দেশ বিদেশ

‘দেশকে অস্থিতিশীল করার শক্তি নেই বিএনপির’

স্টাফ রিপোর্টার

১৪ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

বিএনপি সাংগঠনিকভাবে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, আন্দোলনের নামে সহিংসতা করে দেশকে অস্থিতিশীল করার মতো শক্তি তাদের নেই। তাই তারা কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ভর করেছিল। সেখানেও তারা ব্যর্থ হয়ে শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক নিরাপদ সড়কের দাবির আন্দোলনের ওপর ভর করেছিল। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আন্দোলনের ওপর ভর করেও সফল হতে না পেরে তারা আবারো নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। গতকাল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এসব কথা বলেন। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বিবি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘১৯৭৫-২০১৮: রাজনৈতিক বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। সংগঠনের সভাপতি বাহাদুর বেপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক রাহাত খান। ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান তপনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মহিউদ্দিন মাহি। মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার হলেও এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের বিচার হয়নি। মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশি-বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সহায়তায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রান্তকারী ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সেজন্যই মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতার জন্য পাক হানাদার বাহিনী যখন গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছিল তখন পাক হানাদার বাহিনী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানকে ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় দিয়েছিল। মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর যে সরকার গঠিত হয়েছিল সে সরকারের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন জিয়াউর রহমান। বিচারপতি আবু সাদাত মো. সায়েম নামমাত্র প্রধান ছিলেন। তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে নির্দয় সামরিক শাসক ছিলেন। তার হাতে প্রায় সহস্রাধিক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা ও সদস্য নিহত হয়েছেন। সেই দলের নেতাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি শোভা পায় না। বিএনপি নেতাদের কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হচ্ছে না, তাই হতাশ হয়ে নানা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগ আতঙ্কে ভুগছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমরা কেন আতঙ্কে ভুগবো? আমরা গ্রাম বাংলায় দেখেছি পাগলা কুকুরকে সবাই ভয় পায়। বিএনপি কি নিজেকে সেই পাগলা কুকুর ভাবছে? যদি ভাবে তাহলে শুধু আওয়ামী লীগ কেন, সারা দেশের মানুষ আতঙ্কে ভুগবে। সরকারের শেষ সময় এসেছে তাই স্বৈরাচারী শাসক হয়ে গেছে বিএনপির এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা আন্দোলনের নাম করে পেট্রলবোমা দিয়ে মানুষ মারবেন, সরকারি, বেসরকারি সম্পদ ধ্বংস করবেন, তারপর মামলা হলে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিলে তারপর বলবেন সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করছে। আপনাদের কথা শুনে মনে হয় ভূতের মুখে রাম নাম। তিনি বলেন, পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আইন সবার জন্য সমান। এ দেশে অপরাধ করে, মানুষ হত্যা করে রাজনীতির দোহাই দিয়ে পার পাবেন- সেই সুযোগ নেই। অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেকের বিচার হবে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা সবসময় তৎপর। তাই এ ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সাংবাদিকদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন করার সামর্থ্য নেই, তাই তারা কোমলমতি শিশুদের ওপর ভর করেছিল। আর এই শিশুদের নাম করে ওইদিন আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করেছিল। তারপরও অনেক মিডিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে লেখা শুরু করে। কিন্তু কেন? সাংবাদিকতার নামে এমন হলুদ সাংবাদিকতা পৃথিবীর মধ্যে আছে কিনা আমার সন্দেহ আছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status