বাংলারজমিন

ধরা হলো হোসেনকে আসামি হলেন শামীম কোম্পানীগঞ্জে ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে

১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন

শারপিন টিলায় অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ধরা হলো বোমা মেশিনের মালিক হোসেনকে। তিনি পুলিশ এসল্ট মামলার আসামি। আবার বোমা মেশিন সিন্ডিকেট চক্রের অন্যতম হোতা। কিন্তু কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে টিলা ধ্বংসের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি করেনি। পুলিশ এসল্ট মামলায় আসামি করে আদালতে পাঠিয়েছে। এমন ঘটনায় হতবাক কোম্পানীগঞ্জের মানুষ। টিলা ধ্বংসের ঘটনায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা কেউ-ই এলাকায় ছিলেন না। কিংবা তাদের নামে কোনো বোমা মেশিনও নেই। তেরা মিয়া নামের পূর্ব ইসলামপুর গ্রামের এক ডেকোরেটস ব্যবসায়ীকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কখনো পাথর ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় তেরা মিয়া। কিন্তু কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে তিনটি মামলায় আসামি দেখিয়ে আদালতে চালান দিয়েছেন। এমন ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত রোববার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন থেকে গণমাধ্যমে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল বোমা মেশিন পরিচালনার মেশিনের মালিক হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই স্বপন বাদী হয়ে যে মামলা করেছেন সেখানে হোসেনের নাম নেই। সোমবার বিকেলে পুলিশ হোসেনকে পুলিশ এসল্ট মামলায় আসামি দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে। রোববারের ঘটনায় মামলার আসামি করা হয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল বাছিরের পরিবারের ৫ সদস্যকে। গত সপ্তাহে আবদুল বাছির সিলেট প্রেস ক্লাব ও সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে ওসি আবদুল হাইয়ের অপসারণ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। এর আগে তিনি ওসির বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও স্মারকলিপি দেন। গতকাল উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল বাছির জানিয়েছেন, এক শক্তিশালী ব্যক্তির ইন্ধনে তার পরিবারের সদস্যদের উপর একের পর এক মামলা করা হচ্ছে। পাথর উত্তোলনের প্রতিবাদ করার কারণেই তার পরিবারের সদস্যদের ওপর মামলা হচ্ছে বলে জানান তিনি। মামলার আসামি করা হয়েছে তার ছেটো ছেলে আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী শামীম আহমদ, সিলেটের ব্যবসায়ী বিল্লাল আহমদ, তার নাতি কেফায়েত উল্লাহ, মাইনুল্লাহ ও নাতিন জামাই মামুন চৌধুরীকে। কোম্পানীগঞ্জে অশান্তি সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগের একাংশের ইন্ধনও রয়েছে বলে জানান উপজেলা চেয়ারম্যান বাছির। এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানের পর বোমা মেশিনের মালিক হিসেবে যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদেরই আসামি করা হয়েছে। অযথা কাউকে আসামি করা হয়নি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন- সোমবার বিকেলে পুলিশ নিজের ডেকোরেটার্সের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ধরে নিয়ে আসে তেরা মিয়াকে। রাতে তাকে থানা হাজতে রাখা হয়। সকালে পাথর চুরির ঘটনায় বিভিন্ন সময় দায়ের করা তিন মামলার আসামি দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়া হয়। তেরা মিয়া কখনো পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল না। ঘুষ না দেয়ায় তাকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status