প্রথম পাতা
১০ নোবেল জয়ী ও ১৩ বিশিষ্ট ব্যক্তির বিবৃতি
শহিদুল ও আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি
মানবজমিন ডেস্ক
২০ আগস্ট ২০১৮, সোমবার, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন
পুলিশের হাতে আটক নন্দিত আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ১০ নোবেল বিজয়ী। একজন ছাড়া তাদের সবাই শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন। ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বিশ্বের আরো ১৩ বিশিষ্ট ব্যক্তি। বিবৃতিটি বিখ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শ্যারন স্টোন তার টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেন। এতে সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আটক শহিদুল আলমসহ সকল শিক্ষার্থীর নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
একই সঙ্গে বাংলাদেশে সকল নাগরিকের মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন স্বাক্ষরকারীরা। বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা বিতর্কিত আইসিটি আইনের অধীনে ড. শহিদুল আলমকে রিমান্ডে নেয়ার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আন্দোলনের পর যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে অবিলম্বে তাদের মুক্তি, সকল নাগরিকের মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করছি।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী নোবেল বিজয়ীরা হলেন- আর্চ বিশপ ডেসমন্ড টুটু, তাওয়াক্কুল কারমান, মেরিড ম্যাগুয়ার, বেটি উইলিয়ামস, অস্কার আরিয়াস, স্যার রিচার্ড জে রবার্টস, জোস রামোস হর্তা, জডি উইলিয়ামস, শিরিন এবাদি ও প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এদের মধ্যে শুধু রিচার্ড জে রবার্টস দেহতত্ত্বে নোবেল পেয়েছেন।
বাকি সবাই নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী অন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা হলেন- নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গ্রো হার্লেম ব্রান্টল্যান্ড, প্রভাবশালী ব্যবসায়ী রিচার্ড ব্রানসন, চলচ্চিত্র পরিচালক রিচার্ড কার্টিস, উদ্যোক্তা মো. ইব্রাহিম, সামাজিক আন্দোলনকর্মী ডেভিড জোনস, উদ্যোক্তা জেরোমি জেরি, মানবাধিকার কর্মী কেরি কেনেডি, নারী অধিকার সংগঠন ভয়েস অব লিবিয়ান উইমেন-এর প্রতিষ্ঠাতা আলা মুরাবিত, মানবাধিকার কর্মী ও লেখক মেরিনা মাহাথির, বৈশ্বিক যুব আন্দোলনের নেতা এলা রবার্টসন, সামাজিক আন্দোলনকর্মী কেট রবার্টসন, অভিনেত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শ্যারন স্টোন ও উদ্যোক্তা জিমি ওয়েলস।
বিবৃতিতে তারা বলেন- দুই সপ্তাহ আগে দ্রুতগামী একটি বাসের ধাক্কায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে আসে। তারা সড়ক নিরাপত্তা, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানায়। নির্ভরযোগ্য পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনের খবর অনুসারে, তরুণ আন্দোলনকারী ও খবর সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফারদের ওপর পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা চালানো হয়েছে। শাসক দলের ছাত্র ও যুব সংগঠন এই হামলা চালিয়েছে। কয়েকদিন পর, যখন সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্রতি সমর্থন দিতে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামে, তখন বিভিন্ন অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের পুলিশি রিমান্ডে নেয়া হয় ও জেলে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে শহিদুল আলমের বিভিন্ন সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তার ওপর চালানো নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরেন নোবেল বিজয়ী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা বলেন, আন্তর্জাতিক মহলে সুপরিচিত শহিদুল বাংলাদেশের জার্নালিস্টিক ফটোগ্রাফি আন্দোলনের নেতা, শিক্ষাবিদ ও বিখ্যাত মানবাধিকার কর্মী।
৫ই আগস্ট বিকালে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই বেআইনিভাবে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে তাকে ঢাকার অতিরিক্ত প্রধান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয়। সেখানে তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি উচ্চস্বরে তার ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ করেন। তাকে এমন একটি আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা ব্যাপকভাবে সমালোচিত। এমনকি সরকারও স্বীকার করেছে যে, এটার সংস্কার প্রয়োজন।
