বাংলারজমিন
কলমাকান্দায় ধর্ষকের আত্মসমর্পণ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
১৪ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
কলমাকান্দার কৈলাটী ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের আফসর উদ্দিনের ছেলে মজনু মিয়া (২৫) সহ দুইজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। কলমাকান্দা থানায় রোববার রাতে একই গ্রামের নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে এই মামলা করেন। গতকাল মজনু মিয়া থানায় আত্মসমর্পণ করে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কলমাকান্দা উপজেলার বেলতলী গ্রামের এক যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে মজনু মিয়া (২৫) গত প্রায় এক বছর ধরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে নিয়ে সহবাস করে। এতে করে ওই যুবতী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরে কিশোরী মজনু মিয়াকে বিয়ের কথা বললে সে নানা টালবাহানা শুরু করে। যুবতীর পরিবার তাকে উপজেলার বীর সিধলী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দেয়। বিষয়টি টের পেলে বিল্লাল হোসেন তার স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বিয়ের পাঁচ মাস যেতে না যেতেই গত ২১শে জুলাই বাবার বাড়িতে যুবতী যমজ দুই ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মেয়েটি স্ত্রীর অধিকার ও সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে গত বুধবার থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়। মজনু মিয়া ও তার পরিবার যুবতীকে সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার জন্য এলাকার কিছু মাতব্বার চেষ্টা চালায়। সালিশে মীমাংসা না হওয়ায় নির্যাতিতার বাবা রোববার রাতে মজনু মিয়া ও তার মা শোভা আক্তারকে আসামি করে কলমাকান্দা থানায় মামলা করেন। প্রমিকের মা জাকিয়া আক্তার শোভাকে রোববার পুলিশ আটক করে। মামলার মূল আসামি মজনু মিয়া সোমবার সকালে কলমাকান্দা থানায় আত্মসমর্পণ করে। এদিকে জাকিয়া আক্তার শোভাকে বাদীর জিম্মায় ছেড়ে দেয় এবং মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার আদালতে পাঠায় পুলিশ।