সোনারগাঁয়ে ইউপি সদস্যকে হত্যার চেষ্টা

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বৈদ্যেরবাজার গরুর হাটে পুলিশের সামনে ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গতকাল বিকালে উপজেলার বৈদ্যেরবাজার গরুর হাটে কোরবানির গরু কিনতে গেলে প্রতিপক্ষরা তার ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনসহ তার পরিবারের ৫ জনকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসী আহত ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে গতকাল বিকালে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বৈদ্যেরবাজার গরুর হাটে কোরবানির গরু কিনতে যায় পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মোশারফ হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন। এ সময় হাটে নিরাপত্তায় ডিউটিরত পুলিশের সামনে স্থানীয় সৈকতের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি দল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মোশারফ মেম্বারের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা মোশারফ মেম্বারকে হত্যার চেষ্টায় এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। এ সময় হামলাকারীরা মোশারফ মেম্বারের ছেলে সাজিদ, সাহিদ, বোন পারভীন, তোহরাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে হাটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা ও এলাকাবাসী আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ সময় হাটে আসা ক্রেতারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে তারা দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে।
আহত ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন জানান, সন্ত্রাসী সৈকতের নেতৃত্বে তার সহযোগী আল আমিন, মিজান, সবুজ, রাসেল, অলি ও শাহীনসহ প্রায় ৩০-৪০ জনের একটি দল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। হামলায় আমি ও আমার পরিবারের ৪ জন আহত হয়।  সোনারগাঁ থানার ওসি মো. মোরশেদ আলম পিপিএম জানান, মোশারফ হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।