তাঁতী লীগের সভাপতিকে পেটালেন এমপি রিমন

বরগুনার পাথরঘাটায় শোক দিবসের এক আলোচনাসভা শেষে শত শত নেতাকর্মীদের সামনে তাঁতী লীগের সভাপতিকে বেধড়ক পেটালেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন। গত বুধবার সন্ধ্যায় ৬টায় পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এ আসনের সংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. জাবির হোসেন, পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন প্রমুখ। জানা যায়, শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে নেতাকর্মীরা বের হয়ে সামনের দিকে এগুলে এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিমন তার গাড়ি থামিয়ে কয়েকশ’ নেতা কর্মীর মাঝে জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি ইদ্রিস রৌধুরীকে হঠাৎ করে বেধড়ক চড়, থাপ্পড় দেয়। পরে স্থানীয়রা থামানোর চেষ্টা করে। প্রতক্ষদর্শী বরগুনা জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা জানান, আমরা সবাই অনুষ্ঠান শেষে বের হয়ে রহনা হই। একটু সামনে এগুতে না এগুতেই এমপি সাহেব তার গাড়ি থামিয়ে জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি ইদ্রিস চৌধুরীকে বেধড়ক মার শুরু করে। আমরা নেতাকর্মীরা চমকে যাই যে একজন এমপি হয়ে তার দলেরই একজন কর্মীকে সবার সামনে এভাবে মারতে পারে। ইদ্রিস চৌধুরী জানান, প্রায় ৫ বছর আগে পারিবারিক একটি সালিশে এমপি রিমন আমার ছোট বোনকে লাঠি দিয়ে মারধর করে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় মামলা করি। এর জের ধরেই নেতাকর্মীদের মাঝে আমাকে মারধর করা হয়। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। এ বিষয় পাথরঘাটা থানার ওসি মোল্লা মো. খবির হোসেন জানান, অনুষ্ঠান শেষে আমরা সবাই বের হলে আমাদের সামনে এমপি সাহেবের গাড়ির কাছে মানুষের ভিড় দেখা যায়। পরে শুনি মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
তবে শওকত হাচানুর রহমান রিমন এমপি মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।