকসান হয়ে পড়ে। এ ছাড়া চিনি বিক্রয় না হওয়ার কারণে তিন মাসের বেতন-ভাতা বন্ধ শ্রমিক কর্মচারীদের। এ ব্যাপারে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ আলী শিকদার বলেন, আখ চাষ বৃদ্ধি করার জন্য চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ।