বাংলারজমিন
ধরলার উজানে পানি বৃদ্ধি ১৫ বাড়ি বিলীন
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৮:২৯ পূর্বাহ্ন
ফুলবাড়ী উপজেলায় ধরলা নদীর ভাঙন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্মাণাধীন ধরলা সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে নদীর স্রোত সোজাসুজি সোনাইকাজী গ্রামের ভুখণ্ডে আঘাত করার কারণে গত ২দিনে ধরলার ভাঙনে নদী নিকটবর্তী সোনাইকাজী গ্রামের বেড়ীবাঁধ, আবাদি জমি, বাগান, বাঁশঝাড়, বসতভিটা সহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, নির্মাণাধীন ধরলা ব্রিজের এক কিলোমিটার দক্ষিণে সোনাইকাজী এলাকায় ধরলা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নির্মাণাধীন সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে নদীর তীব্র স্রোত সোজাসুজি এই এলাকায় আছড়ে পড়ছে। ফলে অব্যাহত ভাঙনের ফলে সোনাইকাজীর ১৫ টি পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আর নদী থেকে সামান্য দূরত্বে মারাত্মক ভাঙন হুমকির মুখে রয়েছে সোনাইকাজী মসজিদ, রামপ্রসাদ ও প্রাণকৃষ্ণ গ্রাম, মরানদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্র্ণ স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান। ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ব্যবস্থা না নিলে হয়তো অল্পদিনের মধ্যেই ফুলবাড়ী উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে নদীর তীরবর্তী এ প্রাচীন গ্রামগুলো। ওই এলাকার মৃত টরটরু মামুদের ছেলে হাছেন আলী (৭৫)) জানান, দশ ভাইয়ের ৩৫ বিঘা জমি ছিল। নদীভাঙনে সবকিছু বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমরা নিঃস্ব।
সোনাইকাজী গ্রামের হোসেন আলী (৬০), শাহাদৎ হোসেন (৭৫), নুরুল হক (৭০), জেলাল হক (৬৮), বাচ্চানী বেগম (৫৬), শাহাদৎ মিয়া (৭৩), শহিদুল হক (৬০), ইছলাম মিয়া (৫৫), কানা কাশেম (৫৬), লাভলু মিয়া (৪৫), বুলবুলি খাতুন (৪০), লাকী বেগম (৩৫), দুলাল হোসেন (৫০), মিজানুর রহমান (৪৫), আনোয়ার হোসেন (৩৫), গত দুইদিন থেকে নদী বেশি করে ভেঙে গেলো বেশকিছু বসত ভিটা নদী গিলে খাওয়ায় অনেকেই বাড়ি সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ধরলা সহ কুড়িগ্রামের বেশক’টি নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবেন্দ্র নাথ উরাও জানান, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ভাঙন বৃদ্ধির খবর পেয়েছি। পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোনাইকাজী গ্রামের হোসেন আলী (৬০), শাহাদৎ হোসেন (৭৫), নুরুল হক (৭০), জেলাল হক (৬৮), বাচ্চানী বেগম (৫৬), শাহাদৎ মিয়া (৭৩), শহিদুল হক (৬০), ইছলাম মিয়া (৫৫), কানা কাশেম (৫৬), লাভলু মিয়া (৪৫), বুলবুলি খাতুন (৪০), লাকী বেগম (৩৫), দুলাল হোসেন (৫০), মিজানুর রহমান (৪৫), আনোয়ার হোসেন (৩৫), গত দুইদিন থেকে নদী বেশি করে ভেঙে গেলো বেশকিছু বসত ভিটা নদী গিলে খাওয়ায় অনেকেই বাড়ি সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ধরলা সহ কুড়িগ্রামের বেশক’টি নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবেন্দ্র নাথ উরাও জানান, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ভাঙন বৃদ্ধির খবর পেয়েছি। পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।