অনলাইন
ইয়াবা পাচারে নিত্য নতুন কৌশল
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
১৯ আগস্ট ২০১৮, রবিবার, ৬:০৮ পূর্বাহ্ন
ভ্যানগাড়িতে করে নেওয়া হচ্ছে রাসায়নিকের ড্রাম। এরমধ্যে যে ইয়াবা আছে তা বুঝার সাধ্যিই বা কার। ভাগ্যিস গোপন সূত্রের খবর ছিল। তন্ন তন্ন করে খোঁজার পর শেষ পর্যন্ত পাঁচটি ড্রামে রাখা ৫০ হাজার ইয়াবা জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
শনিবার দিনগত মধ্যরাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর নিউমার্কেট এলাকায় ভ্যানগাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের এসব ইয়াবা জব্দ করা হয়। এ সময় ইয়াবা পাচারে জড়িত নূর মোহাম্মদ (২০) নামে এক ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। নূর মোহাম্মদ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার রাজারছড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মেট্রো) শামীম আহমেদ জানান, কক্সবাজার থেকে বাসে করে ড্রামগুলো নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে আসেন নুর মোহাম্মদ। শাহ আমানত সেতুর গোলচত্বর এলাকায় এসে ভ্যানগাড়ি ভাড়া করেন তিনি। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে ড্রামগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল নগরীর স্টেশন রোডে। নিউমার্কেট এলাকায় আসার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যানটিতে তল্লাশি চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে ড্রামগুলো কেটে বিশেষ কৌশলে রাখা ৫০ হাজার ইয়াবা খুঁজে বের করে জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
শামীম আহমেদ বলেন, বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ কিংবা জ্বালানি তেল বহনকারী ছোট ড্রামগুলো ইয়াবা বহনে ব্যবহার করা হচ্ছিল। স্বাভাবিকভাবে দেখে মনে হবে জ্বালানি কিংবা রাসায়নিক পদার্থ পরিবহন করা হচ্ছে। তল্লাশির মুখে যাতে না পড়ে সে জন্য এই কৌশল নিয়েছিল নুর মোহাম্মদ। সেখানে যে ইয়াবা পাচার করা হচ্ছে তা বুঝার সাধ্য কারও হওয়ার কথা নয়।
এভাবে সে আরও কয়েকবার ইয়াবা পাচার করার কথা স্বীকার করেছে নূর মোহাম্মদ। তার বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।