বাংলারজমিন

পুলিশ হেফাজতে একজনের মৃত্যু থানা ঘেরাও, রাস্তা অবরোধ

দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি

২১ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৩৯ পূর্বাহ্ন

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ হেফাজতখানায় মিলন (২২) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি সে হাজতখানার বাথরুমে কম্বল দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে  আত্মহত্যা করেছে। তবে পরিবারের দাবি পুলিশ তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। গতকাল সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানায় এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, গত রোববার রাতে দেবীগঞ্জ উপজেলার থানা পাড়া গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে হাসানুর রহমান মিলন (২২) কে মাদকসহ তার বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। মিলন মাদক মামলার আসামি তার বিরুদ্ধে রাতে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আরো জানায় গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত হাজতখানায় জীবিত অবস্থায় ছিলো। এরপর  বাথরুমে ফাঁস লাগা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। গতকাল দুপুরে থানার পুলিশ হেফাজতখানার বাথরুম থেকে দেবীগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহমুদ হাসানের উপস্থিতিতে পুলিশ মিলনের ঝুলন্ত লাশ নামায়। তার লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। এদিকে স্থানীয় জনতা মিলনের মৃত্যুতে থানার সামনে বিক্ষোভ করেন এবং প্রায় ৩ ঘণ্টা অর্থাৎ ২.৩০ মিনিট থেকে ৫.৩০ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখে। স্থানীয়রা থানা অবরোধ করায় পুলিশ থানার পেছন দিক দিয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড়ে নিয়ে যায়। পরিবারকে লাশ দেখতে না দেয়ায় ওই গ্রামের শতাধিক নারী-পুরুষ রাস্তা অবরোধ করে রাখে। ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড় সৈয়দ মাহমুদ হাসান বলেন, প্রাথমিক সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, থানা হাজতের বাথরুমে কম্বল প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যার সুরতহাল করেছি। লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। অফিসার ইনচার্জ, দেবীগঞ্জ থানা,পঞ্চগড় মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, মিলন মাদক মামলার একজন আসামি। তাকে আমরা মাদকসহ তার বাড়ি থেকে আটক করি। সে থানা হাজতখানায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। মিলনের বাবা হবিবুর রহমান জানায়, মিলন ঢাকায় কাঠমিস্ত্রির কাজ করে। গত ১৬ই আগস্ট সে ঈদ করার জন্য বাড়িতে এসেছে। গতকাল পারিবারিক বিষয়ে ঝগড়া হলে মিলনকে থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করি। পুলিশ হেফাজতে মিলন মারা যাবে এ জন্য তাকে পুলিশে দেই নাই, এটি তার পিতা হবিবুর ও মা হাছনা বেগমের অভিযোগ। মিলন কোনো নেশার সঙ্গে জড়িত নয় বলে তার বাবা-মা জানান।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status