প্রথম পাতা

চীন বাংলাদেশের এক নম্বর বাণিজ্যিক অংশীদার

স্টাফ রিপোর্টার

১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের সঙ্গে বাস্তবভিত্তিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে একটি কার্যকর প্ল্যাটফরম তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা বলছে বেইজিং। চীন মনে করে, এ ধরনের প্ল্যাটফরম করা গেলে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে আলোচনা  সংলাপ, শেয়ারিং এবং পারস্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা যাবে। এতে দুই দেশই লাভবান হবে। একইসঙ্গে উইন-উইন সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও এগিয়ে যাবে।

গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘চীন-বাংলাদেশ যোগাযোগ, সহযোগিতা এবং বেল্ট ও সড়ক উদ্যোগের অধীনে শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য সমন্বয় প্রক্রিয়া’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেছেন, ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জু। চীনা দূতাবাস ও বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয় এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ হক, বাংলাদেশ  কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) এর চেয়ারম্যান শাহ মো. আমিনুল হক, চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন চেন উই, চাইনিজ চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট লিন ওয়েকিয়াং, ওভারসিজ চাইনিজ এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ঝং লিফেং, বিএসিসি চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ। 

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ও বাংলাদেশের জনগণ যৌথভাবে সাধারণ উন্নয়ন, পারস্পরিক সম্মান এবং সমতার সঙ্গে শক্তিশালী একটি চমৎকার অধ্যায় লিখিত হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রত্যাশা করি, আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে এই সম্পর্ক আরো বাড়বে। চীনকে বাংলাদেশের এক নম্বর বাণিজ্যিক অংশীদার উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জু বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৩ সালে বেল্ট ও রোড উদ্যোগ  নেয়ার পরে এর সঙ্গে বিশ্বের ১০৩টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা জড়িত হয়েছে।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলার অঙ্গীকার করা হয়। একই সঙ্গে বেল্ট ও রোড উদ্যোগ বাস্তবায়নে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। এই উদ্যোগের ফলে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আমি আশা করি উভয়পক্ষের শিল্প উদ্যোক্তারা পারস্পরিক বিশ্বাস, যোগাযোগ এবং সহযোগিতা শক্তিশালী করার মাধ্যমে পারস্পারিক সুবিধার অংশীদার এবং দুই দেশের কার্যকর অর্থনৈতিক সহযোগিতায় সক্রিয়ভাবে অবদান রাখতে পারেন।  রাষ্ট্রদূত জানান, ২০১৭ সালে দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ছিল ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা গত বছরের তুলনায় ৫.৮ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশের ব্যবসায়ী অংশীদার হিসেবে চীন ছিল এক নম্বরে। বাংলাদেশ ও চীনের কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্বাক্ষরিত ইঞ্জিনিয়ারিং চুক্তি পরিমাণ ১০.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের মধ্যে দ্বিতীয়। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান শাহ মো. আমিনুল হক  বলেন, চীন  বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশে চীন বিনিয়োগ করেছে। তবে এখানে চীনাদের আরো বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status