বিশ্বজমিন
‘অবৈধ বাংলাদেশী শুধু আসামেই নয়, সারা ভারতে আছেন’
মানবজমিন ডেস্ক
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১২:৩৩ অপরাহ্ন
অবৈধ বাংলাদেশী শুধু আসামের সমস্যা নয়। এমন বাংলাদেশী ভারতের সর্বত্রই আছে। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, বিজার ও দিল্লি মেট্রোপলিটন শহরগুলোও অবৈধ অভিবাসীদের কারণে নরক যন্ত্রণা সইছে। তাই সব রাজ্যে এনআরসি নিশ্চিত করা উচিত। সোমবার ‘এনআরসি: ডিফেন্ডিং দ্য বর্ডারস, সিকিউরিং দ্য কালচার’ শীর্ষক সেমিনারে এমন মন্তব্য করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। এ খবর দিয়েছে স্টার অনলাইন। এতে বলা হয়েছে, ভারতে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আসামের নাগরিকত্ব বিষয়ক এনআরসি ইস্যুতে প্রচারণা জোরালো করেছে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। এ ইস্যুতে তারা আসাম থেকে সারা দেশের রাজ্যগুলোতে তাদের উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করতে চায়।
ওই সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন বিজেপির জেনারেল সেক্রেটারি রাম মাধন। তিনি বলেন, এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে যেসব মানুষ বাদ পড়েছেন তারা আসামে ভোটাধিকার পাবেন না এবং তাদেরকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এনআরসির অধীনে সব অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা নিশ্চিত করা হবে। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে ভোটার তালিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নাম বাতিল করা বা মুছে ফেলা। তারপর সরকারের তরফ থেকে তারা যেসব সুযোগ সুবিধা পায় তার সবকিছু থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করা। তারপরই তাদেরকে ফেরত পাঠানো হবে।
ওই সেমিনারে সর্বানন্দ সনোয়াল আরো বলেন, ভারতের জাতীয় গড়ের চেয়ে অনেক রাজ্য অধিক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করছে। বিদেশী অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের দেশে প্রবেশ করে হুমকি সৃষ্টি করছে। তারা আমাদের সম্পদ থেকে তারা খাবার খাচ্ছে এবং আমাদের অধিকার তারা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। এটা আমাদের জন্য একটি বিগ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের জবাব আমার মনে হয়, সব রাজ্যের জন্য এনআরসি অত্যাবশ্যকীয়। প্রতিটি রাজ্যের এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া উচিত।
তিনি মনে করেন সব রাজ্যে আসামের মতো এনআরসি নেয়া হলে তা হবে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে। ওই সেমিনারে রাম মাধন ও বিনয় সহ¯্রবুদ্ধের মতো বিজেপির সিনিয়র অন্য নেতাদের উপস্থিতিতে আসামে এনআরসি তালিকা চূড়ান্ত করা হলে যদি আসাম থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা অন্য রাজ্যগুলোতে ছড়িয়ে পড়েন তাহলে কি ঘটবে তা তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, ভারতে ১৯৫১ সালে প্রথম আসাম রাজ্যে এনআরসি প্রস্তুত করা হয়। তারপর থেকে এ তালিকা নবায়ন করা হচ্ছে। বিজেপি প্রধান অমিত শাহ দলের জাতীয় পর্যায়ের নির্বাহীদের উদ্দেশে একদিন আগে একটি বিবৃতি দেন। তাতে আসামে এনআরসির বিরোধীতা করার জন্য তিনি বিরোধী দলগুলোর সমালোচনা করেন। তিনি এদিন বলেন, বেশ কিছু শহরে অবৈধ অভিবাসী ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সনাক্তকরণ কর্মসূচি এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এদেরকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে। তার বক্তব্যের একদিন পরেই আসামের মুখ্যমন্ত্রী সব রাজ্যে এনআরসির প্রস্তাব রাখলেন।
রোববার বিজেপির জাতীয় নির্বাহীদের বৈঠকে একটি রাজনৈতিক প্রস্তাব পাস হয়। এতে আসামে এনআরসি চর্চা করার পক্ষে সুপারিশ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার অধীনে তা আগ্রাসীভাবে বাস্তবায়নের জন্য সর্বানন্দ সনোয়ালের প্রশংসা করা হয় তাতে।
গত ৩০ শে জুলাই আসামের চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশ হয়। সেই তালিকার কথা তুলে ধরে সর্বানন্দ সনোয়াল বলেন, ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ৪০ লাখ মানুষ্ তারা আবার নাগরিকত্ব দাবি করে আবেদন করতে পারেন, তাদের আপত্তির কথা জানাতে পারেন। তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ, প্রতিজন খাঁটি ভারতীয় নাগরিকের বিষয়ে সরকার যতœশীল, তাদেরকে এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কিনতউ এত বিপুল সংখ্যক মানুষ কিভাবে এনআরসি থেকে বাদ পড়লেন তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। এ বিষয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কাজ করতে গিয়ে এখানে-ওখানে ভুলত্রুটি হতেই পারে। তাই আবেদন ও আপত্তির প্রেক্ষিতে সরকার বাদ যাওয়া ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব সংশোধনের কাজ করে যাচ্ছে। এমন আবেদন বা আপত্তি যাচাই করা হচ্ছে। যদি কারো নাম এনআরসিতে না থাকে তার মানে এটা নয় যে তিনি বিদেশী বলে চিহ্নিত হবে।
সর্বানন্দ সনোয়াল আরো বলেন, সীমান্তকে যতক্ষণ নিরাপদ করা না যাবে ততদিন পর্যন্ত অভিবাসী সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এক্ষেত্রে অতীতে সীমান্তকে সিল করে দিয়েছিল কংগ্রেস পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার। কিন্তু তারা ভুল পথে গিয়েছিল। কারণ, ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বিষয়ক কোনো চুক্তি ছিল না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের অধীনে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত সিল করে দেয়া হচ্ছে।
ওই সেমিনারে রাম মাধব বলেন, ১৯৫০-৫১ সাল পর্যন্ত তখনকার জওয়াহারলাল নেহরু নেতৃত্বাধীন সরকার অভিবাসন বিষয়ক আইন করেছে। তাতে আসামে অবৈধ মানুষদের বের করে দেয়ার কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে তাতে। একই রকম পদক্ষেপ যখন বর্তমান সরকার নিয়েছে তখন তা নিয়ে হইচই শুরু করেছে কংগ্রেস পার্টি। অতীতের সরকার রাজনৈতিক কারণে এ বিষয়ে হাত দেয় নি। তিনি আরো বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। তিনি এর বিরোধীতা করছেন। তিনি এখন অবস্থান নিয়েছেন অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে। তিনি বলেন, বর্তমানে আসামের ২৭টি জেলার মধ্যে কমপক্ষে ১১টিকে বলা হয় অনুপ্রবেশকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ। এটা আসামের সংস্কৃতি, সমাজ ও রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। রাম মাধব আরো বলেন, এনআরসি আধুনিকায়ন করা হচ্ছে পক্ষপাতহীন, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে। প্রতিবেশী দেশগুলোতে যেসব হিন্দু, পারসি, শিখ, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নির্যাতিত হচ্ছেন তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। তাদের প্রতি বিজেপি সরকারের প্রতিশ্রুতি আছে। যেসব মানুষ বিপদে পড়েন তাদেরকে সব সময়ই স্বাগত জানায় ভারত।
ওই সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন বিজেপির জেনারেল সেক্রেটারি রাম মাধন। তিনি বলেন, এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে যেসব মানুষ বাদ পড়েছেন তারা আসামে ভোটাধিকার পাবেন না এবং তাদেরকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এনআরসির অধীনে সব অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা নিশ্চিত করা হবে। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে ভোটার তালিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নাম বাতিল করা বা মুছে ফেলা। তারপর সরকারের তরফ থেকে তারা যেসব সুযোগ সুবিধা পায় তার সবকিছু থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করা। তারপরই তাদেরকে ফেরত পাঠানো হবে।
ওই সেমিনারে সর্বানন্দ সনোয়াল আরো বলেন, ভারতের জাতীয় গড়ের চেয়ে অনেক রাজ্য অধিক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করছে। বিদেশী অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের দেশে প্রবেশ করে হুমকি সৃষ্টি করছে। তারা আমাদের সম্পদ থেকে তারা খাবার খাচ্ছে এবং আমাদের অধিকার তারা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। এটা আমাদের জন্য একটি বিগ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের জবাব আমার মনে হয়, সব রাজ্যের জন্য এনআরসি অত্যাবশ্যকীয়। প্রতিটি রাজ্যের এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া উচিত।
তিনি মনে করেন সব রাজ্যে আসামের মতো এনআরসি নেয়া হলে তা হবে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে। ওই সেমিনারে রাম মাধন ও বিনয় সহ¯্রবুদ্ধের মতো বিজেপির সিনিয়র অন্য নেতাদের উপস্থিতিতে আসামে এনআরসি তালিকা চূড়ান্ত করা হলে যদি আসাম থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা অন্য রাজ্যগুলোতে ছড়িয়ে পড়েন তাহলে কি ঘটবে তা তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, ভারতে ১৯৫১ সালে প্রথম আসাম রাজ্যে এনআরসি প্রস্তুত করা হয়। তারপর থেকে এ তালিকা নবায়ন করা হচ্ছে। বিজেপি প্রধান অমিত শাহ দলের জাতীয় পর্যায়ের নির্বাহীদের উদ্দেশে একদিন আগে একটি বিবৃতি দেন। তাতে আসামে এনআরসির বিরোধীতা করার জন্য তিনি বিরোধী দলগুলোর সমালোচনা করেন। তিনি এদিন বলেন, বেশ কিছু শহরে অবৈধ অভিবাসী ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সনাক্তকরণ কর্মসূচি এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এদেরকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে। তার বক্তব্যের একদিন পরেই আসামের মুখ্যমন্ত্রী সব রাজ্যে এনআরসির প্রস্তাব রাখলেন।
রোববার বিজেপির জাতীয় নির্বাহীদের বৈঠকে একটি রাজনৈতিক প্রস্তাব পাস হয়। এতে আসামে এনআরসি চর্চা করার পক্ষে সুপারিশ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার অধীনে তা আগ্রাসীভাবে বাস্তবায়নের জন্য সর্বানন্দ সনোয়ালের প্রশংসা করা হয় তাতে।
গত ৩০ শে জুলাই আসামের চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশ হয়। সেই তালিকার কথা তুলে ধরে সর্বানন্দ সনোয়াল বলেন, ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ৪০ লাখ মানুষ্ তারা আবার নাগরিকত্ব দাবি করে আবেদন করতে পারেন, তাদের আপত্তির কথা জানাতে পারেন। তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ, প্রতিজন খাঁটি ভারতীয় নাগরিকের বিষয়ে সরকার যতœশীল, তাদেরকে এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কিনতউ এত বিপুল সংখ্যক মানুষ কিভাবে এনআরসি থেকে বাদ পড়লেন তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। এ বিষয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কাজ করতে গিয়ে এখানে-ওখানে ভুলত্রুটি হতেই পারে। তাই আবেদন ও আপত্তির প্রেক্ষিতে সরকার বাদ যাওয়া ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব সংশোধনের কাজ করে যাচ্ছে। এমন আবেদন বা আপত্তি যাচাই করা হচ্ছে। যদি কারো নাম এনআরসিতে না থাকে তার মানে এটা নয় যে তিনি বিদেশী বলে চিহ্নিত হবে।
সর্বানন্দ সনোয়াল আরো বলেন, সীমান্তকে যতক্ষণ নিরাপদ করা না যাবে ততদিন পর্যন্ত অভিবাসী সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এক্ষেত্রে অতীতে সীমান্তকে সিল করে দিয়েছিল কংগ্রেস পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার। কিন্তু তারা ভুল পথে গিয়েছিল। কারণ, ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বিষয়ক কোনো চুক্তি ছিল না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের অধীনে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত সিল করে দেয়া হচ্ছে।
ওই সেমিনারে রাম মাধব বলেন, ১৯৫০-৫১ সাল পর্যন্ত তখনকার জওয়াহারলাল নেহরু নেতৃত্বাধীন সরকার অভিবাসন বিষয়ক আইন করেছে। তাতে আসামে অবৈধ মানুষদের বের করে দেয়ার কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে তাতে। একই রকম পদক্ষেপ যখন বর্তমান সরকার নিয়েছে তখন তা নিয়ে হইচই শুরু করেছে কংগ্রেস পার্টি। অতীতের সরকার রাজনৈতিক কারণে এ বিষয়ে হাত দেয় নি। তিনি আরো বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। তিনি এর বিরোধীতা করছেন। তিনি এখন অবস্থান নিয়েছেন অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে। তিনি বলেন, বর্তমানে আসামের ২৭টি জেলার মধ্যে কমপক্ষে ১১টিকে বলা হয় অনুপ্রবেশকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ। এটা আসামের সংস্কৃতি, সমাজ ও রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। রাম মাধব আরো বলেন, এনআরসি আধুনিকায়ন করা হচ্ছে পক্ষপাতহীন, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে। প্রতিবেশী দেশগুলোতে যেসব হিন্দু, পারসি, শিখ, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নির্যাতিত হচ্ছেন তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। তাদের প্রতি বিজেপি সরকারের প্রতিশ্রুতি আছে। যেসব মানুষ বিপদে পড়েন তাদেরকে সব সময়ই স্বাগত জানায় ভারত।