বিশ্বজমিন

১০ লাখ উইঘুরকে বন্দী রাখার অভিযোগ অস্বীকার চীনের

মানবজমিন ডেস্ক

১৪ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ১২:৫৯ অপরাহ্ন

চীনের শিনজিয়াং-এ উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রায় ১০ লাখ লোককে আটক রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেশটির সরকার। কর্তৃপক্ষ বলেছে, এ ধরণের যেসব খবর বের হয়েছে, তা ‘সম্পূর্ণ অসত্য’। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
জেনেভায় জাতিসংঘের একটি বৈঠকে চীনের কর্মকর্তারা বলেন, উইঘুর সম্প্রদায় চীনে পরিপূর্ণ অধিকার ভোগ করে, তবে ‘যারা চরমপন্থার প্রতারণার শিকার হয়েছে, তাদেরকে পুনর্বাসন ও পুনঃশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
খবরে বলা হয়, উইঘুর সম্প্রদায় নিয়ে চীনের এই ধরণের স্বীকারোক্তি বেশ বিরল। শিংজিয়াং অঞ্চল উইঘুরদের জন্য গণবন্দীশালায় পরিণত হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশের পর এই প্রতিক্রিয়া জানায় চীন। শিনজিয়াং অঙ্গরাজ্যেই মূলত উইঘুর মুসলিমদের বসবাস। এই অঙ্গরাজ্যে বিরতি দিয়ে সহিংসতা ঘটেছে। চীনের অভিযোগ, ইসলামি জঙ্গী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এই অঞ্চলে ঝামেলা সৃষ্টি করছে।
খবরে বলা হয়, বর্ণবাদী বৈষম্য দূরীকরণ বিষয়ক জাতিসংঘের একটি কমিটির দুই দিন ব্যাপী বৈঠকে চীন ৫০ সদস্যবিশিষ্ট শক্তিশালী প্রতিনিধিদল পাঠায়। শুক্রবার কমিটির সদস্য গে ম্যাকডগাল বলেন, উইঘুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলকে গণবন্দীশালায় রূপান্তরিত করা হয়েছে বলে যেসব খবর বেরিয়েছে তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।
তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চীনের শাসক দলের ইউনাইটেড ফ্রন্ট ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক হু লিয়ানহি বলেন, ‘উইঘুর সহ শিনজিয়াং-এর সকল নাগরিক সমান স্বাধীনতা ও অধিকার ভোগ করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ১০ লাখ উইঘুরকে পুনঃশিক্ষাকেন্দ্রে বন্দী রাখা হয়েছে, এ ধরণের বক্তব্য সম্পুর্ণ অসত্য।’ তবে তিনি এ ধরণের পুনর্বাসন কিংবা পুনঃশিক্ষাকেন্দ্রের অস্তিত্ব থাকার কথা স্বীকার করেন।
সাংবাদিকরা বলছেন, শিনজিয়াং-এর পরিস্থিতি নিয়ে চীনের এ ধরণের প্রকাশ্য কৈফিয়ত বেশ অস্বাভাবিক। এদিকে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা শিনজিয়াং-এ নেয়া কঠোর নিরাপত্তা পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নিবন্ধ ছাপিয়েছে। এতে বলা হয়, এই কঠোর পদক্ষেপের ফলেই ওই অঞ্চল চীনের ‘সিরিয়া কিংবা লিবিয়া’ হওয়ার হাত থেকে রেহাই পেয়েছে। এক সম্পাদকীয়তে পত্রিকাটি লিখেছে, ‘শিনজিয়াং-এর নিরাপত্তা পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটায় সেখানে বিরাট এক ট্রাজেডি এড়ানো ও অসংখ্য মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।’
তবে গে ম্যাকডগাল এ বিষয়ে আরও ব্যাখ্যা চেয়েছেন। তিনি চীনের প্রতিনিধির প্রতি প্রশ্ন রাখেন, ‘আপনি বলেছেন, ১০ লাখ বন্দির বিষয়ে আমার বক্তব্য ভুল ছিল। তাহলে বন্দির আসল সংখ্যা কত? দয়া করে আমাকে বলুন। কোন আইনের অধীনে তাদেরকে বন্দি রাখা হয়েছে।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status