দেশ বিদেশ
সাবেক লোকসভার স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনাবসান
কলকাতা প্রতিনিধি
১৪ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
ভারতের বিশিষ্ট বামপন্থি নেতা ও লোকসভার সাবেক স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনাবসান ঘটেছে। দীর্ঘ রোগ ভোগের পর সোমবার সকাল সোয়া আটটা নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছাড়াও কিডনি কাজ করছিল না। ডায়ালাইসিস চলাকালিনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন খ্যাতনামা আইনজীবীও। সোমবার বিকালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভবনে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুটের মাধ্যমে রাজকীয়ভাবে বিদায় জানানো হয়েছে। পরে তার ইচ্ছানুযায়ী মরদেহ এসএসকেএম হাসপাতালে দান করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে তার প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা একজন বন্ধুকে হারালাম। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বলেছেন, তিনি একজন দিকপাল ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে বলেছেন, সাবেক সাংসদ এবং লোকসভার স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ভারতীয় রাজনীতির একজন অদমনীয় ব্যক্তি ছিলেন। উনি আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রকে এক অন্য স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন। দরিদ্র এবং দুর্বলদের জন্য তার অবদান অনস্বীকার্য। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, লোকসভার ১০ বারের সাংসদ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় একটি প্রতিষ্ঠান ছিলেন। পার্টি লাইনের ঊর্ধ্বে গিয়েও তাকে সকল সাংসদেরা সম্মান ও প্রশংসা করতেন। ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির এই সাবেক সদস্য মোট ১০ বার সাংসদ হয়েছিলেন। তবে একবারই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর লোকসভার স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন দক্ষতার সঙ্গে। আর এই সংসদীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মতবিরোধের কারণে সিপিআইএম থেকে তিনি বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।
সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ১৯২৯ সালের ২৫শে জুলাই আসামের তেজপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবা নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন খ্যাতনামা আইনজীবী এবং অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার স্বনামধন্য নেতা। সোমনাথের পড়াশোনা কলকাতাতেই। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ হতেই সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় চলে গিয়েছিলেন বিলেতে। কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হন ১৯৫২ সালে। স্নাতকোত্তর ১৯৫৭ সালে। আইন পাস করে দেশে ফিরে এসেছিলেন তিনি। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ১৯৬৮ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। তবে বাবা নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দল হিন্দু মহাসভাতে যাননি তিনি। যোগ দিয়েছিলেন সিপিআইএমে। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত লোকসভায় সিপিএম সংসদীয় দলের নেতা ছিলেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন লোকসভার স্পিকার। সিপিআইএমের সঙ্গে ৪০ বছরের সংযোগ শেষ হয়ে যায় ২০০৮ সালে। ইউপিএ-১ সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছিল বামদলগুলো। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় তখন স্পিকার। সিপিএমের তৎকালীন নেতৃত্ব চেয়েছিলেন, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ও সরকারের বিরোধিতাই করুন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। স্পিকার হিসেবে তিনি কোনো দলের নন এবং অনাস্থার প্রক্রিয়া চলাকালীন তাকে নিরপেক্ষ ভূমিকাই নিতে হবে, সেটা তার সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা, দলকে জানিয়ে দিয়েছিলেন সোমনাথ। এই সিদ্ধান্তের জন্য ২০০৮ সালে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করেছিল সিপিআইএম। ২০০৯ সালের স্পিকারের দায়িত্ব শেষে আর সক্রিয় রাজনীতিতে থাকেননি। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে প্রয়োজন মতো মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল তাকে। ২০১৮’র পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা রাজ্যে যে ভয়াবহ হিংসার ছবি দেখা গিয়েছিল, তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা একজন বন্ধুকে হারালাম। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বলেছেন, তিনি একজন দিকপাল ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে বলেছেন, সাবেক সাংসদ এবং লোকসভার স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ভারতীয় রাজনীতির একজন অদমনীয় ব্যক্তি ছিলেন। উনি আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রকে এক অন্য স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন। দরিদ্র এবং দুর্বলদের জন্য তার অবদান অনস্বীকার্য। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, লোকসভার ১০ বারের সাংসদ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় একটি প্রতিষ্ঠান ছিলেন। পার্টি লাইনের ঊর্ধ্বে গিয়েও তাকে সকল সাংসদেরা সম্মান ও প্রশংসা করতেন। ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির এই সাবেক সদস্য মোট ১০ বার সাংসদ হয়েছিলেন। তবে একবারই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর লোকসভার স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন দক্ষতার সঙ্গে। আর এই সংসদীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মতবিরোধের কারণে সিপিআইএম থেকে তিনি বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।
সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ১৯২৯ সালের ২৫শে জুলাই আসামের তেজপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবা নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন খ্যাতনামা আইনজীবী এবং অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার স্বনামধন্য নেতা। সোমনাথের পড়াশোনা কলকাতাতেই। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ হতেই সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় চলে গিয়েছিলেন বিলেতে। কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হন ১৯৫২ সালে। স্নাতকোত্তর ১৯৫৭ সালে। আইন পাস করে দেশে ফিরে এসেছিলেন তিনি। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ১৯৬৮ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। তবে বাবা নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দল হিন্দু মহাসভাতে যাননি তিনি। যোগ দিয়েছিলেন সিপিআইএমে। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত লোকসভায় সিপিএম সংসদীয় দলের নেতা ছিলেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন লোকসভার স্পিকার। সিপিআইএমের সঙ্গে ৪০ বছরের সংযোগ শেষ হয়ে যায় ২০০৮ সালে। ইউপিএ-১ সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছিল বামদলগুলো। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় তখন স্পিকার। সিপিএমের তৎকালীন নেতৃত্ব চেয়েছিলেন, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ও সরকারের বিরোধিতাই করুন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। স্পিকার হিসেবে তিনি কোনো দলের নন এবং অনাস্থার প্রক্রিয়া চলাকালীন তাকে নিরপেক্ষ ভূমিকাই নিতে হবে, সেটা তার সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা, দলকে জানিয়ে দিয়েছিলেন সোমনাথ। এই সিদ্ধান্তের জন্য ২০০৮ সালে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করেছিল সিপিআইএম। ২০০৯ সালের স্পিকারের দায়িত্ব শেষে আর সক্রিয় রাজনীতিতে থাকেননি। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে প্রয়োজন মতো মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল তাকে। ২০১৮’র পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা রাজ্যে যে ভয়াবহ হিংসার ছবি দেখা গিয়েছিল, তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।