খেলা
স্নায়ুচাপ কাটিয়ে উঠতে না পারায় হতাশ বাকি
স্পোর্টস রিপোর্টার
২১ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:৫১ পূর্বাহ্ন
এশিয়ান গেমসের শুটিংয়ে সুখবর নেই বাংলাদেশের। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের বাছাই থেকে বাদ পড়েছেন কমনওয়েলথ গেমসে রূপা জয়ী আব্দুল্লাহ হেল বাকি। গতকাল ইন্দোনেশিয়ায় বাকির স্কোর ছিল ৬১৮.৪। ইভেন্টে ৪৪ জন প্রতিযোগীর মাঝে বাকি হন ১৯তম। একই ইভেন্টে বাংলাদেশের আরেক শুটার রিসাতুল ইসলামও বেশি দূর যেতে পারেননি, হয়েছেন ২৯তম। তার স্কোর ছিল ৬১৪.৩। মেয়েদের ইভেন্টেও হতাশাই সঙ্গী বাংলাদেশের। বাছাই থেকে ছিটকে গেছেন দুই শুটার উম্মে জাকিয়া সুলতানা ও শারমিন আক্তার রত্না। জাকিয়া সুলতানা ৬১২.৬ পয়েন্ট নিয়ে ৪৬ জনের মাঝে হয়েছেন ২৫তম আর ৬০৯.৭ স্কোর করা রত্না হয়েছেন ৩৪তম।
গত এপ্রিলে কমনওয়েলথ গেমসে রুপা জয়ের পথে বাছাইয়ে বাকি স্কোর করেন ৬১৬ স্কোর। ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমসে ৬১৫। গতকাল পালেমবাংয়ের শুটিং রেঞ্জে তার স্কোর সে তুলনায় ভালো ৬১৮। কিন্তু এশিয়ান গেমসের মান অনুযায়ী এটা বেশ কম। বাকি নিজেই এতে হতাশ, ‘ঢাকায় অনুশীলনে আমার ৬২৭ পর্যন্ত স্কোর হয়েছে। এখানে এক কম হবে ভাবিনি।’ অষ্টম হয়ে চূড়ান্ত পর্বে ওঠা উজবেক প্রতিযোগীর স্কোর ৬২৪। নিজের সেরাটা দিতে পারলে বাকির প্রথমবারের মতো এশিয়াডের ফাইনালে খেলা অসম্ভব ছিল না। ৫১তম শটটা বেশি খারাপ হয়ে যায় বাকির, ৮.৬। এই শটেই ছিটকে যান লড়াই থেকে। খেলা শেষে বলেন, ‘গত অলিম্পিকে যাওয়ার আগে ৬৩০ স্কোর করি। গড়ে ৬২৭/২৮ হয়েছে। অথচ অলিম্পিকে হয়েছে ৬২১.৯! আসলে স্নায়ুচাপই আমার বড় শত্রু হয়ে গেছে।’ বাকির আক্ষেপ, ‘এখনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এলে মনে হয় আমি নতুন। আমি তো আসিই বছরে এক-দু’বার। একটা-দুইটা ফাইনাল খেলি কপালে থাকলে। বাইরে খেলার সুযোগ পাচ্ছি না। সুযোগ না পেলে উন্নতি করা সম্ভব নয়।’ গত চার মাসে কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ হয়নি বাকির। ফেডারেশন কোথাও পাঠাচ্ছে না। দলের কোচ ক্লাভস কিছুটা নিরাশ বাকির স্কোর দেখে। তার কথা, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা বাইরে যাচ্ছি না খেলতে। ফেডারেশনের হয়তো টাকার অভাব। কিন্তু বাইরে বড় বড় প্রতিযোগিতায় খেলার বিকল্প নেই। বাকি খেলার মধ্যে না থাকলে বড় প্রতিযোগিতায় স্নায়ু ধরে রাখতে পারবে না স্বাভাবিক। তবে, শেষ ১০ শট খারাপ না হলে সে ১২-১৩তম স্থানে থাকতে পারতো। সেটি হতো মোটামুটি ভালো ফল।’
এশিয়ান গেমসে চীন, জাপান, কোরিয়ার প্রতিযোগীরা থাকেন বলে এখানে লড়াই করাও অনেক কঠিন। বাকি ভালো করতে না পারলেও ভারতের দু’জন রবি কুমার ও দীপক কুমার উঠেছেন ফাইনালে।
গত এপ্রিলে কমনওয়েলথ গেমসে রুপা জয়ের পথে বাছাইয়ে বাকি স্কোর করেন ৬১৬ স্কোর। ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমসে ৬১৫। গতকাল পালেমবাংয়ের শুটিং রেঞ্জে তার স্কোর সে তুলনায় ভালো ৬১৮। কিন্তু এশিয়ান গেমসের মান অনুযায়ী এটা বেশ কম। বাকি নিজেই এতে হতাশ, ‘ঢাকায় অনুশীলনে আমার ৬২৭ পর্যন্ত স্কোর হয়েছে। এখানে এক কম হবে ভাবিনি।’ অষ্টম হয়ে চূড়ান্ত পর্বে ওঠা উজবেক প্রতিযোগীর স্কোর ৬২৪। নিজের সেরাটা দিতে পারলে বাকির প্রথমবারের মতো এশিয়াডের ফাইনালে খেলা অসম্ভব ছিল না। ৫১তম শটটা বেশি খারাপ হয়ে যায় বাকির, ৮.৬। এই শটেই ছিটকে যান লড়াই থেকে। খেলা শেষে বলেন, ‘গত অলিম্পিকে যাওয়ার আগে ৬৩০ স্কোর করি। গড়ে ৬২৭/২৮ হয়েছে। অথচ অলিম্পিকে হয়েছে ৬২১.৯! আসলে স্নায়ুচাপই আমার বড় শত্রু হয়ে গেছে।’ বাকির আক্ষেপ, ‘এখনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এলে মনে হয় আমি নতুন। আমি তো আসিই বছরে এক-দু’বার। একটা-দুইটা ফাইনাল খেলি কপালে থাকলে। বাইরে খেলার সুযোগ পাচ্ছি না। সুযোগ না পেলে উন্নতি করা সম্ভব নয়।’ গত চার মাসে কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ হয়নি বাকির। ফেডারেশন কোথাও পাঠাচ্ছে না। দলের কোচ ক্লাভস কিছুটা নিরাশ বাকির স্কোর দেখে। তার কথা, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা বাইরে যাচ্ছি না খেলতে। ফেডারেশনের হয়তো টাকার অভাব। কিন্তু বাইরে বড় বড় প্রতিযোগিতায় খেলার বিকল্প নেই। বাকি খেলার মধ্যে না থাকলে বড় প্রতিযোগিতায় স্নায়ু ধরে রাখতে পারবে না স্বাভাবিক। তবে, শেষ ১০ শট খারাপ না হলে সে ১২-১৩তম স্থানে থাকতে পারতো। সেটি হতো মোটামুটি ভালো ফল।’
এশিয়ান গেমসে চীন, জাপান, কোরিয়ার প্রতিযোগীরা থাকেন বলে এখানে লড়াই করাও অনেক কঠিন। বাকি ভালো করতে না পারলেও ভারতের দু’জন রবি কুমার ও দীপক কুমার উঠেছেন ফাইনালে।