অনলাইন
ধর্ষণের শাস্তি ৯০ হাজার টাকা
অভিযোগের অপেক্ষায় পুলিশ, জানেন না চেয়ারম্যান
রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
১৯ আগস্ট ২০১৮, রবিবার, ৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের বিচারের রায় ৯০ হাজার টাকায় দফারফা করেছেন গ্রাম্য মাতাব্বররা। নয়নপুর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ লোকমান হোসেনের নেতৃত্বে মোঃ হাতেম, মোঃ হারুন ও সজিব এবং ধর্ষিতার পরিবার, বাড়ির লোকজনের উপস্থিতিতে ওই রায় প্রদান করা হয়। ঘটনাটি ঘটে গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের আঃ করিম বেপারী বাড়িতে। এদিকে ঘটনার ৫দিন পার হলেও থানায় কোন মামলা না হওয়ায় স্থানীয় এলাকার জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অপরদিকে এলাকার মাতাব্বরদের চাপে এবং লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষিতার পরিবার থানা অভিযোগ করতে পারছেননা বলে ওই বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন। গ্রাম্য মাতাব্বরদের রায়ের ৯০ হাজার টাকা ধর্ষিতার পরিবার বুঝে পেয়েছেন কিনা এমন সংবাদ সংগ্রহের জন্য আজ রোববার সকালে ঘটনাস্থলে গেলে সকলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে শালিশদারদের সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদেরও পাওয়া যায়নি।
উল্ল্যেখ্য, গত ১৫ই আগষ্ট লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মুখে কাপড় বেঁধে আয়েশা ছিদ্দিকা প্রীতি নামের নয়নপুর হানাফিয়া মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে কামাল হোসেন নামের এক টাইস মিস্ত্রী। ঘটনাটি ঘটে উপজেলা ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের আঃ করিম বেপারী বাড়িতে। ধর্ষক কামাল ওই বাড়ির মোঃ ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সহিদ উল্যা জানান, শালিশের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। ঘটনার সঙ্গে জড়িত পক্ষ বিপক্ষ কেউ আমাকে কিছু জানাইনি। আর যারা শালিশ করেছে তাদের আমি চিনি না।
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তোতা মিয়া জানান, এখন পর্যন্ত ধর্ষিতার পরিবারের কেউ থানায় আসেনি। কোন অভিযোগ পর্যন্ত করেনি। আর অভিযোগ না করলে আমার করার কিছু নাই।
উল্ল্যেখ্য, গত ১৫ই আগষ্ট লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মুখে কাপড় বেঁধে আয়েশা ছিদ্দিকা প্রীতি নামের নয়নপুর হানাফিয়া মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে কামাল হোসেন নামের এক টাইস মিস্ত্রী। ঘটনাটি ঘটে উপজেলা ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের আঃ করিম বেপারী বাড়িতে। ধর্ষক কামাল ওই বাড়ির মোঃ ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সহিদ উল্যা জানান, শালিশের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। ঘটনার সঙ্গে জড়িত পক্ষ বিপক্ষ কেউ আমাকে কিছু জানাইনি। আর যারা শালিশ করেছে তাদের আমি চিনি না।
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তোতা মিয়া জানান, এখন পর্যন্ত ধর্ষিতার পরিবারের কেউ থানায় আসেনি। কোন অভিযোগ পর্যন্ত করেনি। আর অভিযোগ না করলে আমার করার কিছু নাই।