বাংলারজমিন

বিয়ানীবাজারে বছরে কোটি টাকার মোটরসাইকেল চুরি

মিলাদ জয়নুল, বিয়ানীবাজার (সিলেট) থেকে

১৪ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:২৮ পূর্বাহ্ন

বিয়ানীবাজারে গত কয়েকমাস থেকে উদ্বেগজনক হারে মোটরসাইকেল চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ক’দিনের ব্যবধানে পৌরশহর এবং উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রায় ২০টি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট বিয়ানীবাজার থেকে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত। তারা বয়সে তরুণ। বিলাসবহুল জীবন যাপনে অভ্যস্থ তরুণরা মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতেও তোলপাড় চলছে। সর্বশেষ শহরের উত্তরবাজার থেকে ব্যবসায়ী আবদুল মতিনের মোটরসাইকেল মুহূর্তের মধ্যে চুরি হয়। এর আগে একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে থেকে শফিকুল হক রিপনের মোটরসাইকেল চুরি হয়। তিনি সিসি ক্যামেরায় বিষয়টি দেখে চোরদের পিছু নিলে মুরাদগঞ্জ এলাকা থেকে গাড়িসহ চোরদের আটক করা হয়। এ ছাড়াও প্রায় প্রতিদিন উপজেলার কোথাও না কোথাও মোটরসাইকেল চুরির খবর পাওয়া যায়। এসব ঘটনায় অযথা বিড়ম্বনা এড়াতে বেশিরভাগ ভুক্তভোগী থানা পুলিশের দ্বারস্থ হন না। এদিকে, চুরি হওয়া মোটরসাইকেলের মালিকানা বদল নিয়ে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার পর প্রথম কিছুদিন বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে ইঞ্জিন নাম্বার, চ্যাসিস নাম্বার ও মোটরসাইকেলের বাইরের আবরণ কৃত্রিমভাবে পরিবর্তন করে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে অন্যত্র বিক্রি করা হয়। সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজারে গত তিন বছরে প্রায় তিন শতাধিক মোটরসাইকের চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। চুরি হওয়া মোটরসাইকেলের আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। বর্ষা মৌসুমকে টার্গেট করে মোটরসাইকেল চোরাচালানি চক্রের সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। এ সময় সীমান্তঘেঁষা বিয়ানীবাজারে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তারা অবাধে ভারতীয় চোরাই মোটরসাইকেলগুলো বাংলাদেশে আমদানি করে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিয়ানীবাজার থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেলও একই মৌসুমে সীমান্তের ওপারে চলে যায় বলে সূত্রটির দাবি। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আমদানি করা মোটরসাইকেলের মধ্যে পালসার, ডিসকভারি, হিরো হোন্ডা ও বাজাজ কোম্পানির গাড়ি অন্যতম। এগুলো বিয়ানীবাজারে আনার সঙ্গে সঙ্গেই খুব দ্রুত হাত বদল করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় দেড় হাজার মোটরসাইকেলের বৈধ কাগজপত্র ও রেজিস্ট্রেশন নেই। এগুলোর এক তৃতীয়াংশই ভারত থেকে চোরাই পথে আমদানি করা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাফিক পুলিশ জানান, বিয়ানীবাজার সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় এখানে ভারতীয় চোরাই গাড়ির সংখ্যা বেশি। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এসব গাড়ি আটক করা সম্ভব হয় না। মোটরসাইকেল চুরি প্রসঙ্গে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজালাল মুন্সী জানান, মোটরসাইকেল চুরির বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। বিভিন্নস্থানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status