খেলা
আশরাফুলের ‘বিপিএল ভাগ্য’ যাদের হাতে
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৪ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
আশরাফুলের ওপর থেকে উঠে গেছে সব নিষেধাজ্ঞা। পাঁচ বছর পর তার সুযোগ এসেছে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর বিপিএলে খেলার। তবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাকে ফিরতে হলে দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা। যে কারণে খুব দ্রুতই তাকে জাতীয় দলে দেখার সুযোগ নেই বলেই জানিয়েছেন বিসিবির পরিচালক থেকে শুরু করে প্রধান নির্বাচকও। তবে, আগামী বছর তার বিপিএলে খেলার সুযোগ আছে। কিন্তু সেখানেও তিনি খেলতে পারবেন কি না তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সংশয়। দেশের অন্যতম ঘরোয়া এ টি-টোয়েন্টি আসরে তার খেলা না খেলা নির্ভর করছে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের হাতে। যদি তারা আশরাফুলকে খেলাতে চান তবেই তিনি ফিরতে পারবেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবির মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন আশরাফুলের ‘বিপিএল ভাগ্য’ আসলে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের হাতেই। তিনি বলেন, ‘নেক্সট বিপিএলে হি ইজ এলিজিবল। তবে ডিপেন্ড করছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ওপর। যেহেতু তার সব ওপেন হয়ে যাচ্ছে তাই ফ্র্যাঞ্চাইজিরা চাইলে খেলতে পারবে।’ সেই সঙ্গে আশরাফুলকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যেও।
বিপত্তিটা আসলেই ফিক্সিং কেলেঙ্কারির জন্য ঘটতে পারে। বিপিএলেই তিনি ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। শুরুর দুই আসরে দেশের এ তারকা ক্রিকেটার খেলেছিলেন ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের হয়ে। দ্বিতীয় আসর শেষ হতেই বাতাসে ছড়িয়ে পরে আশরাফুলের ফিক্সিংয়ের কথা। এরপর তিনি নিজেই স্বীকার করে নেন তার ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা। অবশ্য এ জন্য তিনি দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চান। এরপর আইসিসি আকসু ও বিসিবি মিলে তদন্ত শুরু করে। বের হয়ে আসতে শুরু করে নানা তথ্য। শেষ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আশরাফুলের বিচার সম্পন্ন হয়। সেখানে তাকে শুরুতে ৮ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে তিনি আইসিসির কাছে আপিল করে সেটিকে পাঁচ বছরে কমিয়ে আনেন। এত লম্বা সময় শাস্তি পোহানোর পরও বিপিএলে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকই তাকে নেয়ার আগে ভাববে দ্বিতীয় বার। কারণ প্রশ্ন যে নৈতিকতার। কোনো কিছু হলেই তো আঙুল উঠতে পারে ফের আশরাফুলের দিকেই।
আশরাফুলকে বিপিএলে দেখতে চান কি না এ নিয়ে বিপিএলের কয়েকজন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক ও কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। তবে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আশরাফুলকে দলে নিতে তাদের খুব বেশি চিন্তা করতে হবে। তাদেরই একজন বলেন, ‘আসলে আশরাফুলের মতো একজন ক্রিকেটারকে কে না দলে নিতে চায়। কিন্তু বাস্তবতা এখন ভিন্ন। ধরে নিলাম তিনি খেলার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে কিছু নৈতিকতার প্রশ্নও। যদি তাকে দলে নেই। আর কোনো ঘটনা ঘটে সেই ক্ষেত্রে আশরাফুলের দিকে আঙুল যাবে না তার নিশ্চয়তা কী! আবার সে ইচ্ছা করে করেনি কিন্তু কারো কাছে মনে হতে পারে সে হয়তো ইচ্ছা করে আউট হয়েছে বা ক্যাচ ছেড়েছে। বলতে পারেন একটি অবিশ্বাস কাজ করবে। যে কারণে আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিই না সবাই হয়তো ভাববে আশরাফুলকে দলে নেয়া যায় কি না।’
