বিনোদন

স্মরণ

চলে যাওয়ার নয় বছর

স্টাফ রিপোর্টার

১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৭:৫১ পূর্বাহ্ন

উপমহাদেশের প্রখ্যাত মরমী সাধক শাহ আবদুল করিমের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৯ সালের এই দিনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি  রেখে গেছেন এক সৃষ্টিশীল কর্মজীবন। শাহ আবদুল করিম ১৯১৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই থানার উজানধল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ইব্রাহীম আলী ও মায়ের নাম নাইওরজান। সুনামগঞ্জের উজানধলগ্রাম আর কালনী নদীর ঢেউয়ের সঙ্গে বেড়ে ওঠা তার। দারিদ্র্য ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া শাহ আবদুল করিমের সংগীত সাধনার শুরু শৈশবে। তিনি গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ, পাঞ্জু শাহ এবং দুদ্দু শাহর দর্শন থেকে। তার গানে প্রেরণা যুগিয়েছেন স্ত্রী আফতাবুন্নেসা, যাকে তিনি ভালোবেসে সরলা নামে ডাকতেন। আবদুল করিম আধ্যাত্মিক ও বাউল গানের দীক্ষা লাভ করেছেন কামাল উদ্দীন, সাধক রশীদ উদ্দীন, শাহ ইব্রাহীম মাস্তান বকশের কাছ থেকে। শরিয়তি, মারফতি, নবুয়্যতসহ সব ধরনের বাউল গান এবং গানের অন্যান্য শাখার চর্চাও করেছেন।

তার গান গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে শহরের অভিজাত মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়। এই মরমী সাধক প্রায় দেড় সহস্রাধিক গান লিখেছেন এবং সুরারোপ করেছেন। শাহ আব্দুল করিম ২০০১ সালে একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়া দ্বিতীয় সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে এই শিল্পীকে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। ২০০০ সালে কথা সাহিত্যিক আবদুর রউফ চৌধুরী পদক পান তিনি। শাহ আবদুল করিমের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে বন্দে মায়া লাগাইছে, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, গাড়ি চলে না, আমি কূলহারা কলঙ্কিনী, কোন মেস্তরি নাও বানাইছে, কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু, বসন্ত বাতাসে সইগো, আইলায় না আইলায় নারে বন্ধু, সখী কুঞ্জ সাজাও গোসহ অসংখ্য গান।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status