বাংলারজমিন
রংপুরে ছাত্র নিহতের ঘটনায় সহপাঠীদের বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
১৪ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্র নিহতের ঘটনায় চালক ও হেলপারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। এ ঘটনায় পুলিশ চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে। মিনিবাস চাপায় রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের দর্শনা এলাকায় কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র তানভীর আহাম্মেদ জিয়ন নিহতের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল থেকে তারা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ মিছিল করে। কলেজের বাইরে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের দফায় দফায় বাধা দেয়। সহপাঠীকে হারিয়ে শোকার্ত শিক্ষার্থীরা বাসচালক ও হেলপারের ফাঁসির দাবিতে সকালে স্কুলের সামনে রাস্তার দু’ধারে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন সমাবেশ করেছে। এতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা জিয়ন হত্যার বিচার চাই। এদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হলে জিয়ন হত্যার বিচার হবে না কেন। আমরা নিরাপদ সড়ক চাই এবং প্রতিশ্রুতি নয়, বিচার চাই। আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব। মানববন্ধন সমাবেশে শিক্ষার্থী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা পারভীনসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এ সময় স্কুলের সামনের দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কর্মসূচি চলাকালে নিহত সহপাঠী জিয়নের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে ঘাতক ড্রাইভারের ফাঁসি দাবি করে তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা। তাদের দাবিগুলো হলো- কলেজের সামনে স্পিড ব্রেকার নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বাস প্রদান এবং জিয়ন হত্যাকারী বাস চালকের ফাঁসি। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু রাফা মো. আরিফ মানববন্ধন সমাবেশে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে ফেরে।
এদিকে, এ ঘটনায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে গতকাল ঘাতক মিনিবাস ভাই-বোন পরিবহনের চালক গাইবান্ধা সাদ্যুল্লাহপুরের আব্দুল সালামের ছেলে ইরফান মিয়া ও হেলপার পলাশবাড়ির বাবর আলীর ছেলে বাদশা মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্র নিহতের ঘটনায় পুলিশের এসআই ছফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছে। এ ব্যাপারে রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ জানান, জিয়নের মৃত্যুতে শোকাহত শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করেছে। কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়নি। ইতিমধ্যেই আমরা বাসটি আটকের পাশাপাশি বাসচালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছি।
এদিকে, এ ঘটনায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে গতকাল ঘাতক মিনিবাস ভাই-বোন পরিবহনের চালক গাইবান্ধা সাদ্যুল্লাহপুরের আব্দুল সালামের ছেলে ইরফান মিয়া ও হেলপার পলাশবাড়ির বাবর আলীর ছেলে বাদশা মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্র নিহতের ঘটনায় পুলিশের এসআই ছফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছে। এ ব্যাপারে রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ জানান, জিয়নের মৃত্যুতে শোকাহত শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করেছে। কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়নি। ইতিমধ্যেই আমরা বাসটি আটকের পাশাপাশি বাসচালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছি।