বাংলারজমিন

‘২৬ জনের কারণে ডিএনডিতে ভোগান্তিতে ২২ লাখ মানুষ’

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে

১৩ আগস্ট ২০১৮, সোমবার, ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন

ডিএনডির জলাবদ্ধতা নিষ্কাশন প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল মাসফিকুল আলম ভূঞা বলেছেন, ‘২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। তবে আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে ডিএনডিতে জলাবদ্ধতা থাকবে না বলা যায়। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে ডিএনডিতে ২৪ দশমিক ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।’ রোববার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার্স মেজর কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) সেচ প্রকল্প এলাকায় নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে এবং জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ডিএনডি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন (ফ্রেজ-২)’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনী। লে. কর্নেল মাসফিকুল আলম ভূঞা জানান, ২০১৭ সালের ৫ই ডিসেম্বর ডিএনডি প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করা হয়। এর মেয়াদ শেষে হবে আগামী ২০২০ সালে। ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের বেসিক সমস্যা সমাধান করার পর আর পানি জমবে না। আমরা সেই ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

এছাড়াও এ কাজের জন্য ৫৫৮ কোটি টাকার যে ব্যয় ধরা হয়েছে সেটাও বাড়বে। মাসফিকুল আলম ভূঞা জানান, মূলত এখানে ড্যাম্পিং নেই, খালগুলোর নিচ দিয়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ, ওয়াসাসহ বিভিন্ন লাইন রয়েছে। যার জন্য পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়াও উচ্চ আদালত থেকে ২৬ জন অবৈধ স্থাপনার মালিক আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞার আদেশ নিয়ে এসেছে। এ ২৬ জনের জন্য ২২ লাখ লোকের সমস্যা হচ্ছে। আমরা এসব কিছুই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ করছি। তিনি আরো জানান, ডিএনডি প্রকল্পের অধীনে ৯৪ কিলোমিটার খালের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাদের ৫৪ কিলোমিটার বুঝিয়ে দিয়েছে।

এখনো ৪০ কিলোমিটার বুঝিয়ে দেয়ার বাকি। এরমধ্যে আমরা ৫০ কিলোমিটার খাল উদ্ধার করে ফেলেছি। সীমানা নির্ধারণে (ডিমারকেশন) প্রকল্পের কাজের বড় বাধা হিসেবে উল্লেখ করে মোহাম্মদ মাসফিকুল আলম ভূঞা বলেন, ডিমারকেশনের জন্য কাজে দেরি হচ্ছে। ডিসি অফিস ও কানুনগো এসে জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু অনেক পুরনো কাগজ হওয়ায় অনেক সময় না পাওয়ার কারণে এতে বিলম্ব হয়। এছাড়াও সরকারি অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে ঠিকভাবে সহযোগিতাও পাচ্ছি না।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status