অন্যদিকে এর ব্যতিক্রম চিন্তাও আছে। যেমন সিলেট সিক্সার্সের সিইও ইয়াসির ওবায়েদ জানালেন, আশরাফুলকে নিতে তাদের কোনো সমস্যা নেই যদি বিসিবি তাকে বিপিএলে খেলোয়াড়দের তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত করে। তিনি বলেন, ‘দেখেন আমি সবার কথাতো বলতে পারবো না কে কিভাবে চিন্তা করে। তবে, আশরাফুলকে নিতে আমরা কোনো দ্বিধা করবো না যদি বিসিবি তাকে তালিকাভুক্ত করে। বিসিবি তার নাম খেলোয়াড়দের তালিকাতে রাখলে আমাদের যারা দল নির্বাচন করবে তারা চাইলে আশরাফুল খেলতে পারে।’ বলতে গেলে আশরাফুলকে নিয়ে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে, শেষ পর্যন্ত কি হবে সেটি সময়ই বলে দেবে। সেই সঙ্গে আশরাফুলও প্রস্তুত আছে সুযোগ পেলে খেলতে।
লন্ডনে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলছেন আশরাফুল। রোববার ৪০ ওভারের ম্যাচে ব্যাট হাতে ৯৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি
বিপত্তিটা আসলেই ফিক্সিং কেলেঙ্কারির জন্য ঘটতে পারে। বিপিএলেই তিনি ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। শুরুর দুই আসরে দেশের এ তারকা ক্রিকেটার খেলেছিলেন ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের হয়ে। দ্বিতীয় আসর শেষ হতেই বাতাসে ছড়িয়ে পরে আশরাফুলের ফিক্সিংয়ের কথা। এরপর তিনি নিজেই স্বীকার করে নেন তার ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা। অবশ্য এ জন্য তিনি দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চান। এরপর আইসিসি আকসু ও বিসিবি মিলে তদন্ত শুরু করে। বের হয়ে আসতে শুরু করে নানা তথ্য। শেষ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আশরাফুলের বিচার সম্পন্ন হয়। সেখানে তাকে শুরুতে ৮ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে তিনি আইসিসির কাছে আপিল করে সেটিকে পাঁচ বছরে কমিয়ে আনেন। এত লম্বা সময় শাস্তি পোহানোর পরও বিপিএলে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকই তাকে নেয়ার আগে ভাববে দ্বিতীয় বার। কারণ প্রশ্ন যে নৈতিকতার। কোনো কিছু হলেই তো আঙুল উঠতে পারে ফের আশরাফুলের দিকেই।
আশরাফুলকে বিপিএলে দেখতে চান কি না এ নিয়ে বিপিএলের কয়েকজন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক ও কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। তবে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আশরাফুলকে দলে নিতে তাদের খুব বেশি চিন্তা করতে হবে। তাদেরই একজন বলেন, ‘আসলে আশরাফুলের মতো একজন ক্রিকেটারকে কে না দলে নিতে চায়। কিন্তু বাস্তবতা এখন ভিন্ন। ধরে নিলাম তিনি খেলার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে কিছু নৈতিকতার প্রশ্নও। যদি তাকে দলে নেই। আর কোনো ঘটনা ঘটে সেই ক্ষেত্রে আশরাফুলের দিকে আঙুল যাবে না তার নিশ্চয়তা কী! আবার সে ইচ্ছা করে করেনি কিন্তু কারো কাছে মনে হতে পারে সে হয়তো ইচ্ছা করে আউট হয়েছে বা ক্যাচ ছেড়েছে। বলতে পারেন একটি অবিশ্বাস কাজ করবে। যে কারণে আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিই না সবাই হয়তো ভাববে আশরাফুলকে দলে নেয়া যায় কি না।’
অন্যদিকে এর ব্যতিক্রম চিন্তাও আছে। যেমন সিলেট সিক্সার্সের সিইও ইয়াসির ওবায়েদ জানালেন, আশরাফুলকে নিতে তাদের কোনো সমস্যা নেই যদি বিসিবি তাকে বিপিএলে খেলোয়াড়দের তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত করে। তিনি বলেন, ‘দেখেন আমি সবার কথাতো বলতে পারবো না কে কিভাবে চিন্তা করে। তবে, আশরাফুলকে নিতে আমরা কোনো দ্বিধা করবো না যদি বিসিবি তাকে তালিকাভুক্ত করে। বিসিবি তার নাম খেলোয়াড়দের তালিকাতে রাখলে আমাদের যারা দল নির্বাচন করবে তারা চাইলে আশরাফুল খেলতে পারে।’ বলতে গেলে আশরাফুলকে নিয়ে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে, শেষ পর্যন্ত কি হবে সেটি সময়ই বলে দেবে। সেই সঙ্গে আশরাফুলও প্রস্তুত আছে সুযোগ পেলে খেলতে।
লন্ডনে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলছেন আশরাফুল। রোববার ৪০ ওভারের ম্যাচে ব্যাট হাতে ৯৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি