বাংলারজমিন
বগুড়ায় আদালত চলাকালে আইনজীবীদের হাতাহাতি
বগুড়া প্রতিনিধি
১৪ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন
বগুড়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার তিন আসামির জামিন নিয়ে আইনজীবীদের দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে আদালতের এজলাস ভাঙচুর করা হয়। বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালতে সোমবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির ঘটনায় বিচারক বিব্রতবোধ করে এজলাস ত্যাগ করায় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আদালত সূত্র জানায়, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা সদরের মরিয়ম বেগম নামের এক নারীর সঙ্গে একই এলাকার আব্দুল কাদেরের এক বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মরিয়ম জানতে পারেন তার বিয়েটি রেজিস্ট্রি করা হয়নি এবং কোনো মোহরানাও ধার্য করা নেই। তিনি বিষয়টি তার স্বামী ও শ্বশুর পরিবারকে জানিয়ে রেজিস্ট্রি করতে বলায় তাকে বেদম মারপিট করা হয়। এই ঘটনায় তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা করেন। সোমবার সেই মামলায় আসামিদের জামিন আবেদন শুনানির দিন ধার্য ছিল। সেখানে আসামি আব্দুল কাদের এবং তার বাবা-মা হাজির হন। আসামি পক্ষে আতিকুল মাহবুব সালাম জামিন শুনানি করলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নরেশ মুখার্জি আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করেন। এসময় আসামি পক্ষের আরেক আইনজীবী আব্দুল খালেকের সঙ্গে নরেশ মুখার্জির বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায় নরেশ মুখার্জিও পক্ষ নিয়ে আরেক আইনজীবী রাকেশ ঘোষের সঙ্গে আব্দুল কাদেরের হাতাহাতি শুরু হয়। আদালত চলাকালে হাতাহাতি শুরু হলে বিচারক একেএম ফজুলর হক বিব্রতবোধ করে এজলাস ত্যাগ করেন। এসময় এজলাস ভাঙচুর করা হয় এবং আদালত চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নরেশ মুখার্জি দাবি করেন বিচারক একেএম ফজলুল হক রাষ্ট্র বা বাদি পক্ষের কোনো বক্তব্য না শুনেই জামিন দিতে গেলে তারা বিরোধিতা করেন। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের ওপর চড়াও হন। এদিকে ঘটনার পরপরই আসামি পক্ষের আইনজীবী আদালত চত্বরে তার চেম্বার তালাবদ্ধ করে চলে যান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নরেশ মুখার্জি দাবি করেন বিচারক একেএম ফজলুল হক রাষ্ট্র বা বাদি পক্ষের কোনো বক্তব্য না শুনেই জামিন দিতে গেলে তারা বিরোধিতা করেন। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের ওপর চড়াও হন। এদিকে ঘটনার পরপরই আসামি পক্ষের আইনজীবী আদালত চত্বরে তার চেম্বার তালাবদ্ধ করে চলে যান।