বাংলারজমিন
সাঁথিয়ায় কলেজছাত্রীকে পেট্রোল ঢেলে হত্যাচেষ্টা
সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
২১ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:০১ পূর্বাহ্ন
পাবনার সাঁথিয়ায় পূর্ববিরোধের জের ধরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা চালিয়ে কলেজ পড়ুয়া মেয়ের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। আহত মুক্তি খাতুনকে প্রথমে সাঁথিয়া ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। কলেজছাত্রী শরীরের ৬২ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। সাঁথিয়া থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে দুপক্ষের মধ্যে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা স্থানীয়দের। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নাগডেমরা গ্রামে।
থানা পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাগডেমরা গ্রামের উন্মুক্ত জলাশয় দখলকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ও সালাম গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে ১৯শে আগস্ট দুপুরে হামলার ঘটনা ঘটে। ওইদিন সালামের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একদল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেলের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য পুরুষ সদস্য নদী পার হয়ে পালিয়ে যায়। পুরুষদের না পেয়ে হামলাকারীরা পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজের দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেলের মেয়ে মুক্তি খাতুন (২২)কে ঘর থেকে টেনে উঠানে নিয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তার চাচাতো বোন আফরোজা খাতুন (৩০) এগিয়ে আসলে তারা তাকেও পিটিয়ে আহত করে ফেলে রাখে। তারা ফিরে আসার সময় মুক্তিযোদ্ধার একটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। আহত মুক্তি ও আফরোজাকে স্থানীয়রা সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে মুক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডাক্তার জানান কলেজ ছাত্রীর শরীরের ৬২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
এঘটনায় মুক্তির বাবা মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হক বাদী হয়ে ৩২ জনকে আসামি করে রবিবার রাতে সাঁথিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন। যার নং ১৭। থানা পুলিশ রাতে ও সোমবার দিনে অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে আটক করেছে।
রাতেই ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন পাবনা পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম পিপিএম, সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, বেড়া সার্কেল (এএসপি) আশিস বীন হাসান ও র্যাবের প্রতিনিধি দল।
ঘটনার পর থেকেই এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। দুগ্রুপের মধ্যে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে এলাকা পুরুষ ও মহিলারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
বেড়া সার্কেল (এএসপি) আশিস বীন হাসান জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আগ্নি দগ্ধ কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। ১৯ জন আসামি আটক হয়েছে। বাকীদের আটকের জন্য পুলিশ ও ডিবির টিম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রকাশ উপজেলার নাগডেমরা উন্মুক্ত জলাশয় দখলকে কেন্দ্র করে সালাম ও মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক গ্রুপের মধ্যে গত ২৯শে জুলাই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষই থানায় মামলা করে।
থানা পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাগডেমরা গ্রামের উন্মুক্ত জলাশয় দখলকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ও সালাম গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে ১৯শে আগস্ট দুপুরে হামলার ঘটনা ঘটে। ওইদিন সালামের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একদল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেলের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য পুরুষ সদস্য নদী পার হয়ে পালিয়ে যায়। পুরুষদের না পেয়ে হামলাকারীরা পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজের দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেলের মেয়ে মুক্তি খাতুন (২২)কে ঘর থেকে টেনে উঠানে নিয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তার চাচাতো বোন আফরোজা খাতুন (৩০) এগিয়ে আসলে তারা তাকেও পিটিয়ে আহত করে ফেলে রাখে। তারা ফিরে আসার সময় মুক্তিযোদ্ধার একটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। আহত মুক্তি ও আফরোজাকে স্থানীয়রা সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে মুক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডাক্তার জানান কলেজ ছাত্রীর শরীরের ৬২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
এঘটনায় মুক্তির বাবা মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হক বাদী হয়ে ৩২ জনকে আসামি করে রবিবার রাতে সাঁথিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন। যার নং ১৭। থানা পুলিশ রাতে ও সোমবার দিনে অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে আটক করেছে।
রাতেই ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন পাবনা পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম পিপিএম, সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, বেড়া সার্কেল (এএসপি) আশিস বীন হাসান ও র্যাবের প্রতিনিধি দল।
ঘটনার পর থেকেই এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। দুগ্রুপের মধ্যে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে এলাকা পুরুষ ও মহিলারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
বেড়া সার্কেল (এএসপি) আশিস বীন হাসান জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আগ্নি দগ্ধ কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। ১৯ জন আসামি আটক হয়েছে। বাকীদের আটকের জন্য পুলিশ ও ডিবির টিম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রকাশ উপজেলার নাগডেমরা উন্মুক্ত জলাশয় দখলকে কেন্দ্র করে সালাম ও মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক গ্রুপের মধ্যে গত ২৯শে জুলাই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষই থানায় মামলা করে।