খেলা
ঢাকায় ভারত-পাকিস্তানের ফুটবল লড়াই
স্পোর্টস রিপোর্টার
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৯:০৬ পূর্বাহ্ন
তিন বছরের মতো ফুটবল দুনিয়ার বাইরে ছিল পাকিস্তান। ২০১৫ সালের মার্চে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আসে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের উপর। এরপর ১০ই অক্টোবর ২০১৭ থেকে ১৩ই মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত বিশ্ব ফুটবলের শাসক সংস্থা ফিফার সাসপেনশনে ছিল পাকিস্তান। ২০১৫ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপও খেলতে পারেনি দলটি। দীর্ঘ সময় ফুটবলের বাইরে থাকা পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়িয়েছে সাফ ফুটবলের চলতি আসরে। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের কাছে হারলেও নেপাল ও ভুটানকে হারিয়ে তারা উঠেছে সেমিফাইনালে। যেখানে আজ তাদের প্রতিপক্ষ সাতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দু’দলের লড়াই অনুষ্ঠিত সন্ধ্যা ৭টায়।
ফাইনালের আগে নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে হাজির হননি ভারতের প্রধান কোচ স্টিফেন কন্সটেটিন। এমনকি দলের কোনো খেলোয়াড়কেই পাঠাতে রাজি হননি। অনুশীলনের দোহাই দিয়ে হোটেল ওয়েস্টিনেই সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এই বৃটিশকোচ। কিন্তু আয়োজকরা রাজি না হওয়ায় সহকারী কোচ ও ম্যানেজারকেই পাঠিয়ে দেন। এরা পাকিস্তানের ম্যাচ নিয়ে কোনো প্রকার উত্তেজনাই দেখাননি। ‘এটা মানছি যে, ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচ মানেই তীব্র উত্তেজনা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ। সে কারণে ম্যাচটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদার ম্যাচ। আশা করি আমরা ভালো খেলব এবং ফাইনাল নিশ্চিত করব।’ কিন্তু পরক্ষণেই যেন আগুনে জল ঢেলে দিলেন ভেংকেটশ, ‘আসলে এই টুর্নামেন্টে আমরা ফেভারিট নই। আমরা দল হিসেবে ভালো পারফরম করতেই এখানে এসেছি। এ দলটাকে তিন বছর ধরে গড়ে তুলেছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘পাকিস্তান শক্তিশালী দল। ফিজিক্যালি তারা এগিয়ে রয়েছে। আর আমাদের দলের সবাই অনূর্ধ্ব-২৩ দলের। যার মধ্যে অনূর্ধ্ব-২০ দলেরও চারজন রয়েছেন। তারপরও আমাদের লক্ষ্য থাকবে ভালো খেলে ম্যাচ বের করে নেয়া।’
অন্যদিকে, পাকিস্তানের ব্রাজিলিয়ান কোচ জোসে আন্থনি নোগেরাও মুখিয়ে রয়েছেন বৈরী দেশ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে। ‘যেহেতু প্রতিপক্ষ ভারত তাই আমরা এ ম্যাচ খেলার জন্য বেশ মুখিয়ে আছি। আমরা ফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব। দলকে ফাইনালে পৌঁছানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব- বলেন তিনি’। এক দশক পর সাফের সেমিতে পাকিস্তান। তিন বছর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নির্বাসনে থাকার পর কোনো প্রকার চাপে রয়েছেন কি না জানতে চাইলে এই কোচ বলেন, ‘আমি পেশাদার কোচ। এরকম পরিস্থিতি আমি আগেও মোকাবিলা করেছি। যে কারণে এটাকে চাপ বলে মনে করছি না। আমি নির্ভার হয়ে থাকতে চাই। ভালো খেলা উপহার দিতে চাই। ভারত খুবই গোছানো একটা দল। এ টুর্নামেন্টের জন্য তারা তিন বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে, আমরা চেষ্টা করবো ফাইনালে খেলার।’ অধিনায়ক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমরা তিন বছর ধরে আন্তর্জাতিক আসর থেকে নির্বাসিত ছিলাম। স্বাভাবিকভাবেই দল ছিল অগোছালো। কিন্তু কোচ ও কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই দলটি তৈরি করেছেন। এ মুহূর্তে খুব ভালো অবস্থায় রয়েছি আমরা। খেলোয়াড়রা সবাই তাদের ফিটনেসের মধ্যে রয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে আমরা খুবই রোমাঞ্চিত।’ পরিসংখ্যান বলছে তিন বছর ফুটবল থেকে বহিষ্কার থাকা পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভারতই। শেষ ২৩টি ম্যাচের মধ্যে ভারত জিতেছে ১০টিতে এবং পাকিস্তান তিনটি। বাকি ১০টি ম্যাচই অমীমাংসিত ছিল।
ফাইনালের আগে নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে হাজির হননি ভারতের প্রধান কোচ স্টিফেন কন্সটেটিন। এমনকি দলের কোনো খেলোয়াড়কেই পাঠাতে রাজি হননি। অনুশীলনের দোহাই দিয়ে হোটেল ওয়েস্টিনেই সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এই বৃটিশকোচ। কিন্তু আয়োজকরা রাজি না হওয়ায় সহকারী কোচ ও ম্যানেজারকেই পাঠিয়ে দেন। এরা পাকিস্তানের ম্যাচ নিয়ে কোনো প্রকার উত্তেজনাই দেখাননি। ‘এটা মানছি যে, ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচ মানেই তীব্র উত্তেজনা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ। সে কারণে ম্যাচটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদার ম্যাচ। আশা করি আমরা ভালো খেলব এবং ফাইনাল নিশ্চিত করব।’ কিন্তু পরক্ষণেই যেন আগুনে জল ঢেলে দিলেন ভেংকেটশ, ‘আসলে এই টুর্নামেন্টে আমরা ফেভারিট নই। আমরা দল হিসেবে ভালো পারফরম করতেই এখানে এসেছি। এ দলটাকে তিন বছর ধরে গড়ে তুলেছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘পাকিস্তান শক্তিশালী দল। ফিজিক্যালি তারা এগিয়ে রয়েছে। আর আমাদের দলের সবাই অনূর্ধ্ব-২৩ দলের। যার মধ্যে অনূর্ধ্ব-২০ দলেরও চারজন রয়েছেন। তারপরও আমাদের লক্ষ্য থাকবে ভালো খেলে ম্যাচ বের করে নেয়া।’
অন্যদিকে, পাকিস্তানের ব্রাজিলিয়ান কোচ জোসে আন্থনি নোগেরাও মুখিয়ে রয়েছেন বৈরী দেশ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে। ‘যেহেতু প্রতিপক্ষ ভারত তাই আমরা এ ম্যাচ খেলার জন্য বেশ মুখিয়ে আছি। আমরা ফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব। দলকে ফাইনালে পৌঁছানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব- বলেন তিনি’। এক দশক পর সাফের সেমিতে পাকিস্তান। তিন বছর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নির্বাসনে থাকার পর কোনো প্রকার চাপে রয়েছেন কি না জানতে চাইলে এই কোচ বলেন, ‘আমি পেশাদার কোচ। এরকম পরিস্থিতি আমি আগেও মোকাবিলা করেছি। যে কারণে এটাকে চাপ বলে মনে করছি না। আমি নির্ভার হয়ে থাকতে চাই। ভালো খেলা উপহার দিতে চাই। ভারত খুবই গোছানো একটা দল। এ টুর্নামেন্টের জন্য তারা তিন বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে, আমরা চেষ্টা করবো ফাইনালে খেলার।’ অধিনায়ক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমরা তিন বছর ধরে আন্তর্জাতিক আসর থেকে নির্বাসিত ছিলাম। স্বাভাবিকভাবেই দল ছিল অগোছালো। কিন্তু কোচ ও কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই দলটি তৈরি করেছেন। এ মুহূর্তে খুব ভালো অবস্থায় রয়েছি আমরা। খেলোয়াড়রা সবাই তাদের ফিটনেসের মধ্যে রয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে আমরা খুবই রোমাঞ্চিত।’ পরিসংখ্যান বলছে তিন বছর ফুটবল থেকে বহিষ্কার থাকা পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভারতই। শেষ ২৩টি ম্যাচের মধ্যে ভারত জিতেছে ১০টিতে এবং পাকিস্তান তিনটি। বাকি ১০টি ম্যাচই অমীমাংসিত ছিল।