বিশ্বজমিন

টেন্ডারে অংশ না নিয়ে কাজ চায় ভারতের সিআইএল

মানবজমিন ডেস্ক

১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, ১২:৪৫ অপরাহ্ন

সীমান্তের বাইরে নিজেদের উপস্থিতির প্রমাণ রাখতে উদগ্রিব হয়ে আছে কৌল ইন্ডিয়া (সিআইএল)। তাই তারা বাংলাদেশের বড়পুকুরিয়া কৌল মাইনিং কোম্পানির ( বিসিএমসি) সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এতে কয়লা অনুসন্ধানে সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি নতুন নতুন প্রকল্পে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। তবে কোনো টেন্ডারে অংশ নিতে আগ্রহী নয় সিআইএল। তারা চায় মনোনয়নের ভিত্তিতে কাজ করতে। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, কয়লা অনুসন্ধানের কাজ পেতে কোনো টেন্ডারে অংশ নিতে আগ্রহ নেই সিআইএলের। তবে যদি বিসিএমসি মনোনয়নের ভিত্তিতে চুক্তি করে তাহলেই সিআইএল আগ্রহ দেখাবে। এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। এতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিসিএমসি। তাদের কাছে খুবই সীমিত আকারে খনিজ কয়লা আছে। এ বিষয়ে সেন্ট্রাল মাইন প্লানিং অ্যান্ড ডিজাইন ইন্সটিটিউটের (সিএমপিডিআই) একজন সিনিয়র নির্বাহী বলেছেন, এরই মধ্যে আমরা এ বিষয়ে বাংলাদেশ সফর করেছি। আলোচনা করেছি পেট্রোবাংলার শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে। আমরা তাদেরকে কিছু ভৌগোলিক ডাটা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে বলেছি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সিআইএলের প্রযুক্তি বিষয়ক অঙ্গ সংস্থা হলো সিএমপিডিআই।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড আরো লিখেছে, বাংলাদেশের বড়পুকুরিয়া, খালাশপির ও জামালগঞ্জে কয়লা অনুসন্ধান ও খনির সন্ধানে ভারত ও বাংলাদেশের সহযোগিতার বিষয়ে এরই মধ্যে মন্ত্রীপর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ চাইছে কয়লাক্ষেত্র অনুসন্ধান ও তারপরের উপযুক্ততার বিষয়ে একটি টেন্ডার বা বিজ্ঞপ্তিতে অংশগ্রহণ করুক কৌল ইন্ডিয়া। সিএমপিডিআইয়ের ওই নির্বাহী বলেছেন, যেকোনো কয়লা বিষয়ক প্রকল্পের উপযুক্ততা বুঝতে সে বিষয়ে অধিক পরিমাণে ভৌগলিক ডাটা প্রয়োজন।
অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান ও উপযুক্ততা যাচাইয়ের চুক্তি বগলদাবা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়া। বিসিএমসি এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জন টি বয়েড কোম্পানির সঙ্গ চুক্তি করেছে। তারা একত্রে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি বরাবর উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ভূগর্ভস্থ কয়লার অনুসন্ধান করবে। দিনাজপুরের দীঘিপাড়া কয়লাক্ষেত্রের উন্নয়নের বিষয়ে উপযুক্ততা বিষয়ে জার্মান কনসোর্টিয়াম এমআইবিআরএজি কনসালটিং ইন্টারন্যাশাল জিএমবিএইচ এবং এফইউবিআরও কনসাল্ড জিএমবিএইচ, অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক রাঙ্গে পিনকক মিনরাকোর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশে কয়লার মজুদ ধরা হয় ৭৯৬ কোটি টন। এখান থেকে বছরে ১১ লাখ ৬০ হাজার টন সাধারণত উত্তোলন করা হয়। জয়পুরহাটের জামালগঞ্জে মজুদের পরিমাণ ৫৪৫ কোটি টন। দিনাজপুরে দীঘিপাড়ায় মহুদ আছে ৮৬ কোটি ৫০ লাখ টন। রংপুরের খালাসপীরে আছে ৬৮ কোটি ৫০ লাখ টন। দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে মজুদ আছে ৫৭ কোটি ২০ লাখ টন ও দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় আছে ৩৯ কোটি টন। এই বাংলাদেশে কয়লাখনিতে উন্নয়নকাজে দায়িত্ব পেয়েছে চীন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status