এক্সক্লুসিভ
১১ সিটিতে কোরবানির নির্ধারিত স্থান ২৯৫৪
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
ফাইল ছবি
ঈদুল আজহায় দেশের ১১ সিটি করপোরেশনে পশু কোরবানির জন্য দুই হাজার ৯৫৪ স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। ঈদুল আজহার সময় নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণে সিটি করপোরেশনগুলোর কর্মপরিকল্পনা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব তথ্য জানান। এতে বলা হয়, এসব স্থানে সাত লাখ ৬৭ হাজার ৯৩৭ পশু কোরবানি হতে পারে। এ ছাড়া এবার সিটি করপোরেশনগুলোতে গরুর হাটের সংখ্যা ৯৪টি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, পশু কোরবানির জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬২০, ঢাকা উত্তরে ৫৪৩, রাজশাহীতে ২১০, চট্টগ্রামে ৩১৪, খুলনায় ১৬৩, বরিশালে ১৩৫, সিলেটে ৩৬, নারায়ণগঞ্জে ১৮৩, কুমিল্লায় ১৯০, রংপুরে ১১৭ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৪৪৩টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এরপরও অনেকে যদি সেই জায়গায় না আসে তাহলে আমরা মেয়রদের অনুরোধ করবো আপনারা যথেষ্টভাবে প্রচারণা চালাবেন। নির্ধারিত স্থানে আসতেই হবে। খোলা স্থানে কোরবানি কোনোভাবেই এনকারেজ করবো না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, কেউ যদি নিজের জায়গায় কোরবানি করে তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে মাটিতে গর্ত করে বর্জ্যটা পুঁতে পরিষ্কার করতে হবে। অনুরোধ করবো কাউন্সিলরদের মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতার দিকটি সার্বিকভাবে যাতে তদারকি করা হয়। এটি যদি মানুষের অভ্যাসে পরিণত করা যায় তবে আর কষ্ট হবে না। আমাদের এমন কোনো আইন নেই যে খোলা জায়গায় কোরবানি করলে শাস্তির বিধান করা যাবে। আবার ধর্মীয় ব্যাপারে এসব করতে গেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি করলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অনেক সুষ্ঠুভাবে করা যায়। বর্জ্য চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে না সেই দিকে খেয়াল করতে হবে। মোশাররফ হোসেন বলেন, আগে যেমন কোরবানির পর ৮-১০ দিন এলাকায় থাকাই যেত না। এখন তো অনেক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা হচ্ছে। তবু আমরা চাই এটা নিয়ে কোনো ধরনের কথা না হোক। যাতে কেউ না বলতে পারে কোরবানিকে সামনে রেখে সিটি করপোরেশন তাদের যথার্থ প্রস্তুতি পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ১
নেয়নি। সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও কোরবানির স্থান নির্ধারণের প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। বাস্তবতা হচ্ছে, বিগত বছরগুলোতে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করার ক্ষেত্রে যেভাবে সাড়া পাওয়ার কথা ছিল সেই পরিমাণে সাড়া পাইনি। তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে গত বছর বর্জ্য অপসারণের সময় বেঁধে দেয়া হয়। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য পরিচ্ছন্ন করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এবারও সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। ঘোষিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য পরিষ্কার করবো। কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য নাগরিকদের বাড়িতে আমরা ব্লিচিং পাউডার পৌঁছে দেব। বর্জ্য ব্যাগে ভরে কন্টেইনারে ফেলতে হবে, সেই ব্যাগটাও শুক্রবার থেকে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। কোরবানির দিন বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানির মধ্যে পশু কোরবানি না করার অনুরোধ করছি। নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, কোরবানির স্থান নির্ধারণ করা হলেও গত বছর আমরা তেমন সাড়া পাইনি। আশা করি এবার সাড়া পাবো। নির্ধারিত স্থানে একসঙ্গে গরু জবাই করার ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। কসাই পাওয়া যায় না, বিভিন্ন ধরনের সাপোর্টও আমরা ঠিকভাবে দিতে পারছি না। যেহেতু নতুন ব্যবস্থা সেজন্য এটি পুরোপুরি চালু করতে সময় লাগবে। পানির ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম (স্থানীয় সরকার বিভাগকে) আমাদের করে দিতে হবে। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান ও বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নেয়নি। সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও কোরবানির স্থান নির্ধারণের প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। বাস্তবতা হচ্ছে, বিগত বছরগুলোতে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করার ক্ষেত্রে যেভাবে সাড়া পাওয়ার কথা ছিল সেই পরিমাণে সাড়া পাইনি। তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে গত বছর বর্জ্য অপসারণের সময় বেঁধে দেয়া হয়। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য পরিচ্ছন্ন করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এবারও সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। ঘোষিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য পরিষ্কার করবো। কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য নাগরিকদের বাড়িতে আমরা ব্লিচিং পাউডার পৌঁছে দেব। বর্জ্য ব্যাগে ভরে কন্টেইনারে ফেলতে হবে, সেই ব্যাগটাও শুক্রবার থেকে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। কোরবানির দিন বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানির মধ্যে পশু কোরবানি না করার অনুরোধ করছি। নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, কোরবানির স্থান নির্ধারণ করা হলেও গত বছর আমরা তেমন সাড়া পাইনি। আশা করি এবার সাড়া পাবো। নির্ধারিত স্থানে একসঙ্গে গরু জবাই করার ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। কসাই পাওয়া যায় না, বিভিন্ন ধরনের সাপোর্টও আমরা ঠিকভাবে দিতে পারছি না। যেহেতু নতুন ব্যবস্থা সেজন্য এটি পুরোপুরি চালু করতে সময় লাগবে। পানির ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম (স্থানীয় সরকার বিভাগকে) আমাদের করে দিতে হবে। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান ও বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।