বাংলারজমিন
খাস জমির দলিল সম্পাদন করলেন সাব-রেজিস্ট্রার!
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে ভূমিহীনদের অনুকূলে সরকারের থেকে দেয়া ১৮ একর খাস কৃষি জমি বিক্রির বায়না দলিল সম্পাদন করে দিলেন সাব-রেজিস্ট্রার মো. ইলিয়াস হোসেন। তিনি বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত আছেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। সরকারি ভূমি নীতিমালা অনুযায়ী ভূমিহীনদের অনুকূলে বন্দোবস্ত দেয়া জমি বিক্রয় বা হস্তান্তরের নিয়ম নেই। সম্প্রতি খাস জমি বিক্রির এ ঘটনাটি স্থানীয় ভূমি অফিসের নজরে এলে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে বায়না দলিলগুলো জব্দ করেন ভূমি কর্মকর্তা। উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, চাষাবাদের জন্য ১৯৮৮-৮৯ ইং সালে সরকার থেকে নয়টি পরিবারকে উপজেলার ভূনবীর ও শাসন মৌজায় দুই একর করে খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়। জমি বন্দোবস্ত প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন-ভূনবীর গ্রামের রজব উল্যা, রাজপাড়ার মো. মুকিত মিয়া ও আরফান মিয়া গং, বাদে আলীসার মোয়াজ্জেম হোসেন ছমরু, লইয়ারকুল গ্রামের সামছু মিয়া, আলীসারকুল গ্রামের জালাল মিয়া, পাত্রিকুলের বাবুল দাশগং, শোভা রানী রায় ও বিপ্লর রায়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিগত ২০১৭ সালে অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে ওই নয় পরিবার তাদের বন্দোবস্ত পাওয়া জমি ঢাকার বারিধারা গুলশান এলাকার মো. মাজাহার কাদেরের ছেলে মাহীন বিন মাজহারের নিকট বিক্রি করেন। দলিল নং ৫২৪৪/১৭, ৫২৮০/১৭, ৩৮৪৫/১৭, ৩৮৫১/১৭, ৩৮৪৮/১৭, ৩৮৪৪/১৭, ৩৮৫৩/১৭, ৫২৮১/১৭। এসব দলিলের লেখক ছিলেন ডিড রাইটার সালেহ্ আহম্মেদ। জানতে চাইলে মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘খাস জমি রেজিস্ট্রির নিয়ম নেই। এ রকম কিছু হয়েছিল কি না আমি নথিপত্র না দেখে বলতে পারবো না।’ এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশেকুল হক বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী বন্দোবস্ত প্রাপ্ত জমির বিক্রির কোন নিয়ম নেই। আমরা সবক’টি বায়না দালর জব্দ করেছি। জমির ক্রেতাকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জমির বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসককে সুপারিশ করা হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সাব- রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা রেজিস্ট্রারকে লিখিতভাবে বলা হবে।