অনলাইন
২৮ বছর পর চোখ থেকে কনটাক্ট লেন্স অপসারণ
মানবজমিন ডেস্ক
১৭ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার, ৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাজ্যে এক নারীর চোখের পাতা থেকে ২৮ বছর পর সার্জারির মাধ্যমে কনটাক্ট লেন্স অপসারণ করা হয়েছে। দেশটির ডান্ডির বাসিন্দা ওই ৪২ বছর বয়সী নারী সম্প্রতি ডাক্তারের কাছে যান চোখ ফোলার সমস্যা নিয়ে। ডাক্তাররা অস্ত্রোপাচার করতে গিয়ে বুঝতে পারেন তার জলকোষের মধ্যে ওই লেন্স আটকে আছে। প্রায় সিকি শতাব্দী বাদে হঠাৎ সেই কোষ ফেঁপে উঠেছে। তবে সফলভাবে ওই লেন্স অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ১৪ বছর বয়সে ওই নারী লেন্স পরিহিত অবস্থায় চোখে কর্কের আঘাত পান। তখন সবাই ধরে নিয়েছিল যে, কর্কের আঘাতে ওই লেন্স খুলে পড়ে গেছে। কিন্তু প্রকৃতঅর্থে সেটি এতদিন ধরে আটকে ছিল। আর ক্রমেই ঢুকে পড়ে চোখের পাতার ভেতরে। এই অস্বাভাবিক ঘটনা প্রথম প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক জার্নাল বিএমজে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, নাইনওয়েলস হাসপাতালের গবেষকরা প্রথমে ওই রোগীর এমআরআই স্ক্যান সম্পন্ন করেন। এরপর তাকে চক্ষু বিভাগে পাঠানো হয়। সেখানে তার সমস্যা উল্লেখ করা হয়, বাম চোখ ফুলে যাওয়া। পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, চোখের ওই জলকোষ ৮ মিলিমিটার লম্বা। তবে এটার ভেতরে কিছু আছে কিনা, তা তখন বোঝা যায়নি। পরে তার চোখে সার্জারির সময় যখন ফুলে যাওয়া অংশ সরানোর চেষ্টা করা হলো, তখনই বের হয়ে এল ওই লেন্স!
তার চিকিৎসায় যুক্ত থাকা তিন ডাক্তার লিখেছেন, ‘আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার পর রোগীর মা স্মরণ করতে পারলেন যে, রোগীর চোখে ছোটবেলায় শাটলকর্কের আঘাত লেগেছিল। ১৪ বছর বয়সে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে ওই আঘাত পান তিনি। তখন তিনি এরজিপি (রিজিড গ্যাস পারমিয়েবল) কন্ট্যাক্ট লেন্স পরেছিলেন। যা আঘাতের পর কখনই পাওয়া যায়নি। সবাই ধরে নিয়েছিল চোখে আঘাতের কারণে ওই লেন্স কোথাও পড়ে গিয়েছিল।’
গবেষকরা বলেন, আমরা এই অনুসিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, ওই আরজিপি লেন্স রোগীর বাম চোখের পাতায় ঢুকে যায়। এরপর সেখানে ২৮ বছর ধরে ছিল। এ ধরণের ঘটনা চোখ ফোলার খুব বিরল একটি কারণ।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ১৪ বছর বয়সে ওই নারী লেন্স পরিহিত অবস্থায় চোখে কর্কের আঘাত পান। তখন সবাই ধরে নিয়েছিল যে, কর্কের আঘাতে ওই লেন্স খুলে পড়ে গেছে। কিন্তু প্রকৃতঅর্থে সেটি এতদিন ধরে আটকে ছিল। আর ক্রমেই ঢুকে পড়ে চোখের পাতার ভেতরে। এই অস্বাভাবিক ঘটনা প্রথম প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক জার্নাল বিএমজে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, নাইনওয়েলস হাসপাতালের গবেষকরা প্রথমে ওই রোগীর এমআরআই স্ক্যান সম্পন্ন করেন। এরপর তাকে চক্ষু বিভাগে পাঠানো হয়। সেখানে তার সমস্যা উল্লেখ করা হয়, বাম চোখ ফুলে যাওয়া। পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, চোখের ওই জলকোষ ৮ মিলিমিটার লম্বা। তবে এটার ভেতরে কিছু আছে কিনা, তা তখন বোঝা যায়নি। পরে তার চোখে সার্জারির সময় যখন ফুলে যাওয়া অংশ সরানোর চেষ্টা করা হলো, তখনই বের হয়ে এল ওই লেন্স!
তার চিকিৎসায় যুক্ত থাকা তিন ডাক্তার লিখেছেন, ‘আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার পর রোগীর মা স্মরণ করতে পারলেন যে, রোগীর চোখে ছোটবেলায় শাটলকর্কের আঘাত লেগেছিল। ১৪ বছর বয়সে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে ওই আঘাত পান তিনি। তখন তিনি এরজিপি (রিজিড গ্যাস পারমিয়েবল) কন্ট্যাক্ট লেন্স পরেছিলেন। যা আঘাতের পর কখনই পাওয়া যায়নি। সবাই ধরে নিয়েছিল চোখে আঘাতের কারণে ওই লেন্স কোথাও পড়ে গিয়েছিল।’
গবেষকরা বলেন, আমরা এই অনুসিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, ওই আরজিপি লেন্স রোগীর বাম চোখের পাতায় ঢুকে যায়। এরপর সেখানে ২৮ বছর ধরে ছিল। এ ধরণের ঘটনা চোখ ফোলার খুব বিরল একটি কারণ।