এক্সক্লুসিভ

কোনো প্রহসনের নির্বাচনে যাবো না: নজরুল ইসলাম খান

স্টাফ রিপোর্টার

১৭ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

এই সরকারের অধীনে নির্বাচনের নামে কোনো প্রহসনে বিএনপি যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার আয়োজনে ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ফুঁসছে। তারা পরিবর্তনের একটা সুযোগ চায়। অনেকে আমার কাছে প্রশ্ন করেন আপনারা নির্বাচনে যাবেন কিনা? আমরা যদি নির্বাচনে না-ই যেতে চাই তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন কেন চাইছি। নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন কেন চাইছি। নির্বাচনে যাবো বলেই তো এসব চাই। তিনি আরো বলেন, আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। তবে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনের নামে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো কোনো প্রহসনে যেতে চাই না। কারণ নির্বাচনে যদি মানুষ ভোট দেয়ার সুযোগ না পায় তাহলে তারা যে পরিবর্তন চান সেটা করতে পারবেন না। এসময় তিনি বলেন, আমরা আগামী নির্বাচনে যাবো। তার আগে ইনশাআল্লাহ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। তাকে নিয়েই নির্বাচনে যাবো। কিন্তু তার মুক্তির জন্য আমাদের সবাইকে রাজপথে কঠোর আন্দোলন করতে হবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি হলো। তার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ না করে অর্থমন্ত্রী বললেন, এটা প্রকাশ করা যাবে না, কারণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ লোকের নাম আছে। এর পর আমার ব্যাপারে বলা হলো- সিঙ্গাপুরে নাকি আমার একটি বিলাশবহুল অ্যাপার্টমেন্ট আছে। আমি বললাম, থাকতেও পারে। তবে যিনি বলেছেন তিনি ওই অ্যাপার্টমেন্টের ঠিকানা আনুক। আমি তাকে মাত্র ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে দলিল করে দেবো। আমি অনেক সমস্যায় আছি। টাকার দরকার। আমাদের দলের নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নামে বলা হলো- তিনি এক মাসে ২০ কোটির উপরে লেনদেন করেছেন ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন- আমি বা আমার পরিবারের কোনো সদস্যের ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট নেই। আগেও কখনো ছিল না। এরপর এসব নিয়ে আর কোনো কথা বলেন না। তিনি বলেন- এসব কথার অভিযোগের সূত্র কি? গোয়েন্দা বাহিনীর তথ্য। কিন্তু এরা কেমন ইন্টেলিজেন্স। এরা হলো সরকারি দালাল। সরকার কিছু দালালকে দিয়ে এসব বলার জন্য দোকান খুলছে। তারা বসে বসে এসব উদ্ভট তথ্য বানায়। কিন্তু এসব করে পার পাওয়া যায় না। এর আগে আমরা আইয়ুব খানকে উন্নয়নের উৎসব পালন করতে দেখেছি। আবার কয়েকদিন পরে গর্তে পড়তেও দেখেছি। তিনি বলেন, আমরা এখন দুঃসময় অতিক্রম করছি। কারণ দেশ পরিচালনা করছে লাইসেন্সবিহীন সরকার। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় তাদের লাইসেন্স আছে আমরা বলতে পারি না। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, তাকে তথ্যমন্ত্রী না বানিয়ে জিয়া পরিবারের সমালোচনা বিষয়ক মন্ত্রী বানাতে পারতেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের কেবিনেটে এই বিষয়ক কোনো মন্ত্রীর পদ নাই। হাসানুল হক ইনু সব সময় জিয়া পরিবারের সমালোচনা করতে বেশি পছন্দ করেন। এসময় তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কীভাবে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে চড় মারতে চান। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিদের ভাইস চ্যান্সেলর বানানো হয়। তারা কীভাবে একজন প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে এমন কথা বলতে পারেন? অথচ এই ধরনের লোকদেরও নিয়োগদান করছে লাইসেন্সবিহীন সরকার।

জাগপা’র সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- ন্যাশনাল পিপল্‌স পার্টি-এনপিপি’র চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ এর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়াসহ ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status