বাংলারজমিন
নড়াইলে শিক্ষকের যৌন হয়রানির প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন
নড়াইল প্রতিনিধি
১৪ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
নড়াইল সদর উপজেলার আর বি এফ এম ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করায় গতকাল বিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস হয়নি। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে ফিরে গেছে। জানা যায়, কয়েকদিন আগে এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই শিক্ষার্থীর পিতাসহ স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি রোববার বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রধান শিক্ষক কোনো সদুত্তর দিতে না পেরে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর পিতা ও তার সঙ্গীরা এ ঘটনায় বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের নিকট অভিযোগ দিয়ে চলে যান। পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে গতকাল সভা করে বিচার দেয়ার আশ্বাস দেন। এরই মধ্যে প্রধান শিক্ষক তার গ্রুপের শিক্ষকদের নিয়ে হঠাৎ করে ধর্মঘট শুরু করেছেন।
ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয়ায় এবং শিক্ষকরা ক্লাস না নেয়ায় শিক্ষার্থীরা ফিরে যান। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম অত্যন্ত দুর্নীতিবাজ। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল তাকে প্রশ্রয় দেয়ায় তিনি নিজের ইচ্ছামতো বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি শরীফ হুমায়ুন কবির জানান, বিদ্যালয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে মিটিং করে বিষয়টির সমাধান করা হবে। প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, অহেতুক তারা বিদ্যালয়ে এসে ঝামেলা করেছে। সে কারণে শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্লাস বর্জন করেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুল হক জানান, ক্লাস বর্জনসহ যৌন হয়রানির ব্যাপারে তাকে কেউ কিছু জানায়নি। এমনকি বিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন বা ছুটি দেয়ার ব্যাপারে তাকে কেউ কিছু অবহিত করেনি। তিনি আরো বলেন সংরক্ষিত ছুটি হতে প্রধান শিক্ষক ছুটি দিতে পারেন। তবে এ বিষয়টি তার জানানো উচিত ছিল।
ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয়ায় এবং শিক্ষকরা ক্লাস না নেয়ায় শিক্ষার্থীরা ফিরে যান। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম অত্যন্ত দুর্নীতিবাজ। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল তাকে প্রশ্রয় দেয়ায় তিনি নিজের ইচ্ছামতো বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি শরীফ হুমায়ুন কবির জানান, বিদ্যালয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে মিটিং করে বিষয়টির সমাধান করা হবে। প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, অহেতুক তারা বিদ্যালয়ে এসে ঝামেলা করেছে। সে কারণে শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্লাস বর্জন করেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুল হক জানান, ক্লাস বর্জনসহ যৌন হয়রানির ব্যাপারে তাকে কেউ কিছু জানায়নি। এমনকি বিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন বা ছুটি দেয়ার ব্যাপারে তাকে কেউ কিছু অবহিত করেনি। তিনি আরো বলেন সংরক্ষিত ছুটি হতে প্রধান শিক্ষক ছুটি দিতে পারেন। তবে এ বিষয়টি তার জানানো উচিত ছিল।