দেশ বিদেশ
সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিতে দুবাই দূতাবাসে হাজার হাজার অবৈধ বাংলাদেশি
মানবজমিন ডেস্ক
১৫ আগস্ট ২০১৮, বুধবার, ১০:২১ পূর্বাহ্ন
হাজার হাজার বাংলাদেশি অভিবাসী দেশে ফেরার আশায় আরব আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাসে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। সেখানকার কন্সাল জেনারেল এস. বদিরুজ্জামান গাল্ফ নিউজকে বলেছেন, গত এক সপ্তাহে তারা প্রায় এক হাজার জনকে আরব আমিরাত ত্যাগের ছাড়পত্র দিয়েছেন। এছাড়া নতুন পাসপোর্টের জন্য আরো ২৫০০ জনের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। দ্রুতই তাদেরকে এ সুবিধা দেবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দূতাবাসের কর্মকর্তারা প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে কাজ করে যাচ্ছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার পঞ্চমবারের মতো এ ধরনের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলো। ১লা আগস্ট থেকে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত এ সাধারণ ক্ষমার সময় দেয়া হয়েছে। যারা অবৈধভাবে বাস করছেন তাদেরকে এ সময়ের মধ্যে স্থানীয় আবাস ও বিদেশ নীতি কেন্দ্রের পরিচালকের কাছে যেতে হবে। এ সময় তাদের কাগজপত্র দেখাতে হবে এবং ২০০ দিরহাম ফি দিতে হবে। আর যারা দেশটিতে থেকে যেতে চায় তাদেরকে নতুন পাসপোর্টের জন্য অতিরিক্ত ৫২০ দিরহাম ফি দিতে হবে। এরপর নিকটস্থ আমীর টাইপিং সেন্টার থেকে তারা ৬ মাসের ভিসা পাবে। এর মধ্যে তাদেরকে দেশটিতে চাকরি খুঁজতে হবে। বাংলাদেশ দূতাবাসে অপেক্ষারত মুজাফফর মোল্লা বলেন, তিনি ২০০ সালে দুবাইতে এসেছেন। এতদিন মেকানিক হিসেবে কাজ করলেও বর্তমানে তিনি দেশটিতে অবৈধভাবে রয়েছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তিনি দশ দিনের মধ্যেই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। তার পরিচিত বন্ধু রয়েছে এখানে যারা তাকে ৬ মাসের মধ্যে কাজ খুঁজে দিতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশের ‘ব্লু কলার’ শ্রমিকদের জন্য ভিসার মেয়াদ ৬ মাস বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তাদের জন্য নতুন চাকরি খোঁজা হবে। কাজ না পাওয়া গেলে এ সময়ের পরে তাদেরকেও দেশে ফিরে আসতে হবে। বদিরুজ্জামান জানিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আমাদের অসাধারণ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশি নাগরিকরা এখানে ট্যুরিস্ট ও ব্যবসায়িক ভিসা নিয়ে আসছেন। আমরা আশা প্রকাশ করছি, আমাদের ব্লু কলার শ্রমিকরাও এখানে তাদের সুযোগ খুঁজে বের করবে। আমরা চাই আত্মগোপন করা তাদের সবাই আসুক ও নতুন পাসপোর্ট নিয়ে কাজ খুঁজুক। আরব আমিরাত সরকার তাদেরকে সাধারণ ক্ষমা করে মানবিক দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন আমরা আমাদের কাজ করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি আরো বলেছেন, আমরা যত বেশি সম্ভব ছাড়পত্র দেয়ার চেষ্টা করছি। সত্যিকারের অর্থনৈতিক সমস্যা থাকলে আমরা তাদেরকে বিনামূল্যে বিমানের টিকিটও সরবরাহ করছি। আমাদের স্বনামধন্য প্রবাসীরাও এ কাজে আমাদেরকে যথাসাধ্য সাহায্য করে যাচ্ছে। দূতাবাস থেকে জানা যায়, আরব আমিরাতের বিমানগুলো