প্রথম পাতা
‘অবৈধ অভিবাসী প্রতিরোধ মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির অঙ্গীকার’
মানবজমিন ডেস্ক
১৩ আগস্ট ২০১৮, সোমবার, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন
ভারতে অবৈধ অভিবাসীদের প্রতিরোধ করার বিষয়টি ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক চুক্তির অন্যতম অঙ্গীকার বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই চুক্তি অনুযায়ীই আসামের ৪০ লাখ বাঙালিকে নাগরিক তালিকা থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। মোদি বলেন, সেখানকার অবৈধ অভিবাসীদের প্রতিহত করার বিষয়টি ১৯৮৫ সালে প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধী ও আসামের সর্বদলীয় ছাত্র ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ছিল। এটি ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত ইন্দিরা-মুজিব চুক্তিরও অন্যতম অঙ্গীকার। কংগ্রেস এসব চুক্তি স্বীকার করে। কিন্তু ভোট-ব্যাংকের রাজনীতির কারণে তারা এটা বাস্তবায়ন করে না। কংগ্রেসের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সাহসের অভাব রয়েছে। এদেশে তারা অপরাধমূলক অবহেলার কারণে দোষী।
মোদি বলেন, নাগরিক তালিকা চূড়ান্ত করা ভারতের জনগণের কাছে আমাদের অঙ্গীকার। এটা রাজনীতির স্বার্থে না, জনগণের স্বার্থে। আমরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মেনে চলছি এবং কোর্টের নির্ধারণ করে দেয়া নিরপেক্ষ প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি। এই প্রক্রিয়া চলছে। আসামের অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে ভারতের জনগণ বিজেপি সরকারের পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘যে কোনো জাতির জন্য সার্বভৌমত্ব ও নাগরিকত্ব অপরিহার্য বিষয়।
আমি নিশ্চিত যে, এ বিষয়ে সকল ভারতীয় নাগরিক একমত হবেন। যারা অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করছেন, তাদের এ কার্যক্রমের মৌলিক প্রকৃতি বোঝা উচিত। আর সেটা সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণ করছেন। কিন্তু ভারতের প্রধান বিচারপতির ওপর কোনো আস্থা বিরোধীদের নেই। এমনকি আসামের নাগরিক তালিকা পর্যবেক্ষণকারী সুপ্রিম কোর্টকেও বিশ্বাস করে না তারা। এটা স্ববিরোধী।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, আসামের নাগরিক তালিকার সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ জড়িত। আর জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই।
ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। মোদি বলেন, সেখানকার অবৈধ অভিবাসীদের প্রতিহত করার বিষয়টি ১৯৮৫ সালে প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধী ও আসামের সর্বদলীয় ছাত্র ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ছিল। এটি ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত ইন্দিরা-মুজিব চুক্তিরও অন্যতম অঙ্গীকার। কংগ্রেস এসব চুক্তি স্বীকার করে। কিন্তু ভোট-ব্যাংকের রাজনীতির কারণে তারা এটা বাস্তবায়ন করে না। কংগ্রেসের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সাহসের অভাব রয়েছে। এদেশে তারা অপরাধমূলক অবহেলার কারণে দোষী।
মোদি বলেন, নাগরিক তালিকা চূড়ান্ত করা ভারতের জনগণের কাছে আমাদের অঙ্গীকার। এটা রাজনীতির স্বার্থে না, জনগণের স্বার্থে। আমরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মেনে চলছি এবং কোর্টের নির্ধারণ করে দেয়া নিরপেক্ষ প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি। এই প্রক্রিয়া চলছে। আসামের অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে ভারতের জনগণ বিজেপি সরকারের পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘যে কোনো জাতির জন্য সার্বভৌমত্ব ও নাগরিকত্ব অপরিহার্য বিষয়।
আমি নিশ্চিত যে, এ বিষয়ে সকল ভারতীয় নাগরিক একমত হবেন। যারা অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করছেন, তাদের এ কার্যক্রমের মৌলিক প্রকৃতি বোঝা উচিত। আর সেটা সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণ করছেন। কিন্তু ভারতের প্রধান বিচারপতির ওপর কোনো আস্থা বিরোধীদের নেই। এমনকি আসামের নাগরিক তালিকা পর্যবেক্ষণকারী সুপ্রিম কোর্টকেও বিশ্বাস করে না তারা। এটা স্ববিরোধী।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, আসামের নাগরিক তালিকার সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ জড়িত। আর জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই।