বাংলারজমিন
মহম্মদপুরে পাট পচানো নিয়ে দিশাহারা কৃষক
মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
২১ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
মহম্মদপুর উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় এবার কৃষকেরা পাট পচানো বা জাগ দেওয়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। কারন এখনো প্রয়জনীয় পরিমাণে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পুকুর, ডোবা জলাশয় ও খাল-বিলে পাট জাগ দেওয়ার মতো পানি জমেনি। ফলে বাধ্য হয়েই প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে উপজেলার পশ্চিম সীমান্তবর্তী নবগঙ্গা নদী এবং দক্ষিণ সীমান্তের মধুমতি নদীর শাখা পাড়ুয়ার খালে পাট জাগ দেওয়া শুরু করেছেন ১০ গ্রামের মানুষ। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বিগত বছরের তুলনায় অধিক জমিতে পাট চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলনও হয়েছ। তার পরেও চরম দুরাবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন উপজেলার রায়পুর, কাশিপুর, আউনাড়া, ধুলজুড়ি, বঙ্গেশ্বর, যশপুর, ধোয়াইল, শ্যামনগর, গোপালনগর ও পূর্বনারায়ণপুর গ্রামের কৃষকরা। কারন জলাশয়গুলোতে প্রয়জনীয় পরিমাণ পানি না থাকায় পাট কাটা যাচ্ছে না। আবার অনেক কৃষকই নতুন করে ধান লাগানোর জন্য জমি ফাকা করতে পাট কেটে ফেললেও তা জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। কেউ কেউ আবার ১০-১৫ কি.মি. পথ অতিক্রম করে উপজেলার সীমান্তবর্তী নবগঙ্গা নদী এবং পাগুয়ার খালে পাট পচাতে শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিকুর রহমান মানবজমিনকে জানান, এবছর উপজেলায় ১০৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ জমিতে।
বেথুলিয়া গ্রামের কৃষক আবদুল বারিক শেখ জানায়, এবছর অধিক লাভের আশায় বেশি জমিতে পাট চাষ করেছিলেন কিন্তু পানির অভাবে পাট কাটতে পারছি না। সময়মতো পাট জাগ দিতে না পারলে তার সব আশা ভেঙে যেতে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন। উপজেলার গোপালনগর গ্রামের কৃষক সোহবান শেখ জানায়, ইরিধান লাগানোর জন্য পাট কেটে ফেলেছি কিন্তু সময় মত তা পচাতে না পারলে নায্য দাম পাওয়া যাবে না।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলা শহর থেকে প্রধান সড়ক দিয়ে জেলা শহর মাগুরা যাওয়ার পথে কৃষকরা পাট কেটে সারিবদ্ধভাবে রাস্তার দু’ধারে সারিবদ্ধ করে রেখেছেন। বৃষ্টির প্রতীক্ষায় চেয়ে আছেন তারা। আর যাদের একটু সামর্থ আছে তার লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে ভ্যানে অথবা নছিমনে পাট পচাতে নিয়ে যাচ্ছেন নবগঙ্গা নদী ও পাড়ুয়ার খালে। তার ওবা কতটুকু ঘরে ফিরবে এ নিয়েও আশঙ্কা করেছেন কয়েকজন কৃষক।
বেথুলিয়া গ্রামের কৃষক আবদুল বারিক শেখ জানায়, এবছর অধিক লাভের আশায় বেশি জমিতে পাট চাষ করেছিলেন কিন্তু পানির অভাবে পাট কাটতে পারছি না। সময়মতো পাট জাগ দিতে না পারলে তার সব আশা ভেঙে যেতে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন। উপজেলার গোপালনগর গ্রামের কৃষক সোহবান শেখ জানায়, ইরিধান লাগানোর জন্য পাট কেটে ফেলেছি কিন্তু সময় মত তা পচাতে না পারলে নায্য দাম পাওয়া যাবে না।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলা শহর থেকে প্রধান সড়ক দিয়ে জেলা শহর মাগুরা যাওয়ার পথে কৃষকরা পাট কেটে সারিবদ্ধভাবে রাস্তার দু’ধারে সারিবদ্ধ করে রেখেছেন। বৃষ্টির প্রতীক্ষায় চেয়ে আছেন তারা। আর যাদের একটু সামর্থ আছে তার লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে ভ্যানে অথবা নছিমনে পাট পচাতে নিয়ে যাচ্ছেন নবগঙ্গা নদী ও পাড়ুয়ার খালে। তার ওবা কতটুকু ঘরে ফিরবে এ নিয়েও আশঙ্কা করেছেন কয়েকজন কৃষক।