শেষের পাতা
কোটা আন্দোলনকারীদের সংবাদ সম্মেলন
ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
স্টাফ রিপোর্টার
১৫ আগস্ট ২০১৮, বুধবার, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি, গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তিসহ পাঁচ দফা দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। গতকাল বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে চারবার আলোচনা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সময় নিয়েও কাজ করা হয়নি। উল্টো দমনপীড়ন করা হচ্ছে।
দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের কারণে শিক্ষার্থীদের মনে সরকারের প্রতি অনাস্থা ও সংশয় তৈরি হয়েছে। আন্দোলনকারীদের এই নেতা বলেন, সাধারণ মানুষ ও ছাত্রসমাজ মনে করে কোটা সমস্যা সমাধানে বারবার কোর্টের একটি পর্যবেক্ষণকে অজুহাত হিসেবে সামনে আনার বিষয়টি কেবল নতুন করে কালক্ষেপণের একটি পন্থা। সরকার ইচ্ছে করলেই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সহজেই সমস্যাটি সমাধান করতে পারে। আগের পাঁচ দফাসহ অনতিবিলম্বে আটককৃত আন্দোলনকারীদের নিঃশর্ত মুক্তি, হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলত শাস্তি ও পাঁচ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীদের পক্ষে আলটিমেটাম দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থী বলেন, বারবার কালক্ষেপণ করায় ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে দাবিসমূহের সুষ্ঠু সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু সমাধান না হলে আবারও ছাত্রসমাজ সারা দেশে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকার যদি মনে করে নিপীড়ন ও নির্যাতন করে এই আন্দোলন দাবিয়ে রাখতে পারবে তাহলে ভুল ভাবছে। ছাত্র আন্দোলন একটি ভূমিকম্পের মতো। ভূমিকম্পের উৎপত্তি কীভাবে, কোন জায়গা থেকে হবে কেউ সেটা আগে থেকে জানে না। ঠিক তেমনি ছাত্র আন্দোলনের উৎপত্তি কিভাবে হয় ও এটা কতটা তীব্র প্রভাব ফেলতে পারে সেটাও কেউ বুঝতে পারে না। আমরা এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন করেছি। কিন্তু সরকার আমাদের ওপর নির্যাতন করেছে।
৩১শে আগস্টের কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি ও আটক আন্দোলনকারীদের মুক্তি দেয়াসহ ৫ দফার বাস্তবায়ন না হলে ছাত্ররা রাস্তায় নামবে জানিয়ে তিনি বলেন, তখন কী হবে তা আমরা বলতে পারব না। এই দাবি সারা দেশের শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি। এখানে কোনো রাজনীতি নেই। সরকার যদি রাজনৈতিক দৃষ্টিতে দেখে তাহলে এটা হবে তাদের ভুল। আমরা সরকারের প্রতিপক্ষ না। ছাত্রসমাজের কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে দেশের সব শ্রেণি ও পেশাজীবী মানুষের সমর্থন রয়েছে জানিয়ে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, এই দাবি আমরা কয়েক জনের নয়। এই দাবি দেশের সব শিক্ষার্থীর। এই আন্দোলনের পাঁচ দফার প্রস্তাব সব শ্রেণি ও পেশাজীবীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও প্রশংসা পেয়েছে।
দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের কারণে শিক্ষার্থীদের মনে সরকারের প্রতি অনাস্থা ও সংশয় তৈরি হয়েছে। আন্দোলনকারীদের এই নেতা বলেন, সাধারণ মানুষ ও ছাত্রসমাজ মনে করে কোটা সমস্যা সমাধানে বারবার কোর্টের একটি পর্যবেক্ষণকে অজুহাত হিসেবে সামনে আনার বিষয়টি কেবল নতুন করে কালক্ষেপণের একটি পন্থা। সরকার ইচ্ছে করলেই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সহজেই সমস্যাটি সমাধান করতে পারে। আগের পাঁচ দফাসহ অনতিবিলম্বে আটককৃত আন্দোলনকারীদের নিঃশর্ত মুক্তি, হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলত শাস্তি ও পাঁচ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীদের পক্ষে আলটিমেটাম দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থী বলেন, বারবার কালক্ষেপণ করায় ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে দাবিসমূহের সুষ্ঠু সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু সমাধান না হলে আবারও ছাত্রসমাজ সারা দেশে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকার যদি মনে করে নিপীড়ন ও নির্যাতন করে এই আন্দোলন দাবিয়ে রাখতে পারবে তাহলে ভুল ভাবছে। ছাত্র আন্দোলন একটি ভূমিকম্পের মতো। ভূমিকম্পের উৎপত্তি কীভাবে, কোন জায়গা থেকে হবে কেউ সেটা আগে থেকে জানে না। ঠিক তেমনি ছাত্র আন্দোলনের উৎপত্তি কিভাবে হয় ও এটা কতটা তীব্র প্রভাব ফেলতে পারে সেটাও কেউ বুঝতে পারে না। আমরা এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন করেছি। কিন্তু সরকার আমাদের ওপর নির্যাতন করেছে।
৩১শে আগস্টের কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি ও আটক আন্দোলনকারীদের মুক্তি দেয়াসহ ৫ দফার বাস্তবায়ন না হলে ছাত্ররা রাস্তায় নামবে জানিয়ে তিনি বলেন, তখন কী হবে তা আমরা বলতে পারব না। এই দাবি সারা দেশের শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি। এখানে কোনো রাজনীতি নেই। সরকার যদি রাজনৈতিক দৃষ্টিতে দেখে তাহলে এটা হবে তাদের ভুল। আমরা সরকারের প্রতিপক্ষ না। ছাত্রসমাজের কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে দেশের সব শ্রেণি ও পেশাজীবী মানুষের সমর্থন রয়েছে জানিয়ে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, এই দাবি আমরা কয়েক জনের নয়। এই দাবি দেশের সব শিক্ষার্থীর। এই আন্দোলনের পাঁচ দফার প্রস্তাব সব শ্রেণি ও পেশাজীবীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও প্রশংসা পেয়েছে।