শেষের পাতা
প্রধানমন্ত্রী বার্নিকাট বৈঠক
কূটনৈতিক রিপোর্টার
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জরুরি বৈঠক করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ওই বৈঠক হয়। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানিয়েছে, সরকার প্রধান ও মার্কিন দূতের মধ্যকার আলোচনা প্রায় সোয়া ঘণ্টা স্থায়ী হয়। বৈঠকটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সূত্রগুলো। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সরকার বা মার্কিন দূতবাস কোনো পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং কিংবা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়নি। সাধারণত সরকার প্রধানের সঙ্গে ভিন দেশি কূটনীতিক বা গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ কিংবা বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবের তরফে ব্রিফ হয়।
এটা অনেকটাই রেওয়াজ। সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের পক্ষ থেকেও প্রেস রিলিজ, টুইট বার্তা বা বিবৃতি দেয়া হয়। কিন্তু এবার কিছুই দেয়া হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা সরকার প্রধান ও মার্কিন দূতের জরুরি ওই বৈঠকে সম-সাময়িক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য, পূর্ব নির্ধারিত সূচি মতে, জাতীয় সংসদ ভবনস্থ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতার কার্যালয়ে মার্কিন দূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ-বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল বিকালে তা গণভবনে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে রাতে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়- বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমকে উদৃত করে বলা হয়- প্রেস সচিব বলেছেন, বৈঠকে তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের আলোচনায় আসন্ন নির্বাচন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা এবং বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়গুলো উঠে আসে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে তাঁর সরকারের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে বলেন, সেভাবেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক নির্বাচনেই আমরা পরাজয়বরণ করেছি এমনকি খুব সামান্য ব্যবধানেও পরাজিত হয়েছি।
কিন্তু কোন নির্বাচনেই প্রভাব খাটিয়ে বিজয়ী হবার চেষ্টা করি নাই।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে কোন ধরনের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলকে আগামী নির্বাচনকালে স্বাগত জানাতে তাঁর দল প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে তাঁর দেশের বিনিয়োগের আগ্রহ ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে এলএনজি রফতানি করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের জ্বালানি খাত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ডেই বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করছে, কারণ উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টিই এর উদ্দেশ্য।
বার্নিকাট প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আগামী সভাপতি হিসেবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করবে। প্রেস সচিব বলেন, দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়। রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ গত বছর ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এটা অনেকটাই রেওয়াজ। সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের পক্ষ থেকেও প্রেস রিলিজ, টুইট বার্তা বা বিবৃতি দেয়া হয়। কিন্তু এবার কিছুই দেয়া হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা সরকার প্রধান ও মার্কিন দূতের জরুরি ওই বৈঠকে সম-সাময়িক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য, পূর্ব নির্ধারিত সূচি মতে, জাতীয় সংসদ ভবনস্থ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতার কার্যালয়ে মার্কিন দূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ-বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল বিকালে তা গণভবনে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে রাতে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়- বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমকে উদৃত করে বলা হয়- প্রেস সচিব বলেছেন, বৈঠকে তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের আলোচনায় আসন্ন নির্বাচন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা এবং বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়গুলো উঠে আসে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে তাঁর সরকারের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে বলেন, সেভাবেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক নির্বাচনেই আমরা পরাজয়বরণ করেছি এমনকি খুব সামান্য ব্যবধানেও পরাজিত হয়েছি।
কিন্তু কোন নির্বাচনেই প্রভাব খাটিয়ে বিজয়ী হবার চেষ্টা করি নাই।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে কোন ধরনের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলকে আগামী নির্বাচনকালে স্বাগত জানাতে তাঁর দল প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে তাঁর দেশের বিনিয়োগের আগ্রহ ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে এলএনজি রফতানি করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের জ্বালানি খাত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ডেই বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করছে, কারণ উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টিই এর উদ্দেশ্য।
বার্নিকাট প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আগামী সভাপতি হিসেবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করবে। প্রেস সচিব বলেন, দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়। রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ গত বছর ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।