এছাড়া, বাংলাদেশ নির্দোষ শিক্ষার্থীরা পুলিশ কাস্টডিতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। রিমান্ডের পাশাপাশি তাদেরকে নানা হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। অথচ সহিংসতায় প্রকৃত দোষীরা দায়মুক্তি পাচ্ছে।
একই সঙ্গে বাংলাদেশে সকল নাগরিকের মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন স্বাক্ষরকারীরা। বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা বিতর্কিত আইসিটি আইনের অধীনে ড. শহিদুল আলমকে রিমান্ডে নেয়ার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আন্দোলনের পর যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে অবিলম্বে তাদের মুক্তি, সকল নাগরিকের মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করছি।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী নোবেল বিজয়ীরা হলেন- আর্চ বিশপ ডেসমন্ড টুটু, তাওয়াক্কুল কারমান, মেরিড ম্যাগুয়ার, বেটি উইলিয়ামস, অস্কার আরিয়াস, স্যার রিচার্ড জে রবার্টস, জোস রামোস হর্তা, জডি উইলিয়ামস, শিরিন এবাদি ও প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এদের মধ্যে শুধু রিচার্ড জে রবার্টস দেহতত্ত্বে নোবেল পেয়েছেন।
বাকি সবাই নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী অন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা হলেন- নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গ্রো হার্লেম ব্রান্টল্যান্ড, প্রভাবশালী ব্যবসায়ী রিচার্ড ব্রানসন, চলচ্চিত্র পরিচালক রিচার্ড কার্টিস, উদ্যোক্তা মো. ইব্রাহিম, সামাজিক আন্দোলনকর্মী ডেভিড জোনস, উদ্যোক্তা জেরোমি জেরি, মানবাধিকার কর্মী কেরি কেনেডি, নারী অধিকার সংগঠন ভয়েস অব লিবিয়ান উইমেন-এর প্রতিষ্ঠাতা আলা মুরাবিত, মানবাধিকার কর্মী ও লেখক মেরিনা মাহাথির, বৈশ্বিক যুব আন্দোলনের নেতা এলা রবার্টসন, সামাজিক আন্দোলনকর্মী কেট রবার্টসন, অভিনেত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শ্যারন স্টোন ও উদ্যোক্তা জিমি ওয়েলস।
বিবৃতিতে তারা বলেন- দুই সপ্তাহ আগে দ্রুতগামী একটি বাসের ধাক্কায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে আসে। তারা সড়ক নিরাপত্তা, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানায়। নির্ভরযোগ্য পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনের খবর অনুসারে, তরুণ আন্দোলনকারী ও খবর সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফারদের ওপর পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা চালানো হয়েছে। শাসক দলের ছাত্র ও যুব সংগঠন এই হামলা চালিয়েছে। কয়েকদিন পর, যখন সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্রতি সমর্থন দিতে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামে, তখন বিভিন্ন অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের পুলিশি রিমান্ডে নেয়া হয় ও জেলে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে শহিদুল আলমের বিভিন্ন সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তার ওপর চালানো নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরেন নোবেল বিজয়ী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা বলেন, আন্তর্জাতিক মহলে সুপরিচিত শহিদুল বাংলাদেশের জার্নালিস্টিক ফটোগ্রাফি আন্দোলনের নেতা, শিক্ষাবিদ ও বিখ্যাত মানবাধিকার কর্মী।
৫ই আগস্ট বিকালে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই বেআইনিভাবে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে তাকে ঢাকার অতিরিক্ত প্রধান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয়। সেখানে তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি উচ্চস্বরে তার ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ করেন। তাকে এমন একটি আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা ব্যাপকভাবে সমালোচিত। এমনকি সরকারও স্বীকার করেছে যে, এটার সংস্কার প্রয়োজন।
এছাড়া, বাংলাদেশ নির্দোষ শিক্ষার্থীরা পুলিশ কাস্টডিতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। রিমান্ডের পাশাপাশি তাদেরকে নানা হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। অথচ সহিংসতায় প্রকৃত দোষীরা দায়মুক্তি পাচ্ছে।