খেলা
সঠিক পথেই আছে ‘এ’ দল
স্পোর্টস রিপোর্টার
২১ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:৫০ পূর্বাহ্ন
জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম পাইপ লাইন ‘এ’ দল। বাদ পড়া ও নতুন মুখের ক্রিকেটারদের জন্য ‘এ’ দল যেন পরীক্ষার বেঞ্চ। কিন্তু বেশ কিছুদিন থেকেই বাংলাদেশ ‘এ’ দলের তেমন কোনো খেলাই ছিল না। তবে এ বছর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পাইপ লাইনের শক্তি বাড়াতে আয়োজন করছে বেশ কিছু সফর। এর মধ্যে সদ্য শেষ হওয়া আয়ারল্যান্ড সফর অন্যতম। এক দিকে এই দলে ছিলেন মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, তাইজুলদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। অন্যদিকে ছিলেন তরুণ সাইফ হাসান, জাকির হাসান, আফিফ হোসেন, সাইফুদ্দিনদের মতো তরুণ ক্রিকেটাররাও। প্রতিকূল আইরিশ কন্ডিশনে ওয়ানডে সিরিজ টাইগাররা ২-২ ড্র করেছে। আর সফরের শেষ ম্যাচে সাফল্য নিয়ে ২-১এ জিতে নেয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আয়ারল্যান্ড সফরের শুরু থেকেই দলের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। তার কড়া নজর ছিল ক্রিকেটারদের ওপর। বিশেষ করে নতুন ও পুরনোরা পারফরম্যান্স দিয়ে জাতীয় দলে আসার জন্য কতটা যোগ্য সেটিই দেখছিলেন তিনি। এ সফর নিয়ে হাবিবুল বাশারের মূল্যায়ন- সঠিক পথেই আছে ‘এ’ দল। তিনি বলেন, ‘মূল্যায়ন হিসেবে দুটি বিষয় বলতে পারি। একটি হলো ভালো হয়েছে। আরেকটি হলো আমরা আরো ভালো করতে পারতাম। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের দিকে। কারণ এখান থেকেই তো জাতীয় দলে রাখা হবে। সেই হিসেবে বলবো যাদের নিয়ে আমরা জাতীয় দল ভাবছি তারা যোগ্যতা রাখে। আমি বলবো এক কথায় সঠিক পথেই আছে ‘এ’ দল।’
বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ছিলেন ফর্মের বাইরে। এর মধ্যে সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন, সাইফুদ্দিনরা ফর্মে ফেরার জন্য লড়ছিলেন। অন্যদিকে, আফিফ, সাইফ, খালেদ আহমেদদের মতো তরুণরা নিজেদের প্রমাণ করার লড়াই করেছেন। তাদের কাছে যে প্রত্যাশা ছিল কতটা তারা পূরণ করতে পেরেছেন? বাশার মনে করেন, পুরনো ও নতুন ক্রিকেটারদের বেশির ভাগই নিজেদের যোগ্যতার ১৬ আনা না হলেও ১২ আনা দিতে সক্ষম হয়েছেন। হাবিবুল বাশার বলেন, ‘আমি বলবো পুরনো ও নতুনদের মধ্যে প্রায় সবাই আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেছে। আমি বলতে পারি যাদের আমরা ভবিষ্যৎ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ভাবি সেই আফিফ, সাইফ, আল আমিন, ফজলে রাব্বি, খালেদরা দারুণ ক্রিকেট খেলেছে। সবাই কোনো না কোনো ম্যাচে অবদান রেখেছে। এতে আমি বলতে পারি তরুণদের নিয়ে আমাদের ভাবনাটা সঠিক পথেই যাচ্ছে। জাকির দলের হয়ে ওয়ানডে সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছে। আল আমিন, ফজলে রাব্বিরা রান করেছে। তবে সাইফের আরো ভালো করার যোগ্যতা আছে। আশা করি সামনে সে ঠিকই ভালো করবে। বলতে পারেন, আগামী দুই তিন বছরে এরা জাতীয় দলে খেলার যোগ্য। তবে লেগ স্পিনার নাঈম ইসলামকে নিয়ে যতটা আশা ছিল তা আমরা পাইনি। আমার মনের হয় ওর আরো সময় লাগবে।’
ফর্মহীন পুরনোদের নিয়ে আশাবাদী হাবিবুল বাশার। তিনি বলেন, ‘মুমিনুলের কথাই ধরেন ও অসাধারণ খেলেছে। দলের হয়ে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে রেকর্ড রান করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বাধিক ২৮৯ রান তার। ব্যাট হাতে ওর কাছে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল তার অনেকটাই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। এরপর সৌম্য সরকার দীর্ঘদিন ফর্মে ছিল না। টি-টোয়েন্টিতে সে রানে ফিরেছে। লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল ব্যাট হাতে। আশা করি এই ফর্ম ধরে রাখতে পারবে। তাইজুল দারুণ বল করেছে। মিঠুন, রান পেয়েছে। সব মলিয়ে আমি বলবো খারাপ হয়নি।’ অন্যদিকে এ সফরে পেসারদের দিকেও বিশেষ নজর ছিল নির্বাচক হাবিবুল বাশারের। এর মধ্যে সিলেটের তরুণ পেসার খালেদ আহমেদ সবার নজর কেড়েছেন। তিনি দলের হয়ে ওয়ানডে সিরিজে ১০ উইকেট নিয়েছেন। বাশার বলেন, আমাদের এ সফরে পেসারদের দিকেও বিশেষ নজর ছিল। এর মধ্যে খালেদকে নিয়ে বলবো ও অনেক লম্বা স্পেলে বল করার ক্ষমতা রাখে। ওর বড় বিষয় হলো বেশ দীর্ঘদেহী, এমন পেসারই আমাদের প্রয়োজন। এছাড়াও শরিফুল ইসলাম দারুণ করেছে। সাইফুদ্দিন ফর্মে ফিরেছে। আমি বলবো সবাই শতভাগ না হলেও প্রত্যাশা পূরণ করেছে। আমি বলবো এ সফর সব মিলিয়ে ভালোই হয়েছে। সামনে ‘এ’ দলের জন্য আরো ম্যাচ থাকবে। সেখানেও আমাদের কড়া নজর থাকবে।
বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ছিলেন ফর্মের বাইরে। এর মধ্যে সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন, সাইফুদ্দিনরা ফর্মে ফেরার জন্য লড়ছিলেন। অন্যদিকে, আফিফ, সাইফ, খালেদ আহমেদদের মতো তরুণরা নিজেদের প্রমাণ করার লড়াই করেছেন। তাদের কাছে যে প্রত্যাশা ছিল কতটা তারা পূরণ করতে পেরেছেন? বাশার মনে করেন, পুরনো ও নতুন ক্রিকেটারদের বেশির ভাগই নিজেদের যোগ্যতার ১৬ আনা না হলেও ১২ আনা দিতে সক্ষম হয়েছেন। হাবিবুল বাশার বলেন, ‘আমি বলবো পুরনো ও নতুনদের মধ্যে প্রায় সবাই আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেছে। আমি বলতে পারি যাদের আমরা ভবিষ্যৎ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ভাবি সেই আফিফ, সাইফ, আল আমিন, ফজলে রাব্বি, খালেদরা দারুণ ক্রিকেট খেলেছে। সবাই কোনো না কোনো ম্যাচে অবদান রেখেছে। এতে আমি বলতে পারি তরুণদের নিয়ে আমাদের ভাবনাটা সঠিক পথেই যাচ্ছে। জাকির দলের হয়ে ওয়ানডে সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছে। আল আমিন, ফজলে রাব্বিরা রান করেছে। তবে সাইফের আরো ভালো করার যোগ্যতা আছে। আশা করি সামনে সে ঠিকই ভালো করবে। বলতে পারেন, আগামী দুই তিন বছরে এরা জাতীয় দলে খেলার যোগ্য। তবে লেগ স্পিনার নাঈম ইসলামকে নিয়ে যতটা আশা ছিল তা আমরা পাইনি। আমার মনের হয় ওর আরো সময় লাগবে।’
ফর্মহীন পুরনোদের নিয়ে আশাবাদী হাবিবুল বাশার। তিনি বলেন, ‘মুমিনুলের কথাই ধরেন ও অসাধারণ খেলেছে। দলের হয়ে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে রেকর্ড রান করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বাধিক ২৮৯ রান তার। ব্যাট হাতে ওর কাছে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল তার অনেকটাই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। এরপর সৌম্য সরকার দীর্ঘদিন ফর্মে ছিল না। টি-টোয়েন্টিতে সে রানে ফিরেছে। লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল ব্যাট হাতে। আশা করি এই ফর্ম ধরে রাখতে পারবে। তাইজুল দারুণ বল করেছে। মিঠুন, রান পেয়েছে। সব মলিয়ে আমি বলবো খারাপ হয়নি।’ অন্যদিকে এ সফরে পেসারদের দিকেও বিশেষ নজর ছিল নির্বাচক হাবিবুল বাশারের। এর মধ্যে সিলেটের তরুণ পেসার খালেদ আহমেদ সবার নজর কেড়েছেন। তিনি দলের হয়ে ওয়ানডে সিরিজে ১০ উইকেট নিয়েছেন। বাশার বলেন, আমাদের এ সফরে পেসারদের দিকেও বিশেষ নজর ছিল। এর মধ্যে খালেদকে নিয়ে বলবো ও অনেক লম্বা স্পেলে বল করার ক্ষমতা রাখে। ওর বড় বিষয় হলো বেশ দীর্ঘদেহী, এমন পেসারই আমাদের প্রয়োজন। এছাড়াও শরিফুল ইসলাম দারুণ করেছে। সাইফুদ্দিন ফর্মে ফিরেছে। আমি বলবো সবাই শতভাগ না হলেও প্রত্যাশা পূরণ করেছে। আমি বলবো এ সফর সব মিলিয়ে ভালোই হয়েছে। সামনে ‘এ’ দলের জন্য আরো ম্যাচ থাকবে। সেখানেও আমাদের কড়া নজর থাকবে।