বাংলারজমিন

ফেরিতে উঠতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে যাত্রীরা

রিপন আনসারী, মানিকগঞ্জ থেকে

২১ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:৫০ পূর্বাহ্ন

গতকাল দুপুরের পর থেকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া ঘাটে। তবে কাটা লাইন পরিবহনের যাত্রীর চাপ সবচেয়ে বেশি।  ওই সব পরিবহনের হাজার হাজার যাত্রী প্রায় এক কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে লঞ্চ ও ফেরিতে পার হতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। ২০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করায় ঈদের দুইদিন আগে গতকাল পাটুরিয়া ঘাটে যানজটের কোনো দৃশ্য চোখে পড়েনি।  
সরজমিন সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘাট একেবারেই ফাঁকা। যেখানে ঈদের দুইদিন আগে এই ঘাটে সারি সারি যানবাহনের লাইন আর যানজটে নাকাল অবস্থা তৈরি হতো সেখানে যানবাহনের চাপ ছিল না বললেই চলে। এমন দৃশ্য ঈদের আগে সচরাচর চোখে পড়া দুষ্কর। তবে কাটা লাইন পরিবহনের যাত্রীদের চাপ ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। ঢাকার গাবতলী, সাভার ও নবীনগর থেকে যাত্রী বোঝাই এসব কাটা লাইনের পরিবহনের শেষ ঠিকানাই হচ্ছে পাটুরিয়া ঘাট। যাত্রীরা এই ঘাট থেকে ফেরি কিংবা লঞ্চযোগে দৌলতদিয়া ঘাটে যায় এবং সেখান থেকে আবার কাটা লাইনের পরিবহনে উঠে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছায়। দুপুরের দিকে খানিকক্ষণ বৃষ্টি হলে কাটা লাইন পরিবহনের যাত্রীরা চরম ভোগান্তির কবলে পড়েন। হাজার হাজার যাত্রী বৃষ্টিতে ভিজেই ফেরি ও লঞ্চে উঠেন। এদিকে বিকাল ২টার পর থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ফেরি পারাপাররত যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় পাটুরিয়া ঘাটে। নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিগুলো খুবই ধীরগতিতে চলাচল করায় ঘাট এলাকায় জড়ো হতে থাকে শত শত যানবাহন। ২৫-৩০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে প্রতিটি ফেরিকে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় নিতে হচ্ছে। ফলে  ফেরির টিপ সংখ্যা কমে যাওয়ায় ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। এছাড়া প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের চাপ ছিল অনেক বেশি। পাটুরিয়া ৫ নং ফেরিঘাট দিয়ে ছোট গাড়িগুলোকে পারাপার করা হলেও সেখানে চাপ বেশি থাকায় যাত্রীরা দুই থেকে তিন ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকে।
বিআইডব্লিউটিসি এজিএ জিল্লুর রহমান জানান, ঈদের ঘরমুখো যাত্রী ও বাস পারাপারের জন্য ২০টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে যাত্রীবাহী বাসের চাপ না থাকায় ঘাটে আটকে থাকা ট্রাক ও কাটা লাইন পরিবহনের যাত্রী পারাপার করা হয়। তবে দুপুরের পর থেকে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। তাছাড়া প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের চাপ সকাল থেকেই রয়েছে ঘাট এলাকায়। পাটুরিয়া ৫ নং ফেরিঘাট দিয়ে সেগুলো পারাপার করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিগুলো তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। ২৫-৩০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে দ্বিগুণ সময় বেশি লাগছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগের সৃষ্টি না হলে যে ফেরি সচল আছে তা দিয়ে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status