শেষের পাতা

একনেকে উঠছে আজ

বস্তিবাসীদের আবাসন ও গৃহঋণ সুবিধা দিতে আসছে বিশেষ প্রকল্প

দীন ইসলাম

১৪ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন

শহর বা পৌরসভা এলাকার হতদরিদ্রদের (বস্তিবাসী) উন্নত আবাসন সুবিধা দেবে সরকার। দেশের বিভিন্ন শহরের পাঁচ হাজার হতদরিদ্র পরিবারকে স্থায়ী অনুদান হিসেবে দুই রুমের ফ্ল্যাট দেয়া হবে। এছাড়া বিনা সুদে দীর্ঘ মেয়াদে ১৫ হাজার হতদরিদ্র পরিবারকে গৃহঋণ  দেয়া হবে। একই সঙ্গে আরো ২০ হাজার পরিবারকে পানির সংযোগ, স্যানিটেশন, ড্রেনেজ, সংযোগ সড়ক এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা দেয়া হবে। দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন ও ২৫টি পৌরসভায় এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে ৮২৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে। জাতীয় নগর দারিদ্র্য হ্রাসকরণ কর্মসূচি শিরোনামের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এ প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবিত ব্যয়িত অর্থের মধ্যে ৬৯৮ কোটি টাকা দেবে জাতিসংঘ উন্নয়ন তহবিল (ইউএনডিপি) এবং যুক্তরাজ্য সরকারের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা (ডিএফআইডি)। সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে ১২৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্প থেকে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ, গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি সহায়তা, ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষা সহায়তা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য আর্থিক অনুদানও দেয়া হবে। প্রস্তাবিত এ প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য আজ পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উত্থাপন করা হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পাঠানো সারসংক্ষেপ সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ও আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে নগরের দরিদ্র বসতিগুলোতে পর্যাপ্ত সুবিধা দেয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকার পৌরসভায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি কমাতে প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালের ২৫শে এপ্রিল এ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য একনেকে উত্থাপন করা হয়। ওই সময় প্রকল্প প্রস্তাবনায় ড্রেন, স্যানিটারি ল্যাট্রিন, বাথরুম ও নলকূপ স্থাপনের প্রস্তাব ছিল। কিন্তু বস্তিবাসীর আবাসন সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব ছিল না। বস্তিবাসীদের বৈধ কোনো জমি না থাকায় ফুটপাথ, ড্রেন, স্যানিটারি ল্যাট্রিন, বাথরুম ও নলকূপ স্থাপনের কোনো প্রকল্প নেয়া যৌক্তিক হবে না বলে ওই সময় প্রকল্পটি ফেরত পাঠায় একনেক। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য পরিবর্তন করে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এক রুম বা দেড় রুমের ফ্ল্যাট নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। এর পরিবর্তে বাসস্থান নির্মাণ ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের সংস্থান রেখে প্রকল্প প্রস্তাব পুনর্গঠন করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য দুই রুমের ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।

কমিউনিটি হাউজিং ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (সিএইচডিএফ) গঠন করে বিনা সুদে দীর্ঘমেয়াদি গৃহঋণ দেয়া হবে। পৌরসভায় উন্নত নগর ব্যবস্থাপনার জন্য নীতিমালা তৈরি করা হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র জানায়, তিন বিষয়কে মানদণ্ড ধরে এ প্রকল্পের জন্য শুরুতে ৫১টি পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনকে মনোনীত করা হয়। দারিদ্র্যের প্রকটতা, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা ও অংশীদারিত্বের সুযোগ এ তিন মানদণ্ডের ভিত্তিতে এসব শহরকে বেছে নেয়া হয়। পরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২৫টি পৌরসভা এবং ১১টি সিটি করপোরেশনে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status