বিশ্বজমিন
সৌদি নারীর সঙ্গে নাস্তা, মিশরীয় যুবক গ্রেপ্তার! (ভিডিও)
মানবজমিন ডেস্ক
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
সৌদি আরবে স্থানীয় এক নারীর সঙ্গে সকালের নাস্তা সারছিলেন মিশরের এক যুবক। ওই সময়ের একটি ভিডিও টুইটারে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই নারী অবশ্য আপাদমস্তক বোরকা ও নিকাব পরা ছিলেন। কিন্তু বিপত্তিটা বাধে এরপর।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সৌদি আইনে একটি ধারা আছে যে, কর্মক্ষেত্র কিংবা ম্যাকডনাল্ডস বা স্টারবাকসের মতো খাবার দোকানে পরিবার ও অবিবাহিত পুরুষ আলাদা বসবে। এ ধরণের স্থানে অবিবাহিত পুরুষের থেকে অবশ্যই আলাদা বসতে হবে নারীদেরকে। একসঙ্গে থাকলে ওই নারীর সঙ্গে তার পুরুষ অভিভাবক থাকতে হবে, যেমন পিতা বা স্বামী কিংবা অন্তত ভাই বা ছেলে।
ফলে অবিবাহিত ওই মিশরীয় যুবকের সঙ্গে ওই নারীর একসঙ্গে বসে খাবার খাওয়ার ভিডিও অবধারিতভাবেই ভাইরাল হয়ে যায়। অনেক সৌদি ব্যবহারকারী এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ফলশ্রুতিতে তাকে গ্রেপ্তার করে দেশটির শ্রম ও সমাজ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি আইন লঙ্ঘণ ও সৌদিদের জন্য পুরোপুরি সংরক্ষিত স্থান গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়।
টুইটারে আরবি ভাষায় ‘এক মিশরীয় ও এক সৌদির ব্রেকফাস্ট’ নামে একটি হ্যাশট্যাগ ১ লাখ ১৩ হাজার বার ব্যবহৃত হয়েছে। এই হ্যাশট্যাগ হয়ে পড়ে সাংস্কৃতিক বিভাজনের কেন্দ্রবিন্দু।
৩০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে ওই যুবক ও নারীকে একসঙ্গে খাওয়া নিয়ে মজা করতে দেখা যায়। তবে সৌদি ব্যবহারকারীরা ক্ষিপ্ত হয়েছেন একটি নির্দিষ্ট ঘটনায়। সেটি হলো, ওই ভিডিওতে দেখা যায় মিশরীয় পুরুষকে খাইয়ে দিচ্ছেন ওই নারী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক সৌদি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এদের বেশিরভাগ অবশ্য মনে করেন, মিশরীয় পুরুষের বদলে ওই নারীর সাজা হওয়া উচিৎ। মালেক নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার বুঝতে হবে কেন পুরুষদের কেবল সাজা হয়, কেন নারীদের নয়?
আরেক নারী ব্যবহারকারী বলেন, আমি একজন সৌদি নারী। আমি শপথ করে বলছি, আমি চাই ওই পুরুষের সঙ্গে নারীটিরও সাজা হোক। কর্মক্ষেত্রে খাওয়ার সময় হাসাহাসি! তোমাদের সীমা কতটুকু?
অবশ্য কিছু ব্যবহারকারী বলছেন, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গভেদ করা উচিৎ নয়। তারেক আব্দ আল আজিজ নামে একজন বলছেন, সহকর্মীরা একসঙ্গে খাওয়ার সময় হাসিঠাট্টা করতেই পারেন। তবে হামুদ আল দুহাইন নামে আরেকজন দ্বিমত পোষণ করে বলেন, বিদেশীদের মধ্যে সৌদি নারীরা কাজ করছেন। এই বিষয়টি প্রমাণ করে দেশের রীতিনীতি, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ ভেঙ্গে পড়েছে।
মিশরে অবশ্য বেশিরভাগ মানুষ সৌদি আরবের প্রতিক্রিয়ায় অবাক হয়েছে। তারা জানতে চেয়েছে, এ ধরণের নির্দোষ ভিডিওর কারণে কীভাবে কেউ গ্রেপ্তার হতে পারে।
এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নাকি নতুন উন্মুক্ত সৌদি আরব প্রতিষ্ঠা করতে চান? যেখানে কনসার্ট, মুভি থিয়েটার ও সৈকত থাকবে? আরেক মিশরীয় নারী ব্যবহারকারী সোনিয়া বলেছেন, সৌদি পুরুষদের ভঙ্গুর অহংবোধের কারণেই ওই যুবককে গ্রেপ্তার হতে হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সৌদি আইনে একটি ধারা আছে যে, কর্মক্ষেত্র কিংবা ম্যাকডনাল্ডস বা স্টারবাকসের মতো খাবার দোকানে পরিবার ও অবিবাহিত পুরুষ আলাদা বসবে। এ ধরণের স্থানে অবিবাহিত পুরুষের থেকে অবশ্যই আলাদা বসতে হবে নারীদেরকে। একসঙ্গে থাকলে ওই নারীর সঙ্গে তার পুরুষ অভিভাবক থাকতে হবে, যেমন পিতা বা স্বামী কিংবা অন্তত ভাই বা ছেলে।
ফলে অবিবাহিত ওই মিশরীয় যুবকের সঙ্গে ওই নারীর একসঙ্গে বসে খাবার খাওয়ার ভিডিও অবধারিতভাবেই ভাইরাল হয়ে যায়। অনেক সৌদি ব্যবহারকারী এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ফলশ্রুতিতে তাকে গ্রেপ্তার করে দেশটির শ্রম ও সমাজ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি আইন লঙ্ঘণ ও সৌদিদের জন্য পুরোপুরি সংরক্ষিত স্থান গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়।
টুইটারে আরবি ভাষায় ‘এক মিশরীয় ও এক সৌদির ব্রেকফাস্ট’ নামে একটি হ্যাশট্যাগ ১ লাখ ১৩ হাজার বার ব্যবহৃত হয়েছে। এই হ্যাশট্যাগ হয়ে পড়ে সাংস্কৃতিক বিভাজনের কেন্দ্রবিন্দু।
৩০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে ওই যুবক ও নারীকে একসঙ্গে খাওয়া নিয়ে মজা করতে দেখা যায়। তবে সৌদি ব্যবহারকারীরা ক্ষিপ্ত হয়েছেন একটি নির্দিষ্ট ঘটনায়। সেটি হলো, ওই ভিডিওতে দেখা যায় মিশরীয় পুরুষকে খাইয়ে দিচ্ছেন ওই নারী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক সৌদি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এদের বেশিরভাগ অবশ্য মনে করেন, মিশরীয় পুরুষের বদলে ওই নারীর সাজা হওয়া উচিৎ। মালেক নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার বুঝতে হবে কেন পুরুষদের কেবল সাজা হয়, কেন নারীদের নয়?
আরেক নারী ব্যবহারকারী বলেন, আমি একজন সৌদি নারী। আমি শপথ করে বলছি, আমি চাই ওই পুরুষের সঙ্গে নারীটিরও সাজা হোক। কর্মক্ষেত্রে খাওয়ার সময় হাসাহাসি! তোমাদের সীমা কতটুকু?
অবশ্য কিছু ব্যবহারকারী বলছেন, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গভেদ করা উচিৎ নয়। তারেক আব্দ আল আজিজ নামে একজন বলছেন, সহকর্মীরা একসঙ্গে খাওয়ার সময় হাসিঠাট্টা করতেই পারেন। তবে হামুদ আল দুহাইন নামে আরেকজন দ্বিমত পোষণ করে বলেন, বিদেশীদের মধ্যে সৌদি নারীরা কাজ করছেন। এই বিষয়টি প্রমাণ করে দেশের রীতিনীতি, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ ভেঙ্গে পড়েছে।
মিশরে অবশ্য বেশিরভাগ মানুষ সৌদি আরবের প্রতিক্রিয়ায় অবাক হয়েছে। তারা জানতে চেয়েছে, এ ধরণের নির্দোষ ভিডিওর কারণে কীভাবে কেউ গ্রেপ্তার হতে পারে।
এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নাকি নতুন উন্মুক্ত সৌদি আরব প্রতিষ্ঠা করতে চান? যেখানে কনসার্ট, মুভি থিয়েটার ও সৈকত থাকবে? আরেক মিশরীয় নারী ব্যবহারকারী সোনিয়া বলেছেন, সৌদি পুরুষদের ভঙ্গুর অহংবোধের কারণেই ওই যুবককে গ্রেপ্তার হতে হয়েছে।