বাংলারজমিন
কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে দূষিত সুতাং নদীর পানি
শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
২১ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ৭:৪১ পূর্বাহ্ন
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুরে গ্যাসের সুবিধা ও ঢাকা-সিলেটে যোগাযোগের উন্নত মাধ্যম রেলপথ। এই মহাসড়ককে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নবগঠিত ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নে অবস্থিত অলিপুর নামক স্থানে বিশাল এলাকা নিয়ে স্থাপিত হয়েছে প্রাণ-আর এফ এল গ্রুপের নামে “হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক”। সরকারের সকল নিয়ম কানুন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা তদারকি না থাকায় প্রাণ-আর এফ এল কোম্পানির ব্যবস্থাপকের অবহেলায় কোম্পানির দীর্ঘদিন ধরে বিষাক্ত বর্জ্য কালো পানি খাল দিয়ে সুতাং নদীতে গভীর রাতে প্রবেশ করে দিচ্ছে।
এতে প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ রাসায়নিক দ্রব্য বর্জ্য দুর্গন্ধে রোগ বালাই আক্রান্ত হচ্ছে। এমনকি জেলার শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই উপজেলা দিয়ে সুতাং নদী প্রবেশ করলে এ অঞ্চলের কৃষি জমি, জনস্বাস্থ্য, মাছ, পশু-পাখি ও জীব বৈচিত্র্যের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। প্রতিবাদ করার কেউ নেই। “হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক-এর আশপাশে বেশ কয়েকটি কোম্পানি, হাট বাজার, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে নিজের দোষ চাপিয়ে দূষিত বর্জ্য কালো পানি সুতাং নদীতে ফেলে দিচ্ছে বলে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভোক্তভোগীরা জেলা প্রশাসক বরাবরে। অলিপুর, শৈলজুরা সুরাবই এলাকা সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপিত হওয়ার পর হবিগঞ্জ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান হতে নারী-পুরুষ শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে। প্রতি বৎসর সাংবাদিক নিয়ে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান হতো কিন্তু তা এখন আর নেই।
কোম্পানির ভেতরে যা কিছু অপরাধমূলক কার্যক্রম হয় তা সাংবাদিকদের বুঝতে দেয়া হয় না এবং প্রবেশ করতে দেয় না গোপনীয়তা বের হয়ে আসবে। কোম্পানির ব্যবস্থাপকরা আশপাশের জনপ্রতিনিধি, প্রভাবশালী ব্যক্তি, দালাল চক্র, মাস্তানকে ম্যানেজ করে কোম্পানির ভেতরে চলছে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি। সূত্রে আরো জানা যায়, প্রাণ-আর এফ এল কোম্পানির দূষিত বর্জ্য দিনের বেলায় কোম্পানির দেয়ালের পশ্চিমে কৃষি জমিতে এবং গভীর রাতে সুতাং নদীতে কালো পানি ফেলে দিচ্ছে। এ দুর্গন্ধে ৩ উপজেলার ৮ শতাধিক কৃষক, জেলের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন সোহেল বলেন, প্রায় ৭ বছর ধরে প্রাণ-আর এফ এল কোম্পানি বিষাক্ত বর্জ্য সুতাং নদী, খাল, কৃষি জমি জলাশয়ে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এসব দূষিত কালো পানি খেয়ে পশু-পাখি, শিশু, কিশোর, যুবক-যুবতী, নারী-পুরুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছে । শৈলজুড়া গ্রামের মেম্বার আবদুল মতিন জানান, এলাকার বহু নিরীহ কৃষক, সচেতন ব্যক্তি কোম্পানির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। কৃষি জমি চাষ করতে না পারায় অনেকেই স্বল্প দামে বিক্রি করে দিচ্ছে কৃষি জমি। ঐসব জমি দালালদের মাধ্যমে স্বল্প দামে জমি ক্রয় করে কোম্পানির মাধ্যমে হস্তান্তর করে দেয়। এতে দালালরা বিনা পুঁজিতে প্রচুর টাকা পায় কোম্পানি হতে। এলাকার ভোক্তভোগীরা জানান, কোম্পানির দূষিত বর্জ্য নিষ্কাশন রোধে অবিলম্বে যাতায়াত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং একই সঙ্গে সুতাং নদী পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
এতে প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ রাসায়নিক দ্রব্য বর্জ্য দুর্গন্ধে রোগ বালাই আক্রান্ত হচ্ছে। এমনকি জেলার শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই উপজেলা দিয়ে সুতাং নদী প্রবেশ করলে এ অঞ্চলের কৃষি জমি, জনস্বাস্থ্য, মাছ, পশু-পাখি ও জীব বৈচিত্র্যের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। প্রতিবাদ করার কেউ নেই। “হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক-এর আশপাশে বেশ কয়েকটি কোম্পানি, হাট বাজার, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে নিজের দোষ চাপিয়ে দূষিত বর্জ্য কালো পানি সুতাং নদীতে ফেলে দিচ্ছে বলে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভোক্তভোগীরা জেলা প্রশাসক বরাবরে। অলিপুর, শৈলজুরা সুরাবই এলাকা সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপিত হওয়ার পর হবিগঞ্জ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান হতে নারী-পুরুষ শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে। প্রতি বৎসর সাংবাদিক নিয়ে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান হতো কিন্তু তা এখন আর নেই।
কোম্পানির ভেতরে যা কিছু অপরাধমূলক কার্যক্রম হয় তা সাংবাদিকদের বুঝতে দেয়া হয় না এবং প্রবেশ করতে দেয় না গোপনীয়তা বের হয়ে আসবে। কোম্পানির ব্যবস্থাপকরা আশপাশের জনপ্রতিনিধি, প্রভাবশালী ব্যক্তি, দালাল চক্র, মাস্তানকে ম্যানেজ করে কোম্পানির ভেতরে চলছে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি। সূত্রে আরো জানা যায়, প্রাণ-আর এফ এল কোম্পানির দূষিত বর্জ্য দিনের বেলায় কোম্পানির দেয়ালের পশ্চিমে কৃষি জমিতে এবং গভীর রাতে সুতাং নদীতে কালো পানি ফেলে দিচ্ছে। এ দুর্গন্ধে ৩ উপজেলার ৮ শতাধিক কৃষক, জেলের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন সোহেল বলেন, প্রায় ৭ বছর ধরে প্রাণ-আর এফ এল কোম্পানি বিষাক্ত বর্জ্য সুতাং নদী, খাল, কৃষি জমি জলাশয়ে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এসব দূষিত কালো পানি খেয়ে পশু-পাখি, শিশু, কিশোর, যুবক-যুবতী, নারী-পুরুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছে । শৈলজুড়া গ্রামের মেম্বার আবদুল মতিন জানান, এলাকার বহু নিরীহ কৃষক, সচেতন ব্যক্তি কোম্পানির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। কৃষি জমি চাষ করতে না পারায় অনেকেই স্বল্প দামে বিক্রি করে দিচ্ছে কৃষি জমি। ঐসব জমি দালালদের মাধ্যমে স্বল্প দামে জমি ক্রয় করে কোম্পানির মাধ্যমে হস্তান্তর করে দেয়। এতে দালালরা বিনা পুঁজিতে প্রচুর টাকা পায় কোম্পানি হতে। এলাকার ভোক্তভোগীরা জানান, কোম্পানির দূষিত বর্জ্য নিষ্কাশন রোধে অবিলম্বে যাতায়াত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং একই সঙ্গে সুতাং নদী পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।