বাংলারজমিন
দৌলতপুরে ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
২১ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
দৌলতপুরে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জনপ্রতি ২০ কেজি বিতরণের পরবির্তে ১৪-১৫ কেজি আবার কাউকে ১০ কেজিও দেয়া হয়েছে। আর এসব অভিযোগ বেশি পাওয়া গেছে আড়িয়া ও রিফায়েতপুর ইউনিয়নে। এ ছাড়াও উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই ভিজিএফ কার্ডধারীদের মাঝে কম চাল দেয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, রোববার দুপুরে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর থেকে ৭৫৬ জন দরিদ্র ব্যক্তির মাঝে ভিজিএিফ’র চাল জনপ্রতি ২০ কেজি করে দেয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ ব্যক্তিকে ১৪-১৫ কেজি করে দেয়া হয়েছে। রফিক নামে আড়িয়া ইউনিয়নের এক ব্যক্তি জানান, তার ইউনিয়নে কাউকে ১৫ কেজি আবার কাউকে ১০ কেজিও চাল দেয়া হয়েছে। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ আনসারি বিপ্লব বলেন, বরাদ্দের বিপরীতে অতিরিক্ত লোক সমাগম হলে দু-এক কেজি করে চাল বাঁচিয়ে তাদের দেয়া হয়েছে। এখানে এমন কোনো অনিয়ম হয়নি। অপরদিকে গত শুক্রবার সকালে রিফায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার ভিজিএফ চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তিনি চলে আসার পর জনপ্রতি ২০ কেজি চাল দেয়ার পরিবর্তে ১৫-১৬ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও গত জুন মাসে ভিজিডি কার্ডধারী ১০১ জনকে ৩০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও পুরোটাই গায়েব করা হয়েছে বলে রিফায়েতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজির চাল না দিয়ে পুরোটাই আত্মসাৎ করলে রিফায়েতপুর ইউপি চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু’র নামে দদুকে মামলাও হয়।
ভিজিএফ ও ভিজিডি চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আল মামুন বলেন, ভিজিএফ চাল বিতরণে সবচেয়ে তার ইউনিয়ন আড়িয়া ও পার্শ্ববর্তী রিফায়েতপুর ইউনিয়নে অনিয়ম বেশি হয়েছে। ২০ কেজির পরিবর্তে কাউকে ১০ কেজিও দেয়া হয়েছে। এমনকি রিফায়েতপুর ইউনিয়নে গত জুন মাসের ভিজিডির চাল বিতরণ না করে পুরোটাই গায়েব করা হয়েছে এমন অভিযোগ তার কাছে রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
ভিজিএফ ও ভিজিডি চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আল মামুন বলেন, ভিজিএফ চাল বিতরণে সবচেয়ে তার ইউনিয়ন আড়িয়া ও পার্শ্ববর্তী রিফায়েতপুর ইউনিয়নে অনিয়ম বেশি হয়েছে। ২০ কেজির পরিবর্তে কাউকে ১০ কেজিও দেয়া হয়েছে। এমনকি রিফায়েতপুর ইউনিয়নে গত জুন মাসের ভিজিডির চাল বিতরণ না করে পুরোটাই গায়েব করা হয়েছে এমন অভিযোগ তার কাছে রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।