বিশ্বজমিন
ব্রেক্সিট নিয়ে সংকটে কনজারভেটিভ পার্টি
মানবজমিন ডেস্ক
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:০০ পূর্বাহ্ন
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে সংকটের মুখে পড়েছে তার দল কনজারভেটিভ পার্টি। চেকার্সের পরিকল্পনায় অবিচল থাকলে প্রধানমন্ত্রী তার নিজের দলেই বিরোধিতার মুখে পড়তে পারেন। এমনকি এই ইস্যুতে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে ভাঙন ধরারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বৃটেনে চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে সমালোচনা চলছে। তবে এসব উপেক্ষা করে নিজের পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে অবিচল প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’। দ্রুতই তার পরিকল্পনা পার্লামেন্টে তোলার কথা রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেখানে তীব্র প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে পারে চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা। এমনকি কনজারভেটিভ পার্টির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনার বিরোধিতা করতে পারেন।দেশটির ব্রেক্সিট বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্টিভ বেকার এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির ৮০ বা তারও বেশি সদস্য চেকার্সের ব্রেক্সিট প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমনকি ব্রেক্সিট নিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিতে পারে। একদিন আগে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনাকে ‘সুইসাইড ভেস্ট’ আখ্যা দেন। এবার স্টিভ বেকার চেকার্সের ব্রেক্সিট প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বক্তব্য দিলেন। সম্প্রতি তিনি ব্রেক্সিট পরিকল্পনার বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেন। রোববার বৃটিশ বার্তা সংস্থা প্রেস এসোসিয়েশনকে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, তেরেসা মে’ হয়তো ৩০শে সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কনজারভেটিভ পার্টির আসন্ন সম্মেলনে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তবে তেরেসা মে’র পদত্যাগ দাবি করেননি তিনি। স্টিভ বেকার বলেন, ‘টরি পার্টি ভয়াবহ ভাঙনের শিকার হতে পারে। এতদিন আমরা যা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।’ প্রেস এসোসিয়েশনের খবরে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিট চুক্তির পরিবর্তে ইতিমধ্যেই ইউরোপিয়ান কাউন্সিলকে দেয়া শর্তাবলীর আলোকে ইইউ’র সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার পরামর্শ দিয়েছেন স্টিভ বেকার। প্রসঙ্গত, আগামী বছরের ২৯শে মার্চের মধ্যে ইইউ থেকে চূড়ান্তভাবে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য বৃটেনকে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। মাত্র কয়েক মাস বাকি থাকলেও ব্রেক্সিট নিয়ে ইইউ’র সঙ্গে চূড়ান্তভাবে কোনো চুক্তিতে উপনীত হতে পারেনি বৃটেন। প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া নিয়ে একটি রূপরেখা দিয়েছেন। কিন্তু নিজ দেশে, এমনকি নিজ দলের মধ্যেই ব্যাপক বিরোধিতার মুখে পড়েছে তেরেসা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা। এমন অবস্থায় আদৌ ইইউ’র সঙ্গে ব্রেক্সিট নিয়ে কোনো চুক্তি হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কেননা, পার্লামেন্টে যদি চেকার্সের পরিকল্পনা সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন পেয়ে অনুমোদন লাভে ব্যর্থ হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যে নতুন কোনো প্রস্তাব উত্থাপন ও পাস না হয়, তাহলে কোনো চুক্তি ছাড়াই বৃটেনকে ইইউ ছাড়তে হবে। এদিকে, লন্ডন ও ব্রাসেলস উভয় তরফ থেকেই বলা হচ্ছে, তারা আগামী মাসের ১৮ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ইইউ’র কাউন্সিলে ব্রেক্সিট নিয়ে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছতে চান। সেক্ষেত্রে ওই কাউন্সিলের আগেই বৃটেনের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা পার্লামেন্টে অনুমোদিত হতে হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বৃটেনে চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে সমালোচনা চলছে। তবে এসব উপেক্ষা করে নিজের পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে অবিচল প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’। দ্রুতই তার পরিকল্পনা পার্লামেন্টে তোলার কথা রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেখানে তীব্র প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে পারে চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা। এমনকি কনজারভেটিভ পার্টির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনার বিরোধিতা করতে পারেন।দেশটির ব্রেক্সিট বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্টিভ বেকার এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির ৮০ বা তারও বেশি সদস্য চেকার্সের ব্রেক্সিট প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমনকি ব্রেক্সিট নিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিতে পারে। একদিন আগে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনাকে ‘সুইসাইড ভেস্ট’ আখ্যা দেন। এবার স্টিভ বেকার চেকার্সের ব্রেক্সিট প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বক্তব্য দিলেন। সম্প্রতি তিনি ব্রেক্সিট পরিকল্পনার বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেন। রোববার বৃটিশ বার্তা সংস্থা প্রেস এসোসিয়েশনকে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, তেরেসা মে’ হয়তো ৩০শে সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কনজারভেটিভ পার্টির আসন্ন সম্মেলনে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তবে তেরেসা মে’র পদত্যাগ দাবি করেননি তিনি। স্টিভ বেকার বলেন, ‘টরি পার্টি ভয়াবহ ভাঙনের শিকার হতে পারে। এতদিন আমরা যা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।’ প্রেস এসোসিয়েশনের খবরে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিট চুক্তির পরিবর্তে ইতিমধ্যেই ইউরোপিয়ান কাউন্সিলকে দেয়া শর্তাবলীর আলোকে ইইউ’র সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার পরামর্শ দিয়েছেন স্টিভ বেকার। প্রসঙ্গত, আগামী বছরের ২৯শে মার্চের মধ্যে ইইউ থেকে চূড়ান্তভাবে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য বৃটেনকে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। মাত্র কয়েক মাস বাকি থাকলেও ব্রেক্সিট নিয়ে ইইউ’র সঙ্গে চূড়ান্তভাবে কোনো চুক্তিতে উপনীত হতে পারেনি বৃটেন। প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া নিয়ে একটি রূপরেখা দিয়েছেন। কিন্তু নিজ দেশে, এমনকি নিজ দলের মধ্যেই ব্যাপক বিরোধিতার মুখে পড়েছে তেরেসা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা। এমন অবস্থায় আদৌ ইইউ’র সঙ্গে ব্রেক্সিট নিয়ে কোনো চুক্তি হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কেননা, পার্লামেন্টে যদি চেকার্সের পরিকল্পনা সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন পেয়ে অনুমোদন লাভে ব্যর্থ হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যে নতুন কোনো প্রস্তাব উত্থাপন ও পাস না হয়, তাহলে কোনো চুক্তি ছাড়াই বৃটেনকে ইইউ ছাড়তে হবে। এদিকে, লন্ডন ও ব্রাসেলস উভয় তরফ থেকেই বলা হচ্ছে, তারা আগামী মাসের ১৮ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ইইউ’র কাউন্সিলে ব্রেক্সিট নিয়ে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছতে চান। সেক্ষেত্রে ওই কাউন্সিলের আগেই বৃটেনের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা পার্লামেন্টে অনুমোদিত হতে হবে।