বিশ্বজমিন
শহীদুলের পক্ষে বিবৃতি নোবেল-জয়ী স্টিগলিৎস ও বিনায়েক সেনের
মানবজমিন ডেস্ক
১৩ আগস্ট ২০১৮, সোমবার, ১২:১১ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের বিশ্বনন্দিত আলোকচিত্রী ড. শহীদুল আলমের মুক্তির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিৎস ও ভারতের প্রখ্যাত সমাজকর্মী বিনায়েক সেনসহ অনেকে। তাদের এই বিবৃতি বৃটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানে চিঠি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শহীদুল আলমের গ্রেপ্তার বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। এটি অবিলম্বে রদ করতে হবে। এই গ্রেপ্তার জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র এবং নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তিসমূহে স্বীকৃত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক ধারার গুরুতর লঙ্ঘণ।
তাকে গ্রেপ্তারের একমাত্র কারণ হলো আল জাজিরায় দেওয়া তার একটি সাক্ষাৎকার, যেখানে তিনি বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী যেভাবে নিষ্ঠুরভাবে জনবিক্ষোভ দমন করেছে তার সমালোচনা করে মত প্রকাশ করেন। ৫ই আগস্ট তাকে ‘উস্কানিমূলক মন্তব্যে’র জন্য নিজ বাসা থেকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তিনি নিজের জীবন নিয়ে আশঙ্কার কথা জানান। খোঁড়াতে খোঁড়াতে তাকে যখন আদালতে নেওয়া হচ্ছিল, তখন তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আইনজীবী চেয়েছিলাম, দেওয়া হয়নি। আমাকে অত্যাচার করা হয়েছে। আমার রক্তমাখা শার্ট ধুয়ে আবার পরানো হয়েছে। আমি যদি তাদের নির্দেশ মতো স্বাক্ষ্য না দিই, তাহলে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে আমাকে আরও...’
দুইদিন পর তার বিরুদ্ধে কুখ্যাত আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অনলাইনে এমন কথা বলেছেন যা ‘দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।’
আলমের গ্রেপ্তারকে এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে যে, বিক্ষোভকারীদের দমাতে সরকার ও অন্যান্য সংস্থা অবৈধ ও সহিংস পদক্ষেপের অনুমতি দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে জনসমাগমের ওপর বাছবিচারহীনভাবে রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ। ইউনিসেফ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংগঠন এসবের নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সব গণতন্ত্রেই মুক্ত গণমাধ্যম হলো মৌলিক ও প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। বিশ্বকে নিজেদের তৎপরতা ও কার্যক্রম জানতে না দিতে কর্তৃত্ববাদী শাসকদের প্রচেষ্টা ছাড়া অন্য কোনোভাবে গণমাধ্যমের ওপর নিপীড়নকে দেখার উপায় নেই। শহীদুল আলমের ওপর আক্রমণ ব্যক্তি হিসেবে তার প্রতি নিষ্ঠুরতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের অধিকার ধ্বংসের শামিল। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে এর নিন্দা জানাই।
বিবৃতিতে স্টিগলিৎস ও বিনায়েক সেন ছাড়াও স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিনিংগুইশড প্রফেসর এমিরেটাস ও প্রখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত অ্যাঙ্গেলা ডেভিস। অন্যান্যদের মধ্যে আছেন ভারতের টাটা ইন্সটিটিউট ফর সোস্যাল স্টাডিজের অ্যাডভান্সড সেন্টার ফর উইমেন স্টাডিজের প্রফেসর ইলিনা সেন, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাক্সিন ইলিয়ট প্রফেসর জুডিথ বাটলার, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লুইজ হেলেট নিক্সন প্রফেসর ডেভিড পালুম্বো-লিউ, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গায়ত্রী চক্রবর্তী, লেখক অন্তজি ক্রগ ও জিওকন্ডা বেলি, ফ্লোরেঞ্জস ম্যাক্স-প্লাঙ্ক ইন্সটিটুটের কস্তানা কারাফা, নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ফটোগ্রাফির পরিচালক শামুন কমির, ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় নাসার ইসাম ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিদ্যার প্রফেসর রোজালিন্ড মরিস।
বিবৃতিতে বলা হয়, শহীদুল আলমের গ্রেপ্তার বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। এটি অবিলম্বে রদ করতে হবে। এই গ্রেপ্তার জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র এবং নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তিসমূহে স্বীকৃত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক ধারার গুরুতর লঙ্ঘণ।
তাকে গ্রেপ্তারের একমাত্র কারণ হলো আল জাজিরায় দেওয়া তার একটি সাক্ষাৎকার, যেখানে তিনি বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী যেভাবে নিষ্ঠুরভাবে জনবিক্ষোভ দমন করেছে তার সমালোচনা করে মত প্রকাশ করেন। ৫ই আগস্ট তাকে ‘উস্কানিমূলক মন্তব্যে’র জন্য নিজ বাসা থেকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তিনি নিজের জীবন নিয়ে আশঙ্কার কথা জানান। খোঁড়াতে খোঁড়াতে তাকে যখন আদালতে নেওয়া হচ্ছিল, তখন তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আইনজীবী চেয়েছিলাম, দেওয়া হয়নি। আমাকে অত্যাচার করা হয়েছে। আমার রক্তমাখা শার্ট ধুয়ে আবার পরানো হয়েছে। আমি যদি তাদের নির্দেশ মতো স্বাক্ষ্য না দিই, তাহলে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে আমাকে আরও...’
দুইদিন পর তার বিরুদ্ধে কুখ্যাত আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অনলাইনে এমন কথা বলেছেন যা ‘দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।’
আলমের গ্রেপ্তারকে এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে যে, বিক্ষোভকারীদের দমাতে সরকার ও অন্যান্য সংস্থা অবৈধ ও সহিংস পদক্ষেপের অনুমতি দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে জনসমাগমের ওপর বাছবিচারহীনভাবে রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ। ইউনিসেফ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংগঠন এসবের নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সব গণতন্ত্রেই মুক্ত গণমাধ্যম হলো মৌলিক ও প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। বিশ্বকে নিজেদের তৎপরতা ও কার্যক্রম জানতে না দিতে কর্তৃত্ববাদী শাসকদের প্রচেষ্টা ছাড়া অন্য কোনোভাবে গণমাধ্যমের ওপর নিপীড়নকে দেখার উপায় নেই। শহীদুল আলমের ওপর আক্রমণ ব্যক্তি হিসেবে তার প্রতি নিষ্ঠুরতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের অধিকার ধ্বংসের শামিল। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে এর নিন্দা জানাই।
বিবৃতিতে স্টিগলিৎস ও বিনায়েক সেন ছাড়াও স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিনিংগুইশড প্রফেসর এমিরেটাস ও প্রখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত অ্যাঙ্গেলা ডেভিস। অন্যান্যদের মধ্যে আছেন ভারতের টাটা ইন্সটিটিউট ফর সোস্যাল স্টাডিজের অ্যাডভান্সড সেন্টার ফর উইমেন স্টাডিজের প্রফেসর ইলিনা সেন, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাক্সিন ইলিয়ট প্রফেসর জুডিথ বাটলার, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লুইজ হেলেট নিক্সন প্রফেসর ডেভিড পালুম্বো-লিউ, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গায়ত্রী চক্রবর্তী, লেখক অন্তজি ক্রগ ও জিওকন্ডা বেলি, ফ্লোরেঞ্জস ম্যাক্স-প্লাঙ্ক ইন্সটিটুটের কস্তানা কারাফা, নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ফটোগ্রাফির পরিচালক শামুন কমির, ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় নাসার ইসাম ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিদ্যার প্রফেসর রোজালিন্ড মরিস।