বাংলাদেশিদের জন্য ৩০ শতাংশ মূল্যছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে। অন্যান্য বিমান সংস্থাগুলোও এগিয়ে আসছে। যারা নির্ধারিত দিনের মধ্যে যেতে পারবেন না, তাদের জন্য আরো সময় বাড়িয়ে দেয়া হবে। এ জন্য তাদেরকে কোনো শাস্তির মুখোমুখিও হতে হবে না। দুবাইতে বাংলাদেশ দূতাবাসের দেয়া তথ্যমতে, বর্তমানে আরব আমিরাতে ৬ লক্ষাধিক বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার পঞ্চমবারের মতো এ ধরনের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলো। ১লা আগস্ট থেকে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত এ সাধারণ ক্ষমার সময় দেয়া হয়েছে। যারা অবৈধভাবে বাস করছেন তাদেরকে এ সময়ের মধ্যে স্থানীয় আবাস ও বিদেশ নীতি কেন্দ্রের পরিচালকের কাছে যেতে হবে। এ সময় তাদের কাগজপত্র দেখাতে হবে এবং ২০০ দিরহাম ফি দিতে হবে। আর যারা দেশটিতে থেকে যেতে চায় তাদেরকে নতুন পাসপোর্টের জন্য অতিরিক্ত ৫২০ দিরহাম ফি দিতে হবে। এরপর নিকটস্থ আমীর টাইপিং সেন্টার থেকে তারা ৬ মাসের ভিসা পাবে। এর মধ্যে তাদেরকে দেশটিতে চাকরি খুঁজতে হবে। বাংলাদেশ দূতাবাসে অপেক্ষারত মুজাফফর মোল্লা বলেন, তিনি ২০০ সালে দুবাইতে এসেছেন। এতদিন মেকানিক হিসেবে কাজ করলেও বর্তমানে তিনি দেশটিতে অবৈধভাবে রয়েছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তিনি দশ দিনের মধ্যেই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। তার পরিচিত বন্ধু রয়েছে এখানে যারা তাকে ৬ মাসের মধ্যে কাজ খুঁজে দিতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশের ‘ব্লু কলার’ শ্রমিকদের জন্য ভিসার মেয়াদ ৬ মাস বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তাদের জন্য নতুন চাকরি খোঁজা হবে। কাজ না পাওয়া গেলে এ সময়ের পরে তাদেরকেও দেশে ফিরে আসতে হবে। বদিরুজ্জামান জানিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আমাদের অসাধারণ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশি নাগরিকরা এখানে ট্যুরিস্ট ও ব্যবসায়িক ভিসা নিয়ে আসছেন। আমরা আশা প্রকাশ করছি, আমাদের ব্লু কলার শ্রমিকরাও এখানে তাদের সুযোগ খুঁজে বের করবে। আমরা চাই আত্মগোপন করা তাদের সবাই আসুক ও নতুন পাসপোর্ট নিয়ে কাজ খুঁজুক। আরব আমিরাত সরকার তাদেরকে সাধারণ ক্ষমা করে মানবিক দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন আমরা আমাদের কাজ করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি আরো বলেছেন, আমরা যত বেশি সম্ভব ছাড়পত্র দেয়ার চেষ্টা করছি। সত্যিকারের অর্থনৈতিক সমস্যা থাকলে আমরা তাদেরকে বিনামূল্যে বিমানের টিকিটও সরবরাহ করছি। আমাদের স্বনামধন্য প্রবাসীরাও এ কাজে আমাদেরকে যথাসাধ্য সাহায্য করে যাচ্ছে। দূতাবাস থেকে জানা যায়, আরব আমিরাতের বিমানগুলো বাংলাদেশিদের জন্য ৩০ শতাংশ মূল্যছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে। অন্যান্য বিমান সংস্থাগুলোও এগিয়ে আসছে। যারা নির্ধারিত দিনের মধ্যে যেতে পারবেন না, তাদের জন্য আরো সময় বাড়িয়ে দেয়া হবে। এ জন্য তাদেরকে কোনো শাস্তির মুখোমুখিও হতে হবে না। দুবাইতে বাংলাদেশ দূতাবাসের দেয়া তথ্যমতে, বর্তমানে আরব আমিরাতে ৬ লক্ষাধিক বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন।