বাংলারজমিন
সরাইল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উদ্ধারকারী ৪ ব্যক্তি পেলেন সম্মাননা ও অনুদান
সরাইল প্রতিনিধি
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:০৪ পূর্বাহ্ন
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামের সেই চারজনকে সম্মাননা স্মারক ও নগদ অর্থ দিয়েছেন সরাইল উপজেলা প্রশাসন। গত মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে ইসরাতের দপ্তরে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান চারজনের হাতে সম্মাননা স্মারক ও প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেন। এ সময় সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। ক্রেস্ট হাতে পেয়ে খুবই খুশি হয়েছেন ভিন্ন পেশার ওই চার ব্যক্তি।
প্রসঙ্গত, গত ২৯শে আগস্ট দুপুরে ঢাকা থেকে সিলেটগামী এনা পরিবহনের যাত্রীবাহী বেপরোয়াগতির একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈশামুড়া এলাকায় মহাসড়কের পাশে গভীর খাদে পড়ে বাসটি পানিতে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মা-মেয়ে ও সাত মাসের একটি শিশু নিহত ও অন্তত ২০ যাত্রী আহত হয়। ওই বাস থেকে গুরুতর আহত ১৬ জন যাত্রীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বৈশামুড়া গ্রামের চার ব্যক্তি উদ্ধার করেন। উদ্ধারকারী চারজন হলেন- বৈশামুড়া গ্রামের মৌলভী আনোয়ার উদ্দিনের ছেলে মোটরযান চালক রুহুল আমীন (৫০), রবি আওয়াল মিয়ার ছেলে কৃষক সেলিম মিয়া (৩২), আবু হানিফের ছেলে বাসচালক এনামুল হক (২৪) ও হারুন মিয়ার ছেলে ট্রাকচালক বাবলু মিয়া (২৩)। গত সোমবার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ওই চারজনকে নিয়ে ‘বৈশামুড়ার দুর্ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা’ শিরোনামে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পর উপজেলা প্রশাসন তাঁদেরকে খুঁজে বের করেন। গতকাল মঙ্গলবার তাঁদেরকে মানবসেবায় এগিয়ে আসার জন্য সম্মাননা স্মারক ও নগদ অর্থ প্রদান করেন। ইউএনও উম্মে ইসরাত বলেন, পত্রিকায় উদ্ধারকারী ওই চারজনকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের পর আমরাও অনুপ্রাণিত হয়েছি। মানুষের সেবায় মানুষ নিজ থেকে যেন আগ্রহী ও উৎসাহিত হন। এজন্য আমরা তাঁদেরকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছি। এ দৃষ্টান্ত দেখে বিপদে মানুষের পাশে মানুষ এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত হবে। উদ্বুদ্ধ হবে।’ রুহুল আমীন, সেলিম মিয়া, এনামুল হক ও বাবলু মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিপদে আপদে মানুষের লাইগগা ই তো মানুষ। আমডা যে এমন কাজটি করতে ফারছি এই জন্য অনেক খুশি। আমডা কিছু পাওয়ার আশায় ওই দিন এই কাজ করি নাই। মানুষের জন্য কাজ করতে ফাইরা আমডা খুশি। অহন এই দান পাইয়া মানুষের পিদের সময় আরো বেশি আগাইয়া যামু। কারণ ভালো কাজের জন্য ভালো কিছু মিলে। এই কথাগুলি অইন্ন মাইনসেরেও কমু।’
প্রসঙ্গত, গত ২৯শে আগস্ট দুপুরে ঢাকা থেকে সিলেটগামী এনা পরিবহনের যাত্রীবাহী বেপরোয়াগতির একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈশামুড়া এলাকায় মহাসড়কের পাশে গভীর খাদে পড়ে বাসটি পানিতে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মা-মেয়ে ও সাত মাসের একটি শিশু নিহত ও অন্তত ২০ যাত্রী আহত হয়। ওই বাস থেকে গুরুতর আহত ১৬ জন যাত্রীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বৈশামুড়া গ্রামের চার ব্যক্তি উদ্ধার করেন। উদ্ধারকারী চারজন হলেন- বৈশামুড়া গ্রামের মৌলভী আনোয়ার উদ্দিনের ছেলে মোটরযান চালক রুহুল আমীন (৫০), রবি আওয়াল মিয়ার ছেলে কৃষক সেলিম মিয়া (৩২), আবু হানিফের ছেলে বাসচালক এনামুল হক (২৪) ও হারুন মিয়ার ছেলে ট্রাকচালক বাবলু মিয়া (২৩)। গত সোমবার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ওই চারজনকে নিয়ে ‘বৈশামুড়ার দুর্ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা’ শিরোনামে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পর উপজেলা প্রশাসন তাঁদেরকে খুঁজে বের করেন। গতকাল মঙ্গলবার তাঁদেরকে মানবসেবায় এগিয়ে আসার জন্য সম্মাননা স্মারক ও নগদ অর্থ প্রদান করেন। ইউএনও উম্মে ইসরাত বলেন, পত্রিকায় উদ্ধারকারী ওই চারজনকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের পর আমরাও অনুপ্রাণিত হয়েছি। মানুষের সেবায় মানুষ নিজ থেকে যেন আগ্রহী ও উৎসাহিত হন। এজন্য আমরা তাঁদেরকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছি। এ দৃষ্টান্ত দেখে বিপদে মানুষের পাশে মানুষ এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত হবে। উদ্বুদ্ধ হবে।’ রুহুল আমীন, সেলিম মিয়া, এনামুল হক ও বাবলু মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিপদে আপদে মানুষের লাইগগা ই তো মানুষ। আমডা যে এমন কাজটি করতে ফারছি এই জন্য অনেক খুশি। আমডা কিছু পাওয়ার আশায় ওই দিন এই কাজ করি নাই। মানুষের জন্য কাজ করতে ফাইরা আমডা খুশি। অহন এই দান পাইয়া মানুষের পিদের সময় আরো বেশি আগাইয়া যামু। কারণ ভালো কাজের জন্য ভালো কিছু মিলে। এই কথাগুলি অইন্ন মাইনসেরেও কমু।’