এক্সক্লুসিভ
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত সোনা-রুপা পাচারের নিরাপদ রুট
নূর ইসলাম, যশোর থেকে
১৪ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:০০ পূর্বাহ্ন
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত সোনা রুপা পাচারের নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে। সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা, নিরাপদ সীমান্ত জোন ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে এই রুটটি পাচারকারীদের কাছে বেশি প্রিয়। সম্প্রতি এই অঞ্চলের বিস্তৃত রুট দিয়ে ভারতে পাচারের সময় প্রায় ৫ মণ সোনার বার ও রুপা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। বিজিবি, সীমান্তসংলগ্ন থানা পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ সোনা রুপা উদ্ধার করেছে। তবে পাচার সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, এই সময়কালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে যে পরিমাণ সোনা রুপা উদ্ধার হয়েছে, পাচার হয়েছে তার কয়েক গুণ বেশি। এসব সোনা-রুপা পাচারের রুটে লেনদেন সংক্রান্ত জটিলতা, বেঈমানি ও অর্থ ভাগাভাগির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু চালান আটক হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের হাতে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত পৃথক অভিযানে বিজিবি সদস্যরা ৭৫ কেজি সোনা ও ৪৩ কেজি রুপা উদ্ধারের ঘটনায় শুরু হয়েছে ব্যাপক তোলপাড়।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর পর্যন্ত প্রায় ৩০০ কিলোমটিার সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরেই পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে পরিচিত। এই রুট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চোরাচালান পণ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। বিশেষ করে ভারতীয় শাড়ি, থ্রিপিস, কসমেটিক্স, গরু,বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ওষুধ, ইলেকট্রনিক্স গুডস, ফেনসিডিল, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, আতশবাজি, পটকা,কৃষি পণ্যসহ বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য এ রুট দিয়ে পাচার হচ্ছে। আর বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় পশুর চামড়া, কাঁসা পিতল, অ্যালুমিনিয়াম, ইলিশ মাছ ইত্যাদি। সম্প্রতি এসব পণ্যের পাশাপাশি এই রুট দিয়ে ব্যাপক হারে পাচার হচ্ছে সোনা ও রুপার বার। গত কয়েক মাসে তা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের সরবরাহকৃত তথ্য থেকে জানা গেছে, গত ৬ মাসে যশোরসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলেল সীমান্ত এলাকা থেকে সাড়ে ৩ মণ সোনা ও দেড় মণ রুপার বার ও গহনা ভারতে পাচারের সময় উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় আটক করা হয়েছে ৭৬ জন পাচারকারীকে। তবে এরা সকলেই এসব চোরাচালান পণ্যের ক্যারিয়ার মাত্র। সোনা রুপা পাচারের মুল হোতারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
গত ৯ আগষ্ট রাত ও পর দিন সকালে বিজিবি সদস্যরা যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর গ্রামের তোজাম্মেজ হোসেনের ছেলে মহিউদ্দিন এবং দৌলতপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে ইসরাফিল হোসেন ও ভবের বেড় গ্রামের কাশেম আলীর স্ত্রী সফুরা খাতুনকে আটক করে ও তাদের কাছ থেকে ৬৩৬টি সোনার বার উদ্ধার করে । যার ওজন প্রায় ৭৫ কেজি।
যশোর বিজিবি ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক বলেন, ভারতে পাচারের সময় পৃথক অভিযান চালিয়ে বিজিবির টহল দল যশোরের শার্শা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৭৪ কেজি ৭৫৯ গ্রাম ওজনের ৬৩৬টি সোনার বারসহ তিন ব্যক্তিকে আটক করে। আটককৃতরা সোনা পাচারের বাহক হিসেবে কাজ করছিলেন।
এদিকে এই ঘটনার একদিন পর ১১ই আগস্ট ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভরত থেকে অৗবধ পন্থায় দেশে ঢোকানোর সময় বিজিবি সদস্যরা ৪ কেজি ৭০০ গ্রাম সোনার গহনা আটক করে। বিজিবি সাতক্ষীরারর ৩৩ ব্যাটালিয়নের জনসংযোগ কর্মকর্তা সুবেদার মেজর মাহাবুব জামান জানান, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ভারত থেকে রুপার একটি বড় চালান দেশে ঢুকছে এমন খবরের ভিত্তিতে বিজিবির টহল দল বৈকারী সীমান্তে অভিযান চালায়। বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা রুপা বোঝাই একটি বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বস্তাটি উদ্ধার করে বিজিবি সদস্যরা দেখতে পান তার মধ্যে বিপুল পরিমাণ রুপার গহনা। পরে তা পরিমাপ করে তারা নিশ্চিত হন ওই বস্তায়৪৩ কেজি ৭শ’ গ্রাম ওজনের রুপার গহনা রয়েছে। উদ্ধারকৃত গহনা সাতক্ষীরা সদর থানায় জমা দিয়েছে বিজিবি সদস্যরা। অপরদিকে পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে গত কয়েক মাসে এই অঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত রুটে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪০ কেজি সোনার বার ও রুপার গহনা উদ্ধার করেছে তারা। এসময় বেশ কয়েকজন পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ সদস্যরা। র্যাব-৬ এর আভিযানিক দলের সদস্যরা গত কয়েক মাসে যশোর, সাতক্ষীরাসহ এই অঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত পথে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান সোনার বার ও রুপার গহনা উদ্ধার করেছে। র্যাব কমান্ডারের দাবি যশোর ুসাতক্ষীরাসহ এই অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকার সাথে ভারতের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। নৌপথেও রয়েছে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা। দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে বাস, ট্রেন বা নৌরুটে অতি সহজে সীমান্ত এলঅকায় পৌঁছানো সম্ভব।
গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত পৃথক অভিযানে বিজিবি সদস্যরা ৭৫ কেজি সোনা ও ৪৩ কেজি রুপা উদ্ধারের ঘটনায় শুরু হয়েছে ব্যাপক তোলপাড়।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর পর্যন্ত প্রায় ৩০০ কিলোমটিার সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরেই পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে পরিচিত। এই রুট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চোরাচালান পণ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। বিশেষ করে ভারতীয় শাড়ি, থ্রিপিস, কসমেটিক্স, গরু,বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ওষুধ, ইলেকট্রনিক্স গুডস, ফেনসিডিল, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, আতশবাজি, পটকা,কৃষি পণ্যসহ বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য এ রুট দিয়ে পাচার হচ্ছে। আর বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় পশুর চামড়া, কাঁসা পিতল, অ্যালুমিনিয়াম, ইলিশ মাছ ইত্যাদি। সম্প্রতি এসব পণ্যের পাশাপাশি এই রুট দিয়ে ব্যাপক হারে পাচার হচ্ছে সোনা ও রুপার বার। গত কয়েক মাসে তা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের সরবরাহকৃত তথ্য থেকে জানা গেছে, গত ৬ মাসে যশোরসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলেল সীমান্ত এলাকা থেকে সাড়ে ৩ মণ সোনা ও দেড় মণ রুপার বার ও গহনা ভারতে পাচারের সময় উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় আটক করা হয়েছে ৭৬ জন পাচারকারীকে। তবে এরা সকলেই এসব চোরাচালান পণ্যের ক্যারিয়ার মাত্র। সোনা রুপা পাচারের মুল হোতারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
গত ৯ আগষ্ট রাত ও পর দিন সকালে বিজিবি সদস্যরা যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর গ্রামের তোজাম্মেজ হোসেনের ছেলে মহিউদ্দিন এবং দৌলতপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে ইসরাফিল হোসেন ও ভবের বেড় গ্রামের কাশেম আলীর স্ত্রী সফুরা খাতুনকে আটক করে ও তাদের কাছ থেকে ৬৩৬টি সোনার বার উদ্ধার করে । যার ওজন প্রায় ৭৫ কেজি।
যশোর বিজিবি ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক বলেন, ভারতে পাচারের সময় পৃথক অভিযান চালিয়ে বিজিবির টহল দল যশোরের শার্শা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৭৪ কেজি ৭৫৯ গ্রাম ওজনের ৬৩৬টি সোনার বারসহ তিন ব্যক্তিকে আটক করে। আটককৃতরা সোনা পাচারের বাহক হিসেবে কাজ করছিলেন।
এদিকে এই ঘটনার একদিন পর ১১ই আগস্ট ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভরত থেকে অৗবধ পন্থায় দেশে ঢোকানোর সময় বিজিবি সদস্যরা ৪ কেজি ৭০০ গ্রাম সোনার গহনা আটক করে। বিজিবি সাতক্ষীরারর ৩৩ ব্যাটালিয়নের জনসংযোগ কর্মকর্তা সুবেদার মেজর মাহাবুব জামান জানান, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ভারত থেকে রুপার একটি বড় চালান দেশে ঢুকছে এমন খবরের ভিত্তিতে বিজিবির টহল দল বৈকারী সীমান্তে অভিযান চালায়। বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা রুপা বোঝাই একটি বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বস্তাটি উদ্ধার করে বিজিবি সদস্যরা দেখতে পান তার মধ্যে বিপুল পরিমাণ রুপার গহনা। পরে তা পরিমাপ করে তারা নিশ্চিত হন ওই বস্তায়৪৩ কেজি ৭শ’ গ্রাম ওজনের রুপার গহনা রয়েছে। উদ্ধারকৃত গহনা সাতক্ষীরা সদর থানায় জমা দিয়েছে বিজিবি সদস্যরা। অপরদিকে পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে গত কয়েক মাসে এই অঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত রুটে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪০ কেজি সোনার বার ও রুপার গহনা উদ্ধার করেছে তারা। এসময় বেশ কয়েকজন পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ সদস্যরা। র্যাব-৬ এর আভিযানিক দলের সদস্যরা গত কয়েক মাসে যশোর, সাতক্ষীরাসহ এই অঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত পথে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান সোনার বার ও রুপার গহনা উদ্ধার করেছে। র্যাব কমান্ডারের দাবি যশোর ুসাতক্ষীরাসহ এই অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকার সাথে ভারতের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। নৌপথেও রয়েছে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা। দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে বাস, ট্রেন বা নৌরুটে অতি সহজে সীমান্ত এলঅকায় পৌঁছানো সম্ভব।