বাংলারজমিন
ছাতকে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
ছাতকে স্বামীসহ পরিবারের লোজনের বেধড়ক মারপিটে ফিরোজা বেগম (২২) নামের এক গৃহবধূ আহত হয়েছে। গুরুতর আহত গৃহবধূকে স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ কৈতক হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা চরমহলা ইউনিয়নের টেটিয়ারচর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে সিংচাপইড় ইউনিয়নের আইনাকান্দি গ্রামেরমৃত আব্বাস আলীর কন্যা ফিরোজা বেগমের সাথে চরমহলা ইউনিয়নের টেটিয়ারচর গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তার পুত্র ওমান প্রবাসী আবদুস জহুরের বিয়ে হয় পারিবারিক মতামতের ভিত্তিতে। বিয়ের পর স্বামী প্রবাসে চলে গেলে গৃহবধূ পিরোজার উপর নেমে আসে স্বামীর বাড়ির লোকজনের অমানুষিক নির্যাতন। যৌতুকের দাবিতে প্রায় ফিরোজা বেগমকে শারীরিক নির্যাতন করতো শাশুড়ি ও দেবর। এক পযায়ে স্বামীর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিজ সংসার ফেলে পিত্রালয়ে আশ্রয় নেয় ফিরোজা। প্রায় দু’মাস আগে স্বামী আবদুস জহুর দেশে এসে শ্বশুরবাড়ি থেকে মর্যদার সহিদ স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে সে। সমপ্রতি যৌতুকের দাবিতে ফিরোজা বেগমকে আবারো নির্যাতন শুরু করে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন। ফিরোজার ভাই আব্দুর রশিদ জানান, মঙ্গলবার দিনভর যৌতুকের দাবিতে ফিরোজা বেগমকে শারীরিক নির্যাতন চালায় স্বামীর বাড়ির লোকজন। এক পর্যায়ে ফিরোজা বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে পড়লে তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে ফিরোজার ভাইসহ লোকজন টেটিয়ারচর ফিরোজার বাড়ি গেলে তাদের সঙ্গে ফিরোজাকে দেখা করতে দেইনি। পরে নিরুপায় হয়ে জাউয়া তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে পুলিশের সহায়তা চায় ফিরোজার ভাই। পরে তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মফিজুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে ফিরোজাকে উদ্ধার করে কৈতক হাসপাতালে ভর্তি করেন। জাউয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম এ ব্যাপারে জানান, খবর